ভ্যাটিকান সিটি ইতালির রোম শহরের ভিতরে অবস্থিত স্বাধীন রাষ্ট্র। পোপ এখানকার রাষ্ট্রনেতা। এটি রোমান ক্যাথলিক গির্জার বিশ্ব সদর দফতর হিসেবে কাজ করে। সম্পূর্ণভাবে রোমের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভ্যাটিকান সিটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র, যার আয়তন ১১০ একর।উত্তর-পশ্চিম রোমের ভ্যাটিকান পাহাড়ের উপর একটি ত্রিভুজাকৃতি এলাকায়, তিবের নদীর ঠিক পশ্চিমে, ভ্যাটিকান শহর অবস্থিত। দক্ষিণ-পশ্চিমের পিয়াৎসা সান পিয়েত্রো বা সেন্ট পিটার চত্বর বাদে বাকি সবদিকে ভ্যাটিকান শহর মধ্যযুগ ও রেনেসাঁর সময়ে নির্মিত প্রাচীর দিয়ে রোম শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রাচীরের ভেতরে আছে উদ্যান, বাহারী দালান ও চত্বরের সমাবেশ। সবচেয়ে বড় দালানটি হলো সেন্ট পিটারের ব্যাসিলিকা, যা রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান গির্জা। ভ্যাটিকান সিটিতে রয়েছে একটি মহাকাশ অবজারভেটরি, লাইব্রেরী ভ্যাটিকানা।
জেনে নেয়া যাক ভ্যাটিকান সম্পর্কে ১০টি তথ্য-
১০. ভ্যাটিকান সিটি একমাত্র দেশ যার পুরোটাই ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত।
৯.ভ্যাটিকানে জন্মসূত্রে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব কারো নেই।এখানে নাগরিকত্ব দেয়া হয় কাজের সূত্রে যারা এখানে থাকে তাদেরকে।ভ্যাটিকানে কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিক ও নেই।
৮. ভ্যাটিকানে ভ্রমণকারীদের পাসপোর্টে সে দেশের কোনো প্রকার স্ট্যাম্প দেয়া হয়না।
৭. এই দেশের ডাক ব্যবস্থা পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট ডাক ব্যবস্থা।অনেকে ইতালি থেকে ভ্যাটিকানে আসেন চিঠি পাঠানোর জন্য।
৬. যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনাতে ভ্যাটিকান সিটির মালিকানাধীন একটি টেলিস্কোপ রয়েছে যার নাম The Vatican Advanced Technology Telescope (VATT)
৫. পোপের নিরাপত্তার জন্য ১৩৫ সদস্যের একটি সুইস বাহিনী রয়েছে।এই বাহিনীর সদস্য নিয়োগের জন্য রয়েছে কিছু মানদণ্ড।
৪.ভ্যাটিকান সিটির নিজস্ব ইউরো রয়েছে।এই ইউরো সমগ্র ইউরোপ জুড়েই কাজে লাগানো যায়।
৩. ভ্যাটিকান সিটি এমন একটি দেশ যেখানে দেশের জনসংখ্যার চেয়ে পর্যটক সংখ্যা বেশি।
২. ভ্যাটিকানের রেল নেটওয়ার্ক বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেল ব্যবস্থা যা মূলত পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।
১.ভ্যাটিকান সিটিতে পানীয় হিসেবে ওয়াইন এর ব্যবহার বিশ্বে সর্বাধিক।