TikTok বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক ভিডিও অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে ১৬ বছরের একজন তরুন থেকে শুরু করে জনপ্রিয় তারকারা বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করে। অনেকে মনে করেন TikTok আজকের তরুণদের বিগড়ে দিচ্ছে বা তাদের সময় নষ্ট করছে।
কিন্তু, আসলেই কি তরুণরা TikTok থেকে বিনোদন ছাড়া আর কিছু পাচ্ছে না?
এখন যদি বলা হয়, TikTok থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় তবে কি তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে? ইউটিউবের মতো TikTok-এ বিনোদনের পাশাপাশি যদি উপার্জন করা যায় তবে ব্যাপারটা খারাপ হয় না।
গল্পটা ফিলাডেলফিয়ার দুজন তরুণের যারা TikTok ভিডিও তৈরিকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা দুই বন্ধু, একজন গ্রেগ অরবাচ অন্যজন নেট ট্যুয়ের। অরবাচ একরাতে ঘুমাতে পারছিলেন না। হুট করেই সেদিন রাতে TikTok জগতে প্রবেশ করার চিন্তা মাথায় আসে তার। এভাবেই TikTok-এ প্রবেশ করে অরবাচ।
তাদের একাউন্টের নাম Gregtube।
অরবাচের বিজনেস পার্টনার ট্যুয়ের তার বাল্যকালের বন্ধু।তারা TikTok-এ একে অপরকে নিয়ে মজাদার কিছু ভিডিও তৈরি করে, যার ফলে তাদের একাউন্টে লাইক আর ফলোয়ার বাড়তেই থাকে। তাদের একাউন্ট Gregtube-এর বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ফলোয়ার এবং ১৩.৮ মিলিয়ন লাইক রয়েছে।
এরপর তারা তাদের এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে টাকা উপার্জন শুরু করে। তাদের আয়ের মূল উৎস স্পন্সর ভিডিও।
যেখানে তারা অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে। Gregtube একাউন্টটি খোলার আগে তারা প্রোফেশনাল ভিডিও বানাতেন,
যেখানে তাদের অভিনেতা খোঁজা, লাইটিং, সাউন্ড সিস্টেম , ভিডিও এডিটিং করা ছাড়াও অনেক সময় ব্যয় হত।
আয়ও খুব বেশি ছিল না, কিন্তু TikTok-এ স্পন্সর ভিডিও বানানোর ব্যাপারে অরবাচ বলেন, “আমি এবং আমার বন্ধু কোন ঝামেলা বা খরচ ছাড়া সাধারন ক্যামেরা দিয়ে নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টে বসেই কম সময়ে ভিডিও বানাতে পারি”। এতে তাদের আয়ও বেড়েছে সাথে কমেছে তাদের পরিশ্রম আর খরচ।
তারা মনে করেন, প্রোফেশনাল ক্যামেরা থেকে সাধারন ক্যামেরা TikTok ভিডিও তৈরিতে বেশি উপযোগী। কারন হিসেবে তারা বলেন, স্পন্সর ভিডিও সাধারন ক্যামেরা দিয়ে তৈরি করলে সাধারন কোন ভিডিও মনে হয় এবং
কমার্শিয়াল দিকটি খুব বেশি ফুটে ওঠে না। তারা প্রতিটি ভিডিও তৈরির আগে তার স্ক্রিপ্ট লিখেন এবং তাদের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে ভিডিওটি উপভোগ্য করে তোলেন।