আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষ আছে, যারা কখনো মানসিক চাপ বা স্ট্রেস অনুভব করে নি। কেউ যখন দীর্ঘদিন মানসিক চাপে থাকে তখন সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে। কারণ, মানসিক চাপ মারাত্মকভাবে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। বেশির ভাগ সময় স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে হৃদরোগ এবং হতাশার সৃষ্টি হয়।
ডিপ্রেশনের পেছনেও এই মানসিক চাপের বেশ বড়সড় অবদান আছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, স্ট্রেস উপশমে সহায়ক খাবারসমূহ স্ট্রেস বা মানসিক চাপ হ্রাস করতে খুবই কার্যকরি। আপনি যদি তীব্র মানসিক চাপ অনুভব করেন, তাহলে স্ট্রেস উপশমে সহায়ক খাবারসমূহ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারেন। যেমন-
ম্যাচা পাউডার: এল-থায়ানাইন এবং অ-প্রোট্রিন অ্যামিনো এসিড সমৃদ্ধ। এটি ছায়ায় জন্মানো সবুজ চা পাতা থেকে সংগ্রহ করা হয়। ম্যাচা পাউডার “অ্যামিনো এসিডের” অন্যতম একটি উৎস। মানুষ এবং প্রাণি উভয়ের উপর গবেষণা করে দেখা যায় যে, ম্যাচা পাউডারে ক্যাফেইন কম থাকে এবং যথেষ্ট পরিমাণ এল-থায়ানাইন থাকে যা স্ট্রেস কমাতে খুবই সহায়ক।
সুইস চার্ডঃ এটি পাতাযুক্ত একপ্রকার সবুজ শাকসবজি, যা স্ট্রেস কমাতে সহায়ক। রান্না করা ১ কাপ সুইস চার্ডে ১৭৫ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে, এটি স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মিষ্টি আলুঃ কার্বাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার। এটি স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে। গবেষকরা ৪ সপ্তাহের একটি গবেষণা করেছিলেন। সেখানে তারা দেখেছিলেন অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলত্ব যেসকল মহিলা নিয়মিত ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে কার্বহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেছিল, তাদের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ পূর্বের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে।
কিমচিঃ একপ্রকার গাঁজানো শাক সবজির থালা। সাধারণত নাপা বাঁধাকপি বা ডাইকন দিয়ে তৈরি করা হয়। কিমচির মতো খাবার গুলোতে প্রোবায়োটিক নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া, ভিটামিন, খনিজ এবং উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট থাকে। গবেষকরা ৭১o জন প্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। সেখানে দেখা যায়, যারা কিমচি জাতীয় খাবার গ্রহণ করেছিল তারা পরবর্তীতে খুব কম মানসিক চাপ অনুভব করেছে।
ডার্ক চকোলেটঃ এটি অ্যাণ্টিঅক্সিডেণ্টসমৃদ্ধ যা শরীরের স্ট্রেস হরমোন গুলোর মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং শরীরকে স্ট্রেস মুক্ত রাখে। গবেষকরা বলেছেন, যেসকল ব্যক্তি ২ সপ্তাহ প্রতিদিন প্রায় ১.৫ আউন্স ডার্ক চকোলেট খেয়েছিল তাদের পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি স্ট্রেস হ্রাস পেয়েছে।
আর্টিকোকাসঃ পটাসিয়াম,ম্যাগনেসি
অর্গান মাংসঃ গরু এবং মুরগির কলিজা, কিডনি অর্গান মাংসের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও এটি ভিটামিন বি এর উৎস। কলিজা এবং কিডনিতে ভিটামিন বি১২, বি৬ রিবোফ্লাভিন থাকে যা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক।
ডিমঃ প্রাকৃতিক মাল্টিভিটামিন হিসেবে পরিচিত। ডিমের মধ্যে কোলিন, ভিটামিন, খনিজ, অ্যামিনো এসিড এবং অ্যাণ্টিঅক্সিডেণ্ট রয়েছে যা স্ট্রেস কমাতে সহায়ক।
এসেরোলা চেরি গুঁড়াঃ ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস। এখানে কমলা এবং লেবুর চেয়ে ও বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি হিসেবে এসেরোলার পানীয় পান করলে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
চর্বিযুক্ত মাছঃ ম্যাকেরেল, হারিং, সালমন এবং সার্ডিনের মতো মাছগুলোতে ওমেগা থ্রি ফ্যাট এবং প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। এসব উচ্চ ফ্যাটজাতীয় মাছ গ্রহণ করলে স্ট্রেসের মাত্রা হ্রাস পায়।
রসুনঃ এখানে সালফার এবং অ্যাণ্টিঅক্সিডেণ্টের পরিমাণ খুব বেশি, যা শরীরকে স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
সূর্যমুখীর বীজঃ ভিটামিন ই এর অন্যতম উৎস। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, দস্তা এবং ভিটামিন বি থাকে যা স্ট্রেস হ্রাস করে।
ছোলাঃ ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভি
আমেনা আঁখি/নিজস্ব প্রতিবেদক