এই বছর, বৈশ্বিক উষ্ণতা আগের সব রেকর্ড কে ছাড়িয়ে যাবে। ১৪১ বছরের ভেতর ২০২০ সালের প্রথম তিনমাসই দ্বিতীয় উষ্ণতম হিসেবে অবহিত হয়েছে।
এবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভূমি ও সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল ২.০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) যা ১৮৮০ এর গড় তাপমাত্রা থেকে বেশি। এবছরের প্রথম তিনমাসের গড় তাপমাত্রা হল রেকর্ডের দিক থেকে দ্বিতীয়, প্রথম ছিল ২০১৬ সালের প্রথম তিনমাস।
NOAA এর National Centers for Enovironmental Information (NCEI) তাদের বৈশ্বিক জলবায়ুর উপর তৈরি করা মাসিক রিপোর্টে বলেছে যে, “কোন সন্দেহ নেই যে, ২০২০ সাল পাঁচটি উষ্ণতম বছরের অন্যতম হতে চলেছে। ২০১৯ ছিল দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর যখন থেকে রেকর্ড রাখা শুরু হয়। আর ২০১০ সাল গত দশকে সবচেয়ে বেশি উষ্ণ ছিল। এই অস্বাভাবিক উষ্ণতার জন্য যে মানুষই দায়ী সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
রিপোর্টে আরো আছে, “ইস্টার্ণ ইউরোপ এবং এশিয়াতে এ বছর পূর্বের গড় তাপমাত্রা থেকে ৭.২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি পর্যবেক্ষণ করা যাবে, আবার সাউথ আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা যাবে”।
সাউথ ইস্টে এ বছর বেশি তাপমাত্রা ছিল, যার গড় মান ৫৪.৬ ডিগ্রি যা ১২৬ বছরের রেকর্ড থেকে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যে গড় তাপমাত্রা ছিল সেটা ১৮৯৫ সালের পর থেকে অষ্টম উষ্ণতম।
দ্য ইউনিয়ন অফ কনসার্ন্ড সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে যে, এ রকম তাপমাত্রা বৃদ্ধি আমেরিকার জনজীবন বিশেষ করে ফ্লোরিডার জনজীবনে প্রভাব ফেলবে কারণ তাদের নিজের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে যখন বেকারত্ব তার চূড়ান্ত সীমাতে রয়েছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত পাওয়ার শাট ডাউনের কোন ঘটনা না থাকলেও অচিরেই তা হতে চলেছে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
বিজ্ঞানীরা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মিসিসিপি অঞ্চলে বন্যার আশংকা করছেন।