জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুদ্ধ করার জন্য কার্বন সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র অনেক বেশি কার্যকর।
বন্য প্রাণীর বাসযোগ্য এলাকাকে রক্ষা করবার পাশাপাশি আমাদেরকে ইকো-সিস্টেমের তত্বাবধান করতে হবে যেগুলো ধ্বংস হলে বিশাল পরিমাণে কার্বন ডাই -অক্সাইড নির্গত হবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনকে মাথায় রেখে শুধুমাত্র বন্যপ্রাণীর বসবাসযোগ্য বলেই নয় কার্বন নির্গমন কমানোর জন্যেও আমাদেরকে বন্য পরিবেশের রক্ষা করতে হবে। এর জন্যে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার দরকার।
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুদ্ধ করার জন্য কার্বন সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র অনেক বেশি কার্যকর। শত শত বছর ধরে এসকল পরিবেশ বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন সংগ্রহ করে মাটিতে এবং তাদের বৃক্ষে সংরক্ষণ করে রেখেছে। এই প্রক্রিয়ায় তারা নিজেদের মধ্যে জীবন্ত কার্বনের ভান্ডার লুকায়িত রেখেছে।
যখনই বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন তাদের মধ্যে থাকা কার্বনকে তারা কার্বন ডাই-অক্সাইড হিসেবে পরিবেশে নির্গত করে। ফলাফলস্বরূপ পরিবেশের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বাড়তে থাকে।
পরিবেশবাদীরা পরিকল্পনা করছে মানুষের কোন কোন কাজের ফলে বেশি কার্বন নির্গত হয়, পরিবেশের কোন কোন অংশ থেকে বেশি কার্বন নির্গত হচ্ছে, কী পরিমাণ কার্বন নির্গত হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে নির্গত কার্বনের কতটুকু আমরা পরিবেশে ফিরিয়ে দিতে পারব এবং ২০৫০ সালের মধ্যে অবশ্যই কার্বন নির্গমনের হার কমিয়ে শূণ্যে নামিয়ে আনতে হবে।
আরেক সমীক্ষায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে যে, বিশ্বের কিছু কিছু অংশ থেকে নির্গত কার্বন পুনরায় শোষণ করার মতো নয় এবং এই ক্ষতিপূরণ করতে কমপক্ষে তিন দশক সময় লাগবে।
জীবন্ত কার্বন মজুদ রক্ষা করার জন্য আমাদেরকে অতি দ্রুত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষত নিচের তিনটি স্থানকে প্রাধান্য দিয়েঃ
১.গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল
২.ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল
৩.অতি পুরনো বনাঞ্চল
এ সকল পদক্ষেপ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি আমাদের ব্যক্তিগতভাবেও নিতে হবে। আমাদের উপর নির্ভর করছে আমাদের আগামী পরিবেশ এবং আমাদের জীবন কালের অবস্থা কিরূপ হবে।
গোলাম কিবরিয়া / নিজস্ব প্রতিবেদক