১৯৭০ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা কার্বন-ডাই-অক্সাইড, পানি এবং সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে তরল জ্বালানি তৈরির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গাছপালা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে যে প্রক্রিয়ায় কার্বোহাইড্রেট উৎপাদন এবং শক্তি সঞ্চয় করতে সূর্যের আলোকে ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা এটিকে “কৃত্রিম পাতার” মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে চান।
গবেষকরা এমন কিছু আবিষ্কার করেছেন যেটি সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে পানি থেকে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন আলাদা করে। পরবর্তীতে এটিকে বিদ্যুতে রূপান্তর করা যায়। ধারণাটি মূলত একটি কৃত্রিম পাতার মতো। একজন গবেষক বলেন, “আমাদের যা আছে তা একটি সমন্বিত মডিউল যা সূর্যের আলোকে বিদ্যুতে পরিণত করে যা তড়িৎ-রাসায়নিক বিক্রিয়াকে চালিত করে। রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য এটি পানি এবং সূর্যের আলো কাজে লাগায়।”
বিজ্ঞানীরা প্রক্রিয়াটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের বিষয়ে ধীরে হলেও যথেষ্ট অগ্রগতি করেছেনঃ
১.পানি থেকে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন আলাদা করে এমন সিস্টেমের বিকাশ ঘটিয়েছেন।
২. সৃষ্ট অনুঘটক; যেগুলো হাইড্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডকে জ্বালানীতে রূপান্তর করতে সক্ষম।
এখন যা বাকি আছে তা হল সস্তা এবং প্রচুর পরিমাণে উপকরণ ব্যবহার করে সাশ্রয়ী উপায়ে উভয় প্রযুক্তি একত্রিত করা। কারণ এই প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পদার্থগুলি ব্যয়বহুল। তাছাড়া এগুলো তাপ এবং আর্দ্রতার দ্বারা খানিকটা প্রভাবিত হয়।
জেনারেটরটিকে একটি পরিবেশবান্ধব ডিভাইস বলা যায়, যা পানি এবং সূর্যের আলো নেয় এবং বায়বীয় হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে ছড়িয়ে দেয়।
উদ্ভিদের বিপরীতে ভবিষ্যতের সৌর জ্বালানী উৎপাদনের এই জেনারেটরটি দুটি ফটো-ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করবে সূর্যের আলো শোষণের জন্যে।জেনারেটরটির অ্যানোড প্রান্ত বর্ণালির নীল রং শোষণ করে পানি থেকে অক্সিজেন আলাদা করে এবং ক্যাথোড প্রান্তটি বর্ণালীর লাল রং শোষণ করে পানি থেকে হাইড্রোজেন আলাদা করে।
গোলাম কিবরিয়া/ নিজস্ব প্রতিবেদক
+1
+1
+1
+1
2
+1
+1
+1
1