এফ এ ও (FAO) এর অনুমান অনুসারে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পানির অভাবে ভুগবে। এই সমস্যাটির সম্ভাব্য সমাধানগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে ডি্স্যালিনেশন অর্থাৎ সমুদ্রের পানিকে পানীয় পানিতে রুপান্তর করা। কিন্তু সাধারণ নদী বা কূপের পানি পানের উপযোগী করার তুলনায় ১০ থেকে ১০০০ গুণ বেশি শক্তি প্রয়োজন হয় সমুদ্রের পানিকে পানীয় উপযোগী করতে।
এই সমস্যার থেকে অনুপ্রাণিত পলিটেকনিকো ডি টরিনোর শক্তি বিভাগের প্রকৌশলীদের একটি দল সৌরশক্তিকে অধিক দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে টেকসই এবং কম খরচে একটি নতুন প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে।
পূর্ববর্তী সমাধানগুলোর তুলনায় , উন্নত প্রযুক্তি অর্থাৎ প্রদত্ত সৌর শক্তিতে উৎপাদিত পানীয় পানির পরিমাণ দ্বিগুণ করা সম্ভব এবং এটি নিকট ভবিষ্যতে আরও উন্নতির বিষয় হতে পারে বলে সম্প্রতি নেচার সাস্টেনিবিলিটি পত্রিকাতে জানায় তরূণ গবেষকদের দলটি । (এলিয়াডারো চিয়াভাজো , ম্যাট্তো মোরসিওনো , ফ্রান্সেস্কো ভিগ্লিনো , ম্যাট্তো ফাসানো এবং পিটারো অ্যাসনারী (মাল্টি-স্কেল মডেলিং ল্যাব)।
প্রস্তাবিত প্রযুক্তির কার্যনীতিটি খুবই সহজ। ম্যাট্তো ফাসানো ও ম্যাট্তো মোরসিওনো জানান , “গাছপালা থেকে তারা অণুপ্রাণিত হয়; তারা ক্যাপিলারিটি এবং ট্রান্সপিরেশন দ্বারা শিকড় এর মাধ্যমে পানি নিয়ে পাতায় পৌঁছায়। ঠিক তেমনি আমাদের এই যন্ত্রটি ছিদ্রযুক্ত উপাদান ব্যবহার করে সমুদ্রের পানি সংগ্রহ করে । যা ব্যয়বহুল পানি আহরণ পাম্প এর মতো কাজ করে কিন্তু অধিক কম খরচে। এরপর সংগৃহীত সমুদ্রের পানি সৌর শক্তির সাহায্যে উত্তপ্ত করা হয় যা বাষ্পীভূত পানিকে লবণ থেকে আলাদা করে ফেলে। এটা দূষিত ও পানীয় পানির মধ্যে একপ্রকার ঝিল্লি প্রবেশ করায় যা দ্বারা এদের মিশ্রণ ঘটে না। এভাবেই সমুদ্রের লবণাক্ত পানি থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি উৎপাদন করে যন্ত্রটি।
গবেষকরা তাদের যন্ত্রটিকে আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকরী ও টেকসই করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
+1
+1
+1
1
+1
+1
+1
+1