গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ ও মাতৃদেহের মধ্যে অস্থায়ী টিস্যু দ্বারা সংযোগ স্থাপিত হয়। এই কলার মাধ্যমে ভ্রূণে মাতৃদেহ থেকে পুষ্টিদ্রব্য ও অক্সিজেন পৌঁছায় এবং ভ্রূণ থেকে বিপাকজাত ক্ষতিকারক পদার্থ মাতৃদেহে আসে। এই অস্থায়ী টিস্যু হলো অমরা বা প্লাসেন্টা। গর্ভবতী স্ত্রী লোকের জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামে ব্লাস্টোসিস্ট রোপণের পর থেকেই অমরা উৎপত্তি হতে শুরু হয়। অমরা মাতৃদেহের অংশ ও ভ্রূণের অংশ নিয়ে গঠিত।
অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গাত্রে সংস্থাপিত হয়। অমরা অনেকটা ফুসফুসের মতো কাজ করে। অমরার মাধ্যমে মায়ের রক্ত থেকে অক্সিজেন গ্রহণ এবং ভ্রূণ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডের বিনিময় ঘটে। অমরাতে সঞ্চিত প্রোটিন লিপিড,ক্যালসিয়াম প্রয়োজনে ভেঙে যায় এবং ভ্রূণের রক্তে মেশে। মায়ের দেহ থেকে ভ্রূণে রোগ জীবাণু প্রবেশ বাধা দেয় অমরা। মায়ের দেহে গঠিত অ্যান্টিবডি অমরার মাধ্যমে ভ্রূণের রক্তে প্রবেশ করে।অমরা একই সাথে বৃক্কের মতো কাজ করে। বিপাকের ফলে যে বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় তা অমরার মাধ্যমে ভ্রূণের দেহ থেকে অপসারিত হয়। অমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি করে। এই হরমোন ভ্রূণের রক্ষণাবেক্ষণ ও তার স্বাভাবিক গঠনে সাহায্য করে অমরা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে কাজ করে। অমরা থেকে HCG,HCS,প্রোজেস্টেরন,রিল্যাক্সিন ক্ষরিত হয়।
অমরা পূর্ণভাবে গঠিত না হলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে
- অকালপ্রসব
- গর্ভপাত
- প্রিক্লাম্পসিয়া
- ভ্রূণের অপূর্ণবিকাশ
- প্রতিবন্ধী সন্তান জন্মদান
- সিজারিয়ান ডেলিভারী ইত্যাদি