পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি যদি কমে যায় বা আস্তে ঘোরে তবে পৃথিবীর ঘুর্ণন কোণ এবং ঘুর্ণন বেগের তারতম্যে সিস্টেম ওলটপালট হয়ে যাবে। যেমন, আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি কমে যাওয়ায় দিন রাতের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাবে এবং বছরের দৈর্ঘ্য বড় হয়ে যাবে অর্থাৎ ঋতুগুলো খুব বড় হবে, সেক্ষেত্রে ঋতুচক্র তার বৈচিত্র্যময়তা হারিয়ে ফেলতে পারে।
উত্তর গোলার্ধে সূর্যের বেশি উপস্থিতিতে সেখানে অধিক তাপের ফলে মেরুর বরফ দ্রুত গলতে পারে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। একই কথা প্রযোজ্য দক্ষিণ মেরুর ক্ষেত্রেও। মরু অঞ্চলে আরো তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। মরু ঝড়, তুষার ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, এল নিনো, লা নিনা এসবের অত্যাচার বেড়ে যাবে। আবার দাবানলের প্রভাবে বিভিন্ন অঞ্চল উজাড় হয়ে যাবে। বন-জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যাবে।
ভূত্বক এর কাঠামোর গঠনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসবে। টেকটোনিক প্লেট ওলটপালট হয়ে যাবে, ভয়াবহ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে পৃথিবীর জীবন ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটবে। নদী সমুদ্রের পানির সমতা নষ্ট হবে, জোয়ার ভাটার পরিবর্তনে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস এত অধিক হারে হবে যাতে আমাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার ঘটতে পারে- বায়ুমণ্ডলের ধ্বস। অধিক মরুকরণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে, অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে, কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যাবে। বায়ুমণ্ডলের অন্যান্য গ্যাসীয় পদার্থও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে এবং আমাদের অস্তিত্ব বিলীনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।