লেজার প্রযুক্তি (Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation/LASER) আলোর সরু রশ্মি উৎপাদনের জন্য এমন একটি যন্ত্র, যার মাধ্যমে উৎপন্ন রশ্মি ছড়িয়ে যা পড়ে বহুদূর অতিক্রমে সক্ষম এবং কেন্দ্রীভূত হয়ে অপরিমেয় শক্তি উৎপন্ন করতে সমর্থ। বেতার তরঙ্গ অপেক্ষা একটি লেজার বীম অনেক বেশি তথ্য বহন করতে পারে বলে এই প্রযুক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপব সাধন করতে পারে। কাটা, ড্রিলিং/খনন, ঝালাই, উপগ্রহ ট্র্যাকিং, চিকিৎসা ও জীববিজ্ঞান গবেষণা, কমপ্যাক্ট ডিস্ক ও বার কোড পঠন, সার্জারি ইত্যাদি কর্মকান্ডে লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।১৯৬০ সালে থিওডোর হ্যারল্ড মাইম্যান হিউজেস রিসার্চ ল্যাবটরিসএ প্রথম লেজার তৈরী করেন।[৩][৪][৫] সাধারণ আলোতে বিভিন্ন মাপের তরঙ্গ থাকে। একই বর্ণের আলোতে একই মাপের তরঙ্গ থাকলেও তারা বিভিন্ন তলে চলে। কিন্ত লেজারে সব তরঙ্গই হয় একই মাপের এবং তারা চলে একই তলে অর্থাৎ লেজার রশ্মি সংসক্ত। এ রশ্মি অত্যন্ত ঘন সংবদ্ধ একমুখী বলে তা অনেক পথ অতিক্রম করতে পারে এবং এরা মাত্র কয়েক মাইক্রন (১ মাইক্রন = ১০-৩ মি. মি.) চওড়া। এজন্য এতে প্রচণ্ড তাপশক্তি সঞ্চার করা সম্ভব হয় এবং তাপমাত্রা সূর্য পৃষ্ঠের তাপমাত্রার চেয়েও বেশি হয়। ফলে লেজার রশ্মি দিয়ে মানুষের একটা চুলকেও ছিদ্র করা সম্ভব।[৬]।
এটি কীভাবে তৈরি
রুবি রডে উচ্চশক্তির আলো ফেলে রুবির পরমাণুর ইলেকট্রনকে উত্তেজিত করে সেই ইলেকট্রন থেকে ফোটনের স্রোত তৈরি করা হয়। সেই ফোটনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৬৯৪ ন্যানোমিটার যা দৃশ্যমান আলোর লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কাছাকাছি। ম্যাইম্যানের দেখানো পথে এখন বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লেজার রশ্মি তৈরি হয়।