হাইড্রোপোনিক প্রযুক্তি কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
179 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (141,830 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,830 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

হাইড্রোপোনিক প্রযুক্তি : মাটি ছাড়া কৃষিকাজ

মাটি ছাড়াই গাছপালা এবং শস্য আবাদ করার সর্বাধুনিক পদ্ধতিকে বলা হয় হাইড্রোপোনিক ফার্মিং। এই পদ্ধতিতে মাটির পরিবর্তে শুধুমাত্র পানিতেই শস্য ফলানো যায়। হাইড্রোপোনিক প্রযুক্তিতে যেকোনো ধরনের ফসল আবাদ করার বেশ কিছু আলাদা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। তবে সব পদ্ধতিতেই সাধারণত একই উপাদান ব্যবহার করা হয়।

হাইড্রোপোনিক ফার্মিংয়ের জন্য যা যা দরকার :

• বিশুদ্ধ পানি : হাইড্রোপোনিক ফার্মিং করার জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পানি। তবে এক্ষেত্রে পানি হতে হয় সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। একই সঙ্গে পানির অম্লতা বা ক্ষারত্বের পরিমাণও ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে হয়। সাধারণত পিএইচ লেভেলের মাধ্যমে পানির অম্লতা বা ক্ষারত্বের পরিমাণ মাপা হয়। পানির পিএইচ লেভেল ৬ থেকে ৬.৫ এর মাধ্যে থাকাটা বেশিরভাগ উদ্ভিদের জন্যেই সুবিধাজনক। 

• অক্সিজেন : হাইড্রোপোনিক ফার্মিংয়ে শস্য পানিতে চাষ করা হলেও উদ্ভিদ সম্পূর্ণ ডোবানো হয় না। প্রচলিত চাষাবাদ ব্যবস্থায় সাধারণত মাটির ভেতরে থাকা ছোট ছোট গর্তে থাকা বাতাস থেকে উদ্ভিদের শেকড় অক্সিজেন গ্রহণ করে। তাই হাইড্রোপোনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রেও উদ্ভিদের শেকড়ের জন্যে অক্সিজেনের যোগান ঠিক রাখতে হয়। সেজন্য গাছের গোড়া ও জলাধারের মধ্যে জায়গা ফাঁকা রাখা লাগে। অথবা পানির কন্টেইনারে আলাদা ভাবে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার জন্য ‘এয়ার স্টোন’ বা ‘এয়ার পাম্প’ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

• শেকড়ের জন্য সহায়ক উপাদান : মাটির দরকার না থাকলেও উদ্ভিদের শেকড় স্থাপনের জন্যে আলাদা উপাদান বা বস্তুর দরকার হয়। এক্ষেত্রে ‘ভার্মিকুলাইট’ নামের একধরনের খনিজ, ‘পার্লাইট’ নামের একধরনের শিলা, পিট শৈবাল, নারকেলের তন্তু বা ‘রকউল’ নামের একধরনের তন্তুযুক্ত উপাদান ব্যবহার করা হয়। তবে বালির মতো জমে যেতে পারে বা নুঁড়িপাথরের মতো আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে, এমন কোনো উপাদান ব্যবহার করা হয় না।

• পুষ্টি উপাদান : সুস্থ আর ফলনশীল উদ্ভিদের প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান দরকার হয়; ঠিক যেভাবে দরকার হয় ভূমিতে জন্মানো গাছের সুষম মাটি এবং সারের।  

•  আলো : ছাদঘেরা কোনো জায়গায় হাইড্রোপোনিক ফার্মিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সূর্যের আলো সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হয়। প্রতিটি আলাদা প্রজাতির উদ্ভিদের জন্যে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে আলো সরবরাহ করার দরকার পড়ে।

উন্নত হাইড্রোপোনিক সিস্টেমে চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে এসব উপাদান ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপাদান বিবেচনায় আনতে হয়। এগুলির মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইডের যোগান ঠিক রাখাটা অন্যতম। তবে উল্লিখিত এই ৫টি উপাদানই যেকোনো হাইড্রোপোনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। 

মাটি ছাড়া চাষাবাদের পদ্ধতির গুরুত্ব :

জমিতে চাষাবাদের তুলনায় হাইড্রোপোনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদের সুবিধা অনেক বেশি। মাটি ছাড়াই চাষাবাদের এই পদ্ধতি আসলে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এই প্রযুক্তিতে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বছরের যেকোনো সময় খাদ্যশস্য উৎপাদন করা যাবে। আবার, এর মাধ্যমে চাষাবাদের খরচও অনেক কমে আসবে।

তাছাড়া প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষাবাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মাটি ক্ষয় থেকে শুরু করে ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত অপচয় হলো জমিতে চাষাবাদের অন্যতম সীমাবদ্ধতা। এছাড়াও খাদ্যবাহিত রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবের মতো সমস্যার কারণে প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ পরিবেশ এবং মানবদেহের জন্যে বেশ কিছু ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে হাইড্রোপোনিক সিস্টেমে চাষাবাদের ফলে আগে থেকেই জানা যায় ঠিক কোন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদ বেড়ে উঠছে। এই প্রযুক্তিতে চাষাবাদের পদ্ধতি উন্নত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যায়। পানি, আলো, পিএইচ লেভেল এবং পুষ্টি উপাদান সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য আনতে পারলে এই প্রযুক্তিতে শস্য উৎপাদনে সহজেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

তথ্যসূত্র : City Touch

0 টি ভোট
করেছেন (28,310 পয়েন্ট)

হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি হচ্ছে মাটি ছাড়া শুধুমাত্র পানি ব্যবহার করে ঘাস এবং সবজি উৎপাদনের একটি আধুনিক পদ্ধতি। তবে কখনো কখনো পানির সাথে সামান্য পুষ্টি উপাদানও ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস, শাক সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি উৎপাদন করা যায়। সাধারনত গম, ভুট্টা ও যবের বীজ দিয়ে মাত্র ৭-৮ দিনে গবাদিপ্রাণির খাওয়ার উপযোগি ঘাস সারা বছরব্যাপী উৎপাদন করা যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই এ ধরনের চাষাবাদ হয়ে আসছে; যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, কেনিয়া, ফিলিস্তিনসহ আরো অনেক দেশে। তবে আমাদের দেশেও এই প্রযুক্তিটি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম বাংলাদেশে ২০১১ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এই প্রযুক্তির উপর গবেষণা শুরু করেন । এরপর তিনি দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায়, বিশেষত যেখানে লবণাক্ততার কারণে সবুজ ঘাসের অভাব রয়েছে সেখানে কৃষক এবং খামারীদের মাঝে এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ শুরু করেন যা বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 722 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 265 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 984 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 870 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,815 বার দেখা হয়েছে

10,743 টি প্রশ্ন

18,394 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,875 জন সদস্য

36 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 36 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    930 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    220 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. Muhammad_Alif

    120 পয়েন্ট

  5. memo

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি #science স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...