প্রতি মাসেই পৃথিবী একটা নতুন চাঁদের দেখা পায়,কিন্তু গতমাসে এই সংখ্যাটি দুইয়ে উপনীত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ১৫,ভোর চারটা। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের টুসনের ৯০০০ ফিট উঁচুতে অবস্থিত মাউন্ট লেমন অবজারভেটরিতে বসে দুইজন এস্ট্রোনোমার তাদের কম্পিউটার স্ক্রিনে তারার ব্যাকগ্রাউন্ডের মধ্যে একটি ডট সদৃশ বস্ত দেখতে পান।
“এটাকে দেখতে অন্যান্য গ্রহাণুদের চাইতে ভিন্ন কিছু মনে হয়নি।কিন্তু এটা সূর্যের বদলে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে আবর্তন করছিল।” – ড. উইয়ার্জকোস বলেন। আবিস্কারটি যদি সঠিক হয়,তাহলে 2020 CD3 নাম দেয়া চাঁদ টি হবে দ্বিতীয় মিনি মুন।
“ক্ষণজীবী এসব সঙ্গী পৃথিবীর জন্য সাধারণ ব্যাপার” – ইউনিভার্সিটি অফ ক্যান্টারবারির এস্ট্রোনোমার মাইকেল ব্যানিস্টার বলেন। মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার,গ্রহাণু আবিস্কারের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, মঙ্গলবার নতুন চাঁদ খুঁজে পাওয়ার তথ্য প্রকাশ করে।
2020 CD3 কি দিয়ে তৈরি তা এত তাড়াতাড়ি বলা সম্ভব নয়।কিন্তু অধিকাংশ এস্ট্রোনোমার এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে এটা রকেট বা মানুষের কোনো কর্মকান্ডের উচ্ছিষ্টাংশ নয়।ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার এস্ট্রোনোমার বলেন, “এর আকার হতে পারে ছোট গাড়ির মত” । দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে যাবে বলে নাসার গবেষক পল কোডাস আশা প্রকাশ করেন।
পৃথিবীর আশপাশে এমন অনেক বস্তুই ঘোরাফেরা করছে।”কোয়াসি মুন” নামে পরিচিত গ্রহাণু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলেও এরা পৃথিবীর এতই কাছে অবস্থিত যে এদের ছোট চাঁদ সদৃশ মনে হয়।পৃথিবীর ট্রোজান নামক গ্রহাণু রয়েছে।কিন্তু এরা কেউই চন্দ্রের মত, কিংবা সদ্য আবিস্কৃত 2020 CD3 এর মত সত্যিকারের উপগ্রহ নয়।
|
শখের কিছু পর্যবেক্ষক 2020 CD3 কে স্পেস জাংক মনে করলেও ড. কোডাস এর মতে রকেটের অংশের চলাচল মহাশূন্যে ভিন্নরকম হত। এস্ট্রোনোমাররা 2020 CD3 এর প্রকৃতি জানার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
কিন্তু ড. কোডাস বলেন, “এটি ক্রমেই নিষ্প্রভ হয়ে আসছে এবং জুন নাগাদ এর এটি এতটাই নিষ্প্রভ হয়ে যাবে যে একে আর দেখতে পাওয়া সম্ভব হবেনা।”