কাউকে সুড়সুড়ি বা কাতুকুতু দিলে হাসি পায় কেন? – হঠাৎ করে হাসানোর অন্যতম মাধ্যম হল সুড়সুড়ি বা কাতুকুতু দেওয়া। মনে করেন আপনারা অনেক বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছেন। কোনো বন্ধুকে হাসাতে চান। কিন্তু, কোনো ধরনের হাস্যরসাত্নক কথা বা কৌতুকে তার হাসি আসছে না।
সুড়সুড়ি কিংবা কাতুকুতুতে কিন্তু হাসি চলে আসবে। কেন এমন হয়? শরীরের কিছু নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতেই এমন অনুভূতি হওয়ার কারণ কী, তা ভেবে দেখেছেন কখনও? আবার অন্য কেউ সুরসুরি দিলে যতটা কাতুকুতু লাগে, নিজে হাজার চেষ্টা করলেও সেরকম মনে হয় না। এর কি কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে?
হ্যাঁ, সুড়সুড়ি দিলে হাসি পাওয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। সুড়সুড়ি বা কাতুকাতু লাগলে মানুষের শরীরে যে প্রতিক্রিয়া হয়, দীর্ঘ দিন ধরেই তার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। আন্ডার আর্ম, পায়ের পাতা ও পেটের মতো স্থানে আঙুল চালালে যে গভীর সংবেদনশীলতা সৃষ্টি হয়, তা হচ্ছে গার্গেলিসিস টিকল। তখন অামরা হাসি। আমাদের ত্বকের নীচে লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র স্নায়ু কোষ রয়েছে।
যা মস্তিষ্ককে তাপ এবং ঠান্ডার মতো সমস্ত ধরণের স্পর্শ এবং এক্সপোজার সম্পর্কে সতর্ক করে। এই কারণেই আমাদের হাতকে গরম চুলার উপর ধরলে মনের অজান্তেই চুলা থেকে হাত সরিয়ে নেই কিংবা বাহিরে খুব শীত পড়লে, শরীরে ঠান্ডা যে অনুভূতির সৃষ্টির হয় তা কিন্তু এই স্নায়ুকোষের জন্যই। আবার ত্বকের উপর হালকা স্পর্শ বা কোনো বস্তু নড়াচড়া করলে শিরশিরে অনুভূতি হয়। তখন হাসির বদলে অস্বস্তি হয়।
সোমাটোসেনসরি কর্টেক্স স্পর্শকে বিশ্লেষণ করে। অন্যদিকে অ্যান্টেরিওর সিঙ্গুলেটেড কর্টেক্স মজার অনুভূতি তৈরি করে।