যে কোনও ব্যথাই শীতকালে বাড়ে। এছাড়াও মা-ঠাকুমারা আনেকেই বলেন পূর্ণিমা, অমাবস্যা, একাদশীতে বাড়ে জয়েন্টের ব্যথা। কিন্তু দিন দুয়েক পরই তা কমে যায়। মূলত হিন্দু পরিবারেই এই সংস্কার বহুল প্রচলিত। আর তাই অনেকেই পূর্ণিমা-অমাবস্যায় ভাত এড়িয়ে চলেন। সম্পূর্ণ নিরামিষ খান। এছাড়াও অমাবস্যা-পূর্ণিমাতে গ্রহণ হয়। বিজ্ঞানের ধুয়ো ধরে অনেকেই বলেন, পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণ শক্তি এই দুই দিনে বাড়ে৷ তার ওপর থাকে চাঁদের মাধ্যকর্ষণ টান৷ তাই এই দুইয়ের প্রভাবে হাঁটু, পা, কোমরের ব্যথা বাড়ে৷
তবে বিজ্ঞান মোটেও একথা বলছে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন এগুলি মূলত মানসিক রোগ। হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা বাড়ার জন্য পূর্ণিমা বা অমাবস্যার প্রয়োজন হয়না৷ হাড়ের দুর্বল অংশে অতিরিক্ত চাপ পড়লে ব্যথা অনুভব করা যায়৷ মনোরোগ বিজ্ঞানীরা বলেন এই রোগগুলির নাম সাইকোসোম্যাটিক ডিজিস৷ সহজ ভাষায় মনোরোগ বা সাইকো ও শারীরিক অসুস্থতা বা SOMA-এর সমন্বয়ে তৈরি হওয়া এক অনুভূতি৷
আর এই ব্যথার জন্য কিন্তু আবহাওয়া অনেকাংশে দায়ী। বৃষ্টির দিন কিংবা শীতে এমনিই যে কোনও ব্যথা বাড়ে। কারণ সেসময় আবহাওয়ায় জলের পরিমাণ থাকে বেশি। আর তাই অমাবস্যা কিংবা পূর্ণিমার সঙ্গে ব্যাথা বাড়ার যোগের কোনও সঠিক উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সংস্কার বলেও অনেকে মনে করেন। মূলত হিন্দু বাড়িতেই এই ধারণা প্রচলিত। সত্যিই যদি ব্যথা হত তাহলে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষরা কীভাবে উপশম ক স্নায়ুর সংবেদনশীলতা বাড়ে, কমে ব্যথা সওয়ার ক্ষমতা। সে জন্যই মামুলি চোটেও বেশি ব্যথা লাগে। যোগ হয় ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে থাকার ফলে পেশির শৈথিল্য কমে যাওয়ার সমস্যা। সব মিলিয়েই পুরোনো ব্যথা বাড়ে
credit: eisomoy