বিটকয়েন মাইনিং মুলত সোজা কথায় বলতে গেলে বিটকয়েনের লেনদেনগুলোকে প্রোসেস করা এবং অ্যাপ্রুভ করা। অর্থাৎ যখন দুই প্রান্তের দুজন মানুষ বা দুটি কম্পিউটারের মধ্যে বিটকয়েনের লেনদেন হয়, তখন এই লেনদেনটি প্রোসেস করার কাজই হচ্ছে বিটকয়েন মাইনিং। এই মাইনিং এর কাজটি করে থাকে অন্য একটি মেশিন বা অন্য একটি কম্পিউটার। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে যে শুধুমাত্র লেনদেন টি প্রোসেসই যখন করা হচ্ছে, তাহলে এই প্রক্রিয়াটিকে বিটকয়েন ” মাইনিং ” কেন বলা হচ্ছে ? কারন, আগেই বলেছি, একটি এমাউন্টের বিটকয়েন লেনদেন সম্পূর্ণ হলে সাথে সাথে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়। তার মানে, আপনি যদি এই বিটকয়েন লেনদেনের রেকর্ড তৈরি করা এবং এই বিটকয়েন লেনদেনটিকে প্রোসেস করার কাজ করেন, তার মানে আপনি মুলত নতুন বিটকয়েন তৈরিতে সাহায্য করছেন এবং এর ফলে আপনি নিজেও নতুন তৈরি হওয়া বিটকয়েনের থেকে কিছুটা এমাউন্ট রিওয়ার্ড হিসেবে পাচ্ছেন। ঠিক এই কারনেই একে মাইনিং নাম দেওয়া হয়েছে।