প্রতিবছর আমের মৌসুম এলেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে টন কে টন আম ধ্বংস করা হয়?কিন্ত আমে কি বিষাক্ত কোন কেমিক্যাল আছে কিনা সেটার উপস্থিতি এখনো পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা ম্যাজিস্টেটরা নিশ্চিত করতে পারেন নি।
একজন কৃষিবিদ হিসেবে কৃষি বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করি কৃষি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের।এবার আসি আসল কথাতে।প্রত্যেকটা ফল পাকানোর জন্য দায়ী কেমিক্যাল হলো ইথিলিন।যেটা প্রাকৃতিক ভাবেই ফলের ভিতরে তৈরি হয়।
আর রাসায়নিক ভাবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো আমের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম কার্বাইড স্বাভাবিক তাপমাত্রা (২৫° সেঃ)ও চাপে (১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল)বাতাসের সংস্পর্শে এসে সিন্থেটিক ইথিলিন তৈরি করে যেটা প্রাকৃতিক ফল পাকানোর মত কাজ করে।যার কারনে আম তাড়াতাড়ি পাকে।জেনে রাখা ভাল কার্বাইড আমের গায়ে স্প্রে করা হয়।
এক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো কার্বাইড দিয়ে পাকানো আমের বহিরাবরণ ধুয়ে খেলে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কারন এটা ফিউমিগেন্ট(ধোয়া তৈরি করে) এবং যেটা ভোলাটাইল (উদ্বায়ী) যার কোন রেসিডিওয়াল ইফেক্ট নেই।
তাই আপনি নিশ্চিন্তে কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম বা কলা ধুয়ে খেতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক ফলের যে মিষ্টতা সেটা ক্যালসিয়াম কার্বাইডে পাকানো আমের বা কলার মিষ্টতা কিছুটা কম হয়।তবে আপনি এবং আপনার পরিবার নিশ্চিন্তে কার্বাইডে পাকানো আম খেতে পারেন।এতে আপনার স্বাস্থ্য ঝুকির সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
-সোহেল রানা বাবু,
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ।