বিজ্ঞান তার অসামান্য অগ্রযাত্রায় আলোকদ্যূতির ন্যায় ছড়িয়ে পড়ছে। এই অগ্রগতি এবং মাইলফলক সৃষ্টিতে কিছু মানুষ অবিরত কাজ করে চলেছেন। এই বছর যাদের অবদান বিজ্ঞানে অনস্বীকার্য ছিল ন্যাচার’স টেন এর তালিকায় উঠে আসা বছরের সেই সেরা ১০ বিজ্ঞানী সম্পর্কে আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক।

বিশ্বজুড়ে এইডস এর সমাপ্তির প্রচেষ্টায় নেতৃত্বদানকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইডস-এর নেতৃত্ব দানকারী উইনি বায়ানিমা এমন এক নাম যিনি COVID-19 ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হবার মোটামুটি আগ থেকেই নিশ্চিত ছিলেন যে, সেগুলোকে ন্যায়সঙ্গত ভাবে সকলের কাছে পৌঁছে দেয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কেননা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো শুধুমাত্র অনুদানের উপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারে না।
এ সম্পর্কে তার যুক্তি ছিল প্রত্যেক সম্ভাব্য কোম্পানিকে ভ্যাকসিন তৈরি করতে সাহায্য করা এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে যতদ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য চেষ্টা করা। কিন্ত বড় বড় ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলো যেমন : Pfizer-BioNTech এবং Moderna, তারা তাদের (IP) অধিকারকে মজবুতভাবে ধরে রেখেছে ফলে ধনী দেশগুলো তাদের বেশিরভাগ ডোজগুলোকে কিনে নিয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে বুস্টার ডোজ বিতরণ শুরু করেছে, যেখানে নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর মাত্র ৬% মানুষ একটি ডোজ পেয়েছে।
বায়নিমার পূর্ব অভিজ্ঞতায় এই বৈষম্য তিনি সহজেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। বৈষম্যর বিষয়টিকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বায়োনিমা বলেন,”আমাদের প্রচলিত বৈষম্যমূলক ধারাকে স্বাভাবিক করা উচিত নয়, আমাদের এটিকে অনৈতিক, লোভী এবং ভুল বলা উচিত।”
বায়ানিমা সেই চিন্তাধারার পরিবর্তনের জন্য পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স নামে অ্যাডভোকেসি গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কাজ করছেন এবং ভ্যাকসিন সমতা আনয়নে নিজস্ব লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করছেন। সর্বোপরি বায়োনিমা বিজ্ঞানের ফল যাতে জীবন পরিবর্তন করে তা নিশ্চিতকরণে কাজ করে চলেছেন।
ফ্রিডেরিক অটো: “Weather detective“

ফ্রাইডেরিক অটো, লন্ডনের গ্রান্থাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্টের জলবায়ু গবেষক। তিনি গত সাত বছর চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত ঘটনা অধ্যায়নে অতিবাহিত করেছেন। ২০১৫ সালে তিনি চরম তাপ, ঠান্ডা, বৃষ্টিপাত, খরা, দাবানলের মাত্রার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা কতটা দ্রুত তা বিশ্লেষণ করার লক্ষ্যে WWA (World Weather Attribution) গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
কয়েক বছর আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের কোনও অঞ্চলের আবহাওয়া বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দায়ী সেটা নিশ্চিত ভাবে ব্যাখ্যা করতে হিমশিম খেতে হতো। ঠিক এ প্রশ্নেরই উত্তরটি অটো ও তার WWA গ্রুপের সহযোগীরা খোঁজার চেষ্টা করছিলেন, যেখানে অটোর সভাপতিত্বে প্রায় ১২ জন জলবায়ু মডেলার ও পরিসংখ্যানবিদরা একটি বিশেষ কৌশলের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, যেখানে তারা একসাথে ৫০ টির মত জলবায়ু সিমুলেশন নিয়ে কাজ করতে পারে।
সম্প্রতি জুলাই মাসে কানাডা এবং মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় উত্তর-পশ্চিমে একটি মারাত্মক তাপপ্রবাহ আঘাত হানে যা অতীতের রেকর্ড ভেঙে দেয় এবং শতশত লোকর প্রাণহানি ঘটায়। এটা অটোকে গভীরভাবে হতবাক করে।
অটো তার WWA দলের সাথে একটি ভিডিও কলের আয়োজন করেন এবং এ ব্যাপারে একটি দ্রুত গবেষণার পরিকল্পনা করেন। দলটি তাপপ্রবাহ কতটা ভয়াবহ ছিল তা বোঝার জন্য আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যের উপর আলোকপাত করে, জলবায়ু রেকর্ড অধ্যয়ন শুরু করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া একটি কাল্পনিক বিশ্বের সাথে এই ধরনের তাপপ্রবাহের ভয়াবহতা তুলনা করার জন্য কম্পিউটার সিমুলেশন চালায়।
ফলাফল: মানব-প্ররোচিত জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া এই অঞ্চলে এই মাত্রার তাপপ্রবাহ অসম্ভব।
এই বছর আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম এ তাপপ্রবাহের পাশাপাশি, তিনি এবং তার গ্রুপ জুলাই মাসে জার্মানি এবং বেলজিয়ামে বিধ্বংসী বন্যা, এপ্রিলে ফ্রান্সের ‘শৈতপ্রবাহ’ এবং মাদাগাস্কারে ক্রমাগত খরায় জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকাও বিশ্লেষণ করেছেন। তাদের এ গবেষণাকে আগস্টে সংঘটিত জাতিসংঘ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি বৈজ্ঞানিক কমিটির জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তঃসরকারি প্যানেলে জারি করা একটি প্রতিবেদনে প্রাধান্য দেওয়া হয় ।
“জলবায়ু পরিবর্তনে মানব সৃষ্ট প্রভাব বোঝার ক্ষেত্রে অ্যাট্রিবিউশন অধ্যয়ন সত্যিই অপরিহার্য,” বলেছেন এমিলি বয়েড, সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির একজন সামাজিক বিজ্ঞানী যিনি জলবায়ু অভিযোজন এবং শাসন নিয়ে গবেষণা করেন৷ অটো বর্তমানে বয়েড ও তার দলের সাথে কীভাবে দুর্বল গোষ্ঠী এবং দেশগুলোতে অ্যাট্রিবিউশন অধ্যয়নকে পরিচিত করা যায় সে ব্যাপারে কাজ করছেন৷

২০২১ এর ১৫ মে, চীনের ইতিহাসকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যায়। এই দিন চীন তাদের প্রথম রোভার মঙ্গল গ্রহের বালুকাময় সমভুমিতে নিরাপদে অবতরণ করায়। আর এই সফল মিশনের অধিনায়ক হলেন ঝাং রংকিয়াও। এর পূর্বে চীন কখনও ৪৭৫- মিলিয়ন- কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এমনটি করতে পারি নি।
এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে Tianwen-1, যার প্রধান ডিজাইনার ছিলেন ঝাং। তিনি ১০,০০০ হাজারের একটি দল নিয়ে এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করেছেন, যারা এই মিশন তৈরি এবং পরিচালনা করে। এই প্রকল্পটিতে তারা একটি অরবিটার, একটি ল্যান্ডার এবং রোভার পাঠিছেন, যার নাম ঝারং(Zhurong)। ২০২১ সালে মঙ্গলগ্রহে পৌঁছানো তিনটি মিশনের মধ্য এটি একটি- অন্য দুটি ছিল NASA এর perseverance রোভার, এবং UAE এর অরবিটার। চীনের বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বিশ্বকে দেখানো যে তারাও চাঁদের বাইরে ভ্রমণ করতে পারে, তবে ঝাং বলেছেন মঙ্গল গ্রহ থেকে সমৃদ্ধ এবং উচ্চ-মানের তথ্য পাওয়া ছিল এই মিশনের মূল বিবেচ্য বিষয়।
Tianwen-1 ২৩ জুলাই ২০২০-এ উৎক্ষেপণ করা হয় এবং তা ফেব্রুয়ারিতে লাল গ্রহে পৌঁছে এবং মে মাসে ল্যান্ডার এবং রোভার নামিয়েছে। মহাকাশযানটি ইউটোপিয়া প্ল্যানিটিয়া নামে একটি বিশাল গর্তে অবতরণ করেছিল- কারণ এটি সমতল এবং অবতরণের জন্য তুলনামূলকভাবে নিরাপদ স্থান বলে নির্বাচিত হয়েছে। তারপর থেকে রোভারটি ১,২০০ মিটারেরও বেশি দক্ষিণে ভ্রমণ করেছে, এই সময় রোভারটি প্যানোরামিক ইমেজ এবং সেলফি তুলেছে যা অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে, ঝারং (Zhurong) হাইবারনেশনে চলে যায় কারণ সূর্য মঙ্গল এবং পৃথিবীর মধ্যে যোগাযোগের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, কিন্তু অক্টোবরের শেষের দিকে কাজে ফিরে আসে। এটি এখন এমন একটি অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে যা একসময় একটি প্রাচীন মহাসাগরের উপকূলরেখা ছিল, যেখান থেকে গবেষকরা মঙ্গল গ্রহের বিবর্তন সর্ম্পকে সূত্র অনুসন্ধান করতে পারবেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে জানেনা এমন মানুষ এখন কমই আছে, কিন্তু আমরা আজকে এমন এক মানুষ সম্পর্কে জানবো যিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন কিছু নিয়ম নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন যা সচরাচর কেউ বুঝতে পারে না। ইথিওপিয়ায় জন্মগ্রহণ করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষক টিমনিট গেব্রু প্রযুক্তির বর্নবাদ ব্যাপার টি নিয়ে আওয়াজ তুলেন।
২০২০ এর ডিসেম্বরে, টেক জায়ান্ট গুগলের কাজের যাচাইকরণের কারণে গেব্রু গুগলে তার চাকরি হারান। ২০২০ সালের শেষের দিকে গেব্রু, তার সহকর্মী মিচেল এবং বহিরাগত শিক্ষাবিদদের সাথে লেখা একটি গবেষণাপত্র নিয়ে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে। কারণ সেই গবেষণাপত্রে কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যার গুলোর পরিবেশগত প্রভাব এবং সম্ভাব্য পক্ষপাতের সমালোচনা করা হয়, যা গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহার করে। গুগোল তাকে এই গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহার করতে বললে, সে এটি নাকচ করে দেয় এবং পরবর্তীতে তাকে গুগল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সুপরিচিত এই মুখকে এভাবে উৎখাতের কারণে হাজার হাজার গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা তাকে সমর্থন জানিয়ে সমাবেশ করে। তখন প্রায় ৭ হাজার গবেষক ও ইঞ্জিনিয়ার, তন্মধ্যে কিনা প্রায় ২ হাজার ৬শ জনই গুগলের এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করার জন্য পিটিশনে স্বাক্ষর করে। ফেব্রুয়ারিতে, গেব্রুর সহকর্মী মিচেলকে তার কোম্পানির ই-মেইলে গেব্রুর বিরুদ্ধে বৈষম্যের ঘটনা অনুসন্ধান করার পরে তাকেও বরখাস্ত করে গুগল।
AI-তে কৃষ্ণাঙ্গ-বিরোধী বৈষম্য এবং প্রযুক্তি সমাজের প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য যে ক্ষতির কারণ হতে পারে এই ব্যাপারটি গেব্রুর উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কি করছেন তাহলে এখন গেব্রু?
এই বছরের ২ ডিসেম্বর, Google এর সাথে তার বিচ্ছেদের ঠিক ১২ মাস পরে, তিনি বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো থেকে স্বাধীনভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অধ্যয়নের জন্য একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনি বলেন, বিগত বছরের ঘটনাগুলো তার কাছে একটি ক্রমবর্ধমান উপলব্ধি প্রতিফলিত করে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈষম্যবাদের ত্রুটিগুলিকে প্রযুক্তিগত সমস্যা হিসাবে ফ্রেম করা উচিত নয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময়, তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানী রেডিয়েট আবেবের সাথে একটি ‘ব্ল্যাক ইন এআই’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করেন। মাইক্রোসফ্টে কাজ করার সময়, তিনি এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী জয় বুওলামউইনি জানিয়েছেন যে ফেসিয়াল-রিকগনিশন সফ্টওয়্যারটি এমন লোকদের লিঙ্গ শনাক্ত করতে ভাল পারফর্ম করছেনা যারা শ্বেতাঙ্গ পুরুষ নয় বা কালো। এই অনুসন্ধানটি গেব্রুর AI-তে পক্ষপাত এবং বর্নবাদের ব্যাপারটিতে আরো মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।
তুলিও ডি ওলিভেরিয়া : “Variant tracker”

ব্রাজিলিয়ান তুলিও ওলেভেইরা ২০২১ সালে আলোচনায় আসেন কোভিড-১৯ ভাইরাসের বেটা ভেরিয়েন্ট ও ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট শনাক্ত করার মাধ্যমে।
তিনি তার বিস্তর ক্যারিয়ারে ২০১৭ সালে কোযাজুলু ন্যাটাল রিসার্চ ইনোভেশন এন্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্ম (KRISP) প্রতিষ্ঠা করেছেন যেখানে ডেঙ্গু, এইচআইভি টিউবারকুলোসিস এমনকি সারা পৃথিবীকে থমকে দেয়া কোভিড-১৯ তথা SARS-COV-2 এর জেনেটিক সিকোয়েন্স বের করা হয়েছে।
২৫শে নভেম্বর ২০২১ সালে ডি ওলেভেইরা পৃথিবীতে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের জানান দেন৷ তুলিও ও তার দল শঙ্কায় ছিল এই ভেরিয়েন্টের নতুনত্ব দেখে ৷ তাদের মনে হয় এটি টিকা গ্রহণকারী ও পূর্বে সংক্রমিতদের নতুন করে আক্রমণ করতে পারে। তার সংস্থা KRISP ডেঙ্গু, জিকা, এইডস ও যক্ষা রোগের মত ভয়ানক রোগ এর পেছনের প্যাথোজেনগুলি ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল৷ তবে করোনার মত একই ভাইরাসের এতগুলি ভেরিয়েন্ট আগে দেখা যায়নি।
তুলিও জুলাই মাসে মহামারী গবেষণা প্রতিক্রিয়া ও উদ্ভাবন কেন্দ্র (CERI) স্থাপন করেছেন ৷ কেন্দ্রটি আফ্রিকা ও দক্ষিনে মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করে।
গুগলে বা ওয়েবে আমরা যেমন কিছু সার্চ দিলে তার খুঁটিনাটি সব তথ্য এক পেজে এসে যায়, নানা আর্টিকেল সহ নানা ছবি আর তথ্য। কেমন হতো যদি যেকোনো প্রোটিন সম্পর্কে জানতে চাইলে ঐ প্রোটিনের গঠন, জটিল ভাঁজ এবং অনুঘটক পৃষ্ঠতল সম্পর্কে সব তথ্য একবারে একসাথেই পাওয়া যেত?
ঠিক এমন ই এক জিনিসের নাম হচ্ছে আলফাফোল্ড। কি কাজ করে আলফাফোল্ড?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে আলফাফোল্ড সুনিপুণ ভাবে এবং নির্ভুলতার সাথে প্রোটিন কাঠামোর গঠন দিতে পারে। এই বিস্ময়কর আবিষ্কার করেন লন্ডনের ডিপমাইন্ডের জন জাম্পার এবং তার সহকর্মীরা।
প্রথমদিকে আলফাফোল্ডের মূল ভিত্তি ছিল প্রোটিনের ধ্বংস এবং পুনর্জন্মের একটি প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষনা। CASP হচ্ছে আলফাফোল্ডের একটি প্রাথমিক সংস্করণ যা প্রোটিনের অনুক্রম থেকে প্রোটিনের আকার নির্ধারণের জন্য অন্যান্য সমস্ত অনুক্রম গুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্ত তখন আলফাফোল্ডের গবেষনা আশানুরূপ ফলাফল দিচ্ছিল না। তাই ডিপমাইন্ড জাম্পার এই গবেষণাকে আবার নতুন নিয়মে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
জাম্পার কিন্তু প্রথম থেকেই এই সেক্টরে যুক্ত ছিলেন না। তিনি একজন পদার্থবিদ ছিলেন কিন্ত পরবর্তিতে তিনি প্রোটিন ডাইনামিকস নিয়ে অধ্যয়নের জন্য মেশিন লার্নিং ব্যবহার করেন।
আলফাফোল্ডের প্রথম সংস্করণ একটি নিউরাল নেটওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে ছিল যা একটি সুনির্দিষ্ট প্রোটিনের মধ্যকার অংশগুলির মধ্যে দূরত্বের পূর্বাভাস দেয়। আলফাফোল্ডের দ্বিতীয় সংস্করণটি ২০২০ সালের শেষের দিকে আবারও CASP-এর মত ই কাজ করে তবে এবার আরও বিস্তৃত ব্যবধানে। এর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভবিষ্যবাণী পরীক্ষামূলকভাবে নির্ধারিত কাঠামোর সমতুল্য ছিল। তবে আলফাফোল্ডের আসল সফলতা আসে ২০২১এর জুলাই মাসে।
জাম্পার এবং তার দল ২০২১ এর জুলাইয়ে নিউরাল নেটওয়ার্কের পরীক্ষাকৃত কোড প্রকাশ করে যা মানবদেহের প্রায় সমস্ত প্রোটিন এবং অন্যান্য ২০টি প্রজাতির জীব মডেলের ভবিষ্যবাণী করা প্রোটিন কাঠামোর তথ্য প্রকাশ করে। দলটি প্রায় মোট আড়াই লক্ষ প্রোটিন কাঠামো যুক্তরাজ্যের হিনক্সটনে ইউরোপীয় মলিকুলার বায়োলজি ল্যাবরেটরির ইউরোপীয় বায়োইনফরমেটিক্স ইনস্টিটিউটের সাথে প্রকাশ করে। তারা ২০২২ সালে এই গবেষনা দ্বারা ১৩০ মিলিয়ন প্রোটিন কাঠামো প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছে। বর্তমানে গবেষকদের কাছে আলফাফোল্ডের জনপ্রীতি ব্যাপক। গবেষকদের মতে এই আলফাফোল্ড এবং প্রোটিন চেইনের আবিষ্কার গুলো জীববিজ্ঞানকে এক নতুন যুগে নিয়ে যাচ্ছে।
ভিক্টোরিয়া তাউলি-কর্পুজ: “Indigenous defender”

ভিক্টোরিয়া তাউলি কর্পূজ একজন প্রাক্তন বিপ্লবী, যিনি আদিবাসীদের জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু রক্ষার জন্য তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে সাহায্য করেছিলেন।
ভিক্টোরিয়া তাউলি কর্পূজ, যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে জলবায়ু শীর্ষক সম্মেলন COP26-এ বন সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং গাছপালা ও মাটিতে কার্বন আটকে রেখে বৈশ্বিক উষ্ণতার রোধে বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
‘আদিবাসীরা বন এবং জীববৈচিত্র্যের অন্যান্য অভয়ারণ্য গুলোর সেরা সংরক্ষক’-বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকার, পরিবেশবাদী এবং জনকল্যাণমূলক সংস্থাগুলোর সামনে তাউলি- কর্পূজ এ মতামত তুলে ধরেন।
“বিশ্ববাসী তার এই ধারণাকে ধারণ করতে শুরু করেছে এবং বিজ্ঞানও এ ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছে”-বলেছেন রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থনীতিবিদ ডেভিড কাইমোভিটজ।
তাউলি- কর্পূজ বুঝতে পেরেছিলেন যে আদিবাসীদের ভাগ্য এবং বিশ্বের অরণ্য একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তিনি বলেছেন-“সংরক্ষণের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে কারণ পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্য এবং কার্বন এর বেশিরভাগ অংশই ধারণ করে এমন বনগুলো বিশ্বের আদিবাসীদের আবাসস্থল।” সাম্প্রতিক সময়ে স্যাটেলাইট ইমেজের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা একই সিদ্ধান্তে এসেছেন।
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক একটি যুগান্তকারী ঘোষণা গৃহীত হয় যা প্রথমবারের মতো আদিবাসীদের সম্মিলিত অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। এরপর তাউলি কর্পূজ জাতিসংঘের জলবায়ু কনভেনশন এর অধীনে সেই প্রচেষ্টা কে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি তে আদিবাসী অধিকারের স্বীকৃতি আদায়ে সহায়তা করে। COP 26 শীর্ষ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এবং কার্বন বাজার নিয়ন্ত্রণকারী একটি চুক্তিতে আবারও আদিবাসী অধিকারগুলো স্বীকৃতি দেয়।
২০১৪-২০২০সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের একজন বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবে বিশ্ব ভ্রমণ করে তিনি আদিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করেছেন। জাতিসংঘের কাছে ২০১৬ সালের একটি প্রভাবশালী প্রতিবেদনে, তিনি কীভাবে জাতীয় উদ্যান এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের মতো সুরক্ষিত অঞ্চলগুলির সৃষ্টি এবং প্রয়োগ প্রায়ই আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার এবং ভূমি দাবির উপর প্রভাব ফেলে তার উপর আলোকপাত করেছেন।
এখন তাউলি কর্পূজ তার নিজস্ব ফাউন্ডেশন-এর ফিরে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোকে তাদের নিজস্ব শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করছেন। এটি প্রকৃতপক্ষে আদিবাসীদের নিজেদের ক্ষমতায়নে সহায়তা করার বিষয়ে, তিনি বলেন, “আশা করি, তাদের যা করা দরকার তা করার জন্য আমরা তাদের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারি।”

গিয়ম কাবানাক নামক এই কম্পিউটার বিজ্ঞানীর সাহায্যে নতুন এক ধরনের জাল কাগজের সন্ধান পাওয়া গেছে।
‘ছমছমে পাতালে হামাগুড়ি দিয়ে চলা’, ‘বুকে মারাত্মক ক্ষতি’, ‘সূর্যকেন্দ্রিক শক্তি’- এ শব্দগুচ্ছগুলো শুনলে মনে হবে যে তাদেরকে কোন কল্পকাহিনী থেকে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু এগুলো আসলে বিভিন্ন স্কলারলি লেখায় পাওয়া বিবিধ বৈজ্ঞানিক শব্দের জায়গায় ব্যবহৃত অদ্ভূত শব্দগুচ্ছ। গিয়ম কাবানাক, ফ্রান্সের টুলুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, প্রতিদিনই বিভিন্ন একাডেমিক কাগজে এসব অদ্ভূত শব্দের মুখোমুখি হন।
কাবানাক এবং তাঁর সহকর্মীরা এ ধরনের শব্দগুচ্ছের নাম দিয়েছেন “টর্চার্ড ফ্রেজেস” বা নির্যাতিত শব্দ। এখন পর্যন্ত তাঁরা এমন কয়েকশো পেপার পেয়েছেন। ২০১৫ সালে ফ্রান্সের গ্রেনোবল আল্পস বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী সিরিল ল্যাবি-র সাথে একসাথে কাজ করার সময় কাবানাক প্রথম এ জাল কাগজগুলোর পান।
এসসিএলজেন (SClgen) নামক একটি সফটওয়্যার এর সাহায্য নিয়ে অর্থহীন কম্পিউটার সাইন্সের কাগজ শনাক্ত করা জন্য ল্যাবি একটি প্রোগ্রাম তৈরি করেন। কাবানাক ল্যাবিকে তার প্রোগ্রামটি আরও উন্নত করতে সাহায্য করেন। এর ফলে প্রোগ্রামটি অপূর্ণ লেখা পেপারও খুঁজতে এবং স্কলারলি সাহিত্যের জন্য ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন, ডাইমেনশন, এর সাহায্যে পেপারগুলোর অবস্থান জানতেও সক্ষম হয়।
সচেতনতা বাড়াতে কাবানাক এবং তাঁর সহকর্মীরা বিভিন্ন প্রকাশকদেরকে ইমেইল করেন এবং তাঁদের আবিষ্কার বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম এবং পাবলিকেশন-পরবর্তী রিভিউ-সাইট পাবপিয়ার (PubPeer)-এ প্রকাশ করেন। কাবানাক প্রশ্নবোধক ম্যানুস্ক্রিপ্ট শনাক্ত করে রিপোর্ট করার জন্য প্রবলেমেটিক পেপার স্ক্রীনার নামের একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করেন।আরো গভীরে তদন্ত করে তাঁরা বলেন যে, হয়তোবা মেশিন এর সাহায্যে প্যারাফ্রেজ (paraphrase) করায় এ বিকৃত টার্মগুলো তৈরি হয়েছে।
কাবানাকের সাথে কাজ করা সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার গবেষক জেনিফার বায়ার্নের মতে, “পিয়ার-রিভিউয়ের (peer review) ব্যর্থতার ফলেই এসব নির্যাতিত শব্দগুলোর উৎপত্তি হয়। অন্যথায় শব্দগুলো যে ঠিক নয় তা নিশ্চয় পিয়ার-রিভিউয়ের সময় সচেতন কারোর চোখে পড়তো।”
এমন প্রতিটি শব্দ প্রথমে একজন মানুষ শনাক্ত করেন, তারপর একটি সার্চ অ্যালগরিদম এর সাহায্যে ডাইমেনশনে কোন কোন পেপারে এ শব্দটি আছে তা খুঁজে বের করা হয়। কাবানাক এবং একদল সাহায্যকারী নিজে হাতে এর প্রত্যেকটি পেপার পড়ে এ শব্দগুলো উপড়ে ফেলেন। কাবানাকের ইচ্ছা আস্তে আস্তে এমন একটি প্রোগ্রাম তৈরি করা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই নির্যাতিত শব্দগুলো খুঁজে বের করবে।
কাবানাক আশা করেন যে তার কাজ বৈজ্ঞানিক সাহিত্যকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করবে। তবে তিনি জানেন যে এটি সহজ হবে না। “আমি ভয় পাচ্ছি যে আরও অনেক প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হবে যার ফলে ভুল শব্দ ব্যবহার করে পেপার প্রকাশিত হবে, কিন্তু সেগুলো সনাক্ত করা কঠিন হবে,” বলেন তিনি, “তারপরও আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

একজন সরকারি মহামারী বিশেষজ্ঞ স্রোতের বিপরীতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্যের বিশ্লেষণ টুইট করেছেন।
২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের একজন মহামারী বিশেষজ্ঞ, মেগান ক্যাল, দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ছড়ানো SARS-CoV-2 ভেরিয়েন্ট নিয়ে একটি টেকনিক্যাল ব্রিফিং তৈরি করতে সাহায্য করেন। রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার প্রায় আধাঘণ্টা পর তিনি নতুন একটি জিনিস চেষ্টা করেন: তিনি রিপোর্টটির মূল পয়েন্টগুলো ভেঙ্গে, সেগুলোকে সহজভাবে বর্ণনা করে, একটি টুইট প্রকাশ করেন।
ক্যাল পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই)-এর একজন কর্মচারী। করোনাভাইরাস এর বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট নিয়ে মানুষের মাঝে ক্রমশই বিভ্রান্তি এবং অস্থিরতা বাড়ার ব্যাপারটি ক্যাল লক্ষ্য করেন, এবং সরকারি তথ্যগুলো আসলে কী বোঝাচ্ছে তা তিনি জনসম্মুখে ব্যাখ্যা করতে চান।
শীঘ্রই তার একদল দর্শক জুটে যায়। এভাবেই শুরু হয় ক্যালের তাঁর এজেন্সির করোনাভাইরাস রিপোর্টগুলোকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করে টুইট করার কাজ। টুইটগুলোর মাধ্যমে তিনি সরকারি দলের হয়ে একরকম প্রতিনিধিই হয়ে যান। তাঁর মাধ্যমে ২০২১ সালে মানুষ কোভিড-১৯ নিয়ে অনেক প্রশ্নের সহজ উত্তর পেয়ে যায়।
অনেক ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তির কারণে পাবলিক হেলথ এজেন্সিগুলো তাদের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছিল। আর তখনই আবির্ভাব হয় ক্যালের। ক্যাল বিশ্বাস করেন যে তার এই টুইটগুলোর মাধ্যমে মানুষের সরকারি তথ্যের উপর আস্থা বেড়েছে। ক্যাল কোভিড-১৯ এর আগে, প্রায় ১০ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি এজেন্সির হয়ে যুক্তরাজ্যের HIV ইনফেকশন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি বলেন যে HIV-তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে তাঁর কাজ করে তিনি মানুষের বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গিগুলো বোঝার আরো ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক জেনেট উডকককে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ( FDA) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরপরই ৮২টি বিরল রোগের রোগী এবং তাদের পক্ষসমর্থক সংস্থা দ্বারা স্বাক্ষরিত চিঠিতে তার নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা এবং ওষুধ-অনুমোদনের সিদ্ধান্তে রোগীর মতামতকে একীভূত করার কৌশলকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।
৩৫ বছর বয়সী জেনেট উডকোক তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় ওষুধের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিতকরনে কাজ করেছেন। উডকক অত্যাধুনিক ডায়গনিস্টিক পরীক্ষার সাথে মিলিত ওষুধের অনুমোদনের জন্য উন্নত ক্লিনিকাল-ট্রায়াল ডিজাইন এবং ওষুধ-মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে আধুনিকীকরণ করতে কাজ করে গেছেন। এছাড়াও অনুমোদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তিনি রোগীদের অবস্থার অগ্রগতিকে বিশেষভাবে তত্ত্বাবধায়ন করেছেন। নিয়োগের পূর্বপর্যন্ত জেনেট উডককের যাত্রাটি মোটেও সহজ ছিল না। তাকে প্রচুর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে সব সমালোচনা কে উপেক্ষা করে উডকক মন্তব্য করেন:
“আমি মনে করি FDA অধিকাংশ সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং সারা বিশ্বে ওষুধ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আদর্শ মানদণ্ডে কাজ করে চলেছে।”
প্রতিবেদক : মো: গালীব হাসান, আরাফাত রহমান, জান্নাতুল মাওয়া, হৃদিতা ইফরাত, অনামিকা রায়, হাসিনাত রিফা, বাসমা আহমেদ সামি