রক্তের গ্রুপই বলে দেবে আপনার বৈশিষ্ট্য!!!
সাধারণত দীর্ঘদিন মানুষের সঙ্গে চলার পর বোঝা যায় তার বৈশিষ্ট্য কেমন। হঠাৎ দেখে বলে দেয়া মুশকিল তিনি আসলে কোন ঘরানার মানুষ। অথচ রক্তের গ্রুপই নাকি বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন এমনই তথ্য দিচ্ছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। কেটসুয়েকি-গাটার মাধ্যমে এই তথ্য দিচ্ছেন। যা রক্তের ধরন অনুযায়ী ব্যক্তিত্বের তত্ত্ব বিশ্লেষণ। এর মাধ্যমে মানুষ ভাগ্যবান কিনা বা কেমন মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়বেন তাও নাকি বলে দেয়া সম্ভব।তাহলে গ্রুপ অনুযায়ী জেনে নেয়া যাক আপনার বৈশিষ্ট্যের কিছু দিক!
A+(এ-পজেটিভ)
এই গ্রুপের মানুষকে সারা বিশ্বের মধ্যে সেরা মেধাবী মানুষ বলা হয়ে থাকে। এই গ্রুপের মানুষ যে কোনো বিষয়ে মন থেকে অনুস্বরণ করলে অতি দ্রুত ফিডব্যাক পাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই গ্রুপের মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত। এই গ্রুপের মানুষ অর্থ অপচয় করে বেশি। আর আয় অপেক্ষা ব্যয় করে বেশি। তাদের ভবিষ্যত সর্ম্পকে চিন্তা একেবারেই কম। বর্তমানকে গুরুত্ব দেয় বেশি। এই গ্রুপের মানুষ সরাসরি কথা বলতে ভালোবাসে। এরা নেতৃত্ব দিতেও ভালবাসে। এই গ্রুপের মানুষ একই সাথে একাধিক কাজ ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকতে ভালবাসে। এই গ্রুপের মানুষের রাগ খুবই বেশি এবং একবার রাগান্বিত হলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকে না।
B+(বি-পজেটিভ)
বি-পজেটিভ গ্রুপের মানুষকে সারা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি ধীর-স্থির, শান্ত ও বিনয়ী এবং মধ্যম শ্রেণীর মেধা সম্পন্ন মনে করা হয়ে থাকে। বি-পজেটিভ গ্রুপের মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে প্রায় ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত। বি-পজেটিভ গ্রুপের মানুষের মেধা অন্য গ্রুপের মানুষের চেয়ে একটু ধীর গতিতে কাজ করে। সহজে কোনো বিষয়কে মনে প্রাণে গ্রহন করতে চায় না। কিন্তু একবার যদি কোনো বিষয় মনের মধ্যে চলে আসে তাহলে তা সহজে ভুলে যায়। বি-পজেটিভ গ্রুপের মানুষ সঞ্চয়ী মনোভাবের হয়ে থাকে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আয় বুঝে ব্যয়ে করে। বি-পজেটিভ গ্রুপের মানুষকে কোনো বিষয়ে প্রস্তাব দিলে তা সহজে গ্রহণ করে না এবং বিষয়টি নিয়ে বার বার গবেষণা করার পর সিদ্ধান্ত প্রদান করে। একবার কোনো মানুষের উপর রেগে গেলে সরাসরি আঘাত করে না। কৌশল দিয়ে আঘাত করে।
O+(ও-পজেটিভ)
ও-পজেটভি গ্রুপের মানুষ সারা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় মেধা সম্পন্ন হয়ে থাকে। ও-পজেটিভ গ্রুপের মানুষকে সবচেয়ে বেশি নরম মনের মানুষ, উদার মনের মানুষ এবং মায়াশীল মানুষ বলা হয় থাকে। ধরুন, যদি কোনো সিনেমায়, নাটকে কিংবা উপন্যাসে হৃদয় বিদারক কোনো ঘটনা ঘটে তখন ও-পজেটিভ মানুষের মনের ভতরে এক অন্তরদাহ সৃষ্টি হয় ফলে সে নিজেই কাঁদতে শুরু করে। আরো বলা যায় যে, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নজরুল সংগীত ‘শাওন রাতে যদি স্বরনে আসে মোরে, বাহিরে ঝড়ও বহে, নয়নে বারি ঝরে’ শোনার সঙ্গে সঙ্গে মন আবেগে ভরে উঠে ফলে সে নিজকে সংযত করতে পারে না, দু’চোথ দিয়ে শুধু অশ্রূ ঝরায়। তবে তিনটি কারণে ও-পজেটিভ গ্রুপের মানুষের লেখাপড়া কম হয়। যেমন: (এক) এই গ্রুপের মানুষ উদাসীন হয় বেশি, (দুই) অধিক বন্ধু প্রিয় হয় এবং (তিন) কল্পনা বিলাসী। অর্থাৎ দিবা স্বপ্ন দেখার মতো ঘটনা। এই গ্রুপের মানুষ সাধারণত সুস্থ থাকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত। তারা ভবিষ্যতের চিন্তা কম করে এবং আয় বুঝে ব্যয় করে না। বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে অধিক ভালবাসে। আর ভালবাসে রসাল ও জাতীয় খাবার। ও-পজেটিভ গ্রুপের মানুষ দ্রুত রাগান্বিত হয় এবং অতি তাড়াতাড়ি ঠান্ডাও হয়ে যায়। ও-পজেটিভ গ্রুপের মানুষের সাধারণত ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৪০ বছর বয়স এর পর থেকে।
AB+ (এবি-পজেটিভ)
AB+ গ্রুপের মানুষ সাধারণত একটু ব্যতিক্রমধর্মী হয়ে থাকে। স্বল্প সময়ে এই গ্রুপের মানুষের প্রকৃত চিন্তা চেতনা ও মানসিকতাকে জানা যায় না। এই গ্রুপের মানুষ সুস্থ থাকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত। এই গ্রুপের মানুষের চরিত্র সাধারণত A+ ও B+ এর চারিত্রিক সংমিশ্রনে হয়ে থাকে। AB+ গ্রুপের মানুষ অতিরিক্ত সঞ্চয়ী মনোভাবের হয়ে থাকে। যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হলে ধীর গতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। মনের ভিতরে কোনো গোপন কথা লুকিয়ে রাখতে পারে না। এরা সাধারণত একক সিদ্ধান্তের অধিকারী হয়। কোনো বিষয়ে একবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা পরবর্তীতে পরিবর্তন করতে অনেক কষ্ট হয় এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে চায় না। এই গ্রুপের মানুষ খুবই সাহসী ও প্রতিবাদী স্বভাবের হয়ে থাকে ।
সকল নেগেটিভ গ্রুপের মানুষের বৈশিষ্ট্যসমুহ নিম্নরূপ:
পৃথিবীতে নেগেটিভ গ্রুপের মানুষের সংখ্যা কম। এই সব গ্রুপের মানুষের সঠিক চরিত্র বিশ্লেষণ করা সহজে সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে এই গ্রুপের মানুষ সকল পজেটিভ মানুষের তুলনায় শারীরিক দিক দিয়ে একটু দুর্বল হয়ে থাকে। এই গ্রুপের মানুষের বুদ্ধি শক্তি তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। এরা সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে বিলম্ব করে। কোনো কোনো সময় কাজ করতে গিয়ে ঝুঁকি মনে করে। এই গ্রুপের মানুষ নম্র, ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের হয়ে থাকে। কাজেই রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে জেনে রাখার প্রয়োজন রয়েছে।