প্রতিদিন হেলথ্ টিপস পেতে ডায়াল করুন *!@%# নাম্বারে, চার্জ ২ টাকা প্রতি ম্যাসেজ! এই মাসে এই সার্ভিস নেওয়ায় দরকার নেই। কারণ, বিশ্বসেরা ডাক্তারদের পরামর্শ থেকে আমরা আপনাদের জন্য বের করেছি ২৫ টি বেস্ট হেলথ্ টিপস!
প্রথম পর্বের লিঙ্ক- সুস্বাস্থ্যের জন্য সেরা ২৫টি হেলথ টিপস -পর্ব ১
১৩. জি আই,জেন :
উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত কার্বোহাইড্রেট, যেমন: রুটি, চিনি, মধু এবং শস্য জাতীয় খাদ্য আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করবে এবং আপনার বিপাককে ত্বরান্বিত করবে। আপনি যদি চর্বি পোড়াতে ইচ্ছুক হন, তবে শিম, চাল, পাস্তা, মসুর, মটরশুটি এবং ওট ব্র্যান গ্রহণ করুন, এদের সবারই জি আই সূচক কম।
১৪. জীবনকে উপভোগ করুন :
সম্ভবত আপনি এই পুরোনো বাক্যটি শুনেছেন, একটি মাশরুম স্টাফ করার জন্য জীবন খুব ছোট। কিন্ত আপনার সম্ভবত বিপরীত বিবেচনা করা উচিত; জীবন খুব ছোট; সাধারন, সহজ কাজ গুলোর উপর ফোকাস না করার জন্য। ধীরগতিতে এবং মূল বিষয়গুলোর উপর ফোকাস করে, যে সব কিছু আপনাকে দুঃখিত করে সে সব কিছু আপনার মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। তারপর আপনি সাধারন সহজ কাজগুলো করার সময়ও তার উপর ফোকাস করতে পারবেন, হোক সেটা গাছে পানি দেওয়া বা আপনার পোশাক ইস্ত্রি করা।
১৫. বিরতির সময় মেদ কমান :
আপনার ফিটনেস বাড়াতে ও দ্রুত ওজন কমাতে বিরতির সময় ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ট্রেডমিল বা স্টেপ মেশিনটিকে নির্দিষ্ট প্রোগ্রামে সেট করুন যেখানে আপনার গতি কাজের পরিমাণ প্রতি মিনিটে পরিবর্তিত হয়। এই রুটিনটির নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন। এটি শুধুমাত্র কম একঘেয়ে–ই নয়, সাথে এটি স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষনে আপনাকে বড় ফলাফল অর্জনে সহায়তা করবে।
১৬. কোমল পানীয়/বিয়ার ছাড়া বিশ্রাম নিন :
ব্যায়ামের পর অন্তত এক ঘন্টা কোনো কার্বোহাইড্রেট গ্রহন করবেন না। এটি আপনার শরীরের চর্বি ভেঙে ফেলতে বাধ্য করবে। এই সময়ে আপনি ফল বা ফলের জুস পান করতে পারেন।
১৭. ধূমপান থেকে দূরে থাকুন :
আর যদি আপনি ইতিমধ্যে ধূমপান করেন, তাহলে আপনার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করুন তা ছেড়ে দিতে। ধূমপানের কারনে সৃষ্ট হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি ছাড়াও অর্থোপেডিক সার্জনরা দেখেছেন ধূমপান হাড়ের ঘনত্ব হ্রাসকে ত্বরান্বিত করে ও রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়।
১৮. আপনার পরিবারের ইতিহাস সম্পর্কে জানুন :
আপনার জানা প্রয়োজন আপনার পরিবারে কোনো বংশগত রোগ রয়েছে কিনা। আমেরিকার মায়ো ক্লিনিক(Mayo Clinic) এর মতে আপনার পিতামহের মৃত্যুর কারনটিও উপকারী হতে পারে, এমনকি জীবন রক্ষাকারীও হতে পারে।
১৯. নিয়মিত নিজের শরীর পরীক্ষা করুন :
বর্তমানে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করুন। আপনার স্তন পরীক্ষা করার সর্বোত্তম সময় আপনার পিরিয়ড/ মাসিকের পরের সপ্তাহ।
২০. পোষা প্রাণিতে অ্যালার্জি :
আপনি যদি আপনার বিড়াল, কুকুর বা যেকোনো পোষা প্রাণির প্রতি অ্যালার্জিক হয়ে থাকেন, তবে এর কারনে কষ্ট পাওয়া বন্ধ করুন এবং বাড়িতে একটি বায়ু ফিল্টার ইন্সটল করুন। আর যতটা সম্ভব আপনার পোষা প্রাণিকে ঘরের বাহিরে রাখুন এবং তাকে বাহিরেই ব্রাশ করুন, যেন আলগা পশম এবং অন্যান্য অ্যালার্জেন গুলো পরিষ্কার হয়।
২১. হাঁপানি বান্ধব খেলাধুলা :
হাঁপানির সমস্যা থাকলে আপনি হাঁপানি বান্ধব ক্রীড়া গুলো বাছাই করতে পারেন। সাঁতার কাটা সবচেয়ে হাঁপানি বান্ধব খেলা, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে সাইক্লিং, ক্যানোইং(canoeing), মাছ ধরা এবং হাঁটাও ভালো। হাঁপানি খেলাধুলায় পারফর্মেন্স এর জন্য বাধা নয়। আমেরিকান অলিম্পিক দলের ১% এর হাঁপানি ছিলো এবং তাদের মধ্যে তারা ৪১ টি পদক জিতেছিলো।
২২. সানবার্ন এড়াতে সানস্ক্রিন :
সূর্যরশ্মি মোটা, পুরু গ্লাসের মধ্য দিয়ে, এমনকি পানির নিচেও পোড়াতে পারে। ৩৫% পর্যন্ত ইউভি–বি রশ্মি ও ৮৫% পর্যন্ত ইউভি–এ রশ্মি পুরু কাঁচ ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায়। অন্যদিকে ৫০% ইউভি–বি রশ্মি এবং ৭৫% ইউভি–এ রশ্মি এক মিটার পানির নিচে সুতি পোশাক পরিহিত অবস্থায়ও প্রভাব ফেলতে পারে। যা থেকে বুঝতেই পারছেন আপনার সানস্ক্রিন প্রয়োজন হবে যখন আপনি গাড়ি চালাচ্ছেন অথবা পানি প্রতিরোধী ব্লকের প্রয়োজন হবে যদি আপনি সাঁতার কাটেন।
২৩. হাসি ও কান্না :
ভালোভাবে কান্না করা ও অনেকসময় আপনার জন্য ভালো হতে পারে। একই ভাবে হাসি ও, যা শরীরের নিরাময় করতে পারে পাশাপাশি ভাঙা হৃদয়েরও! জাপানের এক গবেষনা থেকে জানা গিয়েছে হাসি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ও শরীরে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।
২৪. ম্যাসাজ করা :
ম্যাসাজ করা আপনার দেহের রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার লসিকাগ্রন্থি গুলোর কাজে সহায়তা করতে পারবেন এবং তাদেরকে সংক্রমিত হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারবেন।
২৫. চিনিতে বিপদ :
তিন মিলিয়ন এর বেশি সাউথ আফ্রিকান টাইপ–২ ডায়াবেটিস এ ভুগে এবং এ ঘটনা দিন দিন বাড়ছেই। নতুন গবেষনায় দেখা গিয়েছে এই ধরনের ডায়াবেটিস একটি বিপাকীয় সমস্যার অংশ(এক্স সিন্ড্রোম), যার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের অন্যান্য ঝুঁকি গুলোও রয়েছে। ৮০% এর বেশি টাইপ–২ ডায়াবেটিস এর রোগী হৃদরোগে মারা যায়, তাই আপনার দেহে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন ও রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল এর পরিমাণের প্রতি লক্ষ্য রাখুন।