কিছু মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল হয়, আর কিছু মানুষের মন হয় কঠোর। অনেকে মনে করে থাকেন মানুষের মন কত সংবেদনশীল হবে তা ঠিক হয় তার বেড়ে ওঠার পরিবেশের উপর আবার অনেকে মনে করে থাকেন একজন মানুষ কতটুকু সংবেদনশীল হবেন তা আগে থেকেই তার জিনোম এ ঠিক করা থাকে।
পরিবেশ নাকি জিন সেই ফয়সালা করার জন্যে লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ১৭ বছরের জমজদের উপর একটি পরীক্ষা চালনা করেন। জমজরা সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। একই শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও চেহারা সম্পন্ন (আইডেন্টিকাল) ও ভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও চেহারা সম্পন্ন (নন-আইডেন্টিকাল)।
এই গবেষণার ক্ষেত্রে তারা ভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জমজদের বেছে নেন যাতে তাদের জিনোমে পার্থক্য থাকে। তবে জিনোমে পার্থক্য থাকুক আর নাই থাকুক তারা কিন্তু একই পরিবেশে বড় হয়েছে। অর্থাৎ এই জমজেরা জন্মের পর থেকেই একই পরিবেশে রয়েছে এবং তাদের জিনোম ও ভিন্ন।
প্রায় ২৮০০ জন জমজের উপর এই পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় যে সংবেদনশীলতার জন্যে জিন প্রায় ৪৭ শতাংশই দায়ী অপরদিকে পরিবেশ দায়ী বাকি ৫৩ শতাংশ।
গবেষক দলের একজন সহকারী গবেষক ড.ইলহাম আসসারি বলেন যদি একটি শিশু বেশি সংবেদনশীল হয় তাহলে সে যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় উদবীগ্ন হয়ে উঠে এবং যে কোন বিষয় নিয়ে অবসাদগ্রস্থ থাকে। অপরদিকে একজন কম সংবেদনশীল শিশুর এই সমস্যা গুলো হয় না।
গবেষকেরা বলেন,এখন আমরা জানি যে সংবেদনশীলতার জন্যে অর্ধ শতাংশই দায়ী তার জিনোম তাই এই বিষয় নিয়ে কখনো চিন্তা না করে এই সংবেদনশীলতা শক্তিতে রূপান্তর করে জীবনের চলার পথে এগিয়ে যেতে হবে।
আকিল রহমান/ নিজস্ব প্রতিবেদক