অনেক পূর্ব থেকেই বিজ্ঞানীরা প্লূটো-এ বালিয়াড়ির অস্তিত্ব নিয়ে বারবার আশাবাদ ব্যক্ত করে আসছিলেন।অবশেষে একবিংশ শতাব্দিতে এসে এর প্রমাণ পাওয়া গেল।
এই নতুন গবেষণায় প্লূটো সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য বের হয়ে এসছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা সম্প্রতি এ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশ করেছেন।
নিউ হরাইজেনস নামে নাসার একটি মহাকাশযান ২০১৫ সালে প্লূটো খুব কাছাকাছি দিয়ে উড়ে যায়।মহাকাশযানটির পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করেই এ বিষয়ে বিষদ জানা গেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে,এই বালিয়াড়িটি হিমায়িত মিথেন দ্বারা গঠিত।আগে ধারণা করা হতো,পৃথিবীর মত মরুভূমির জন্যে যেরকম আবহাওয়া দরকার, প্লূটো আবহাওয়া তার চেয়ে কম পাতলা।
কিন্তু ছবিগুলো বিশ্লেষণের পর এ ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। প্লূটোগতি পূর্বের অনুমিত গতির চেয়ে অনেক বেশি বলে লক্ষ্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
পৃথিবী,মঙ্গল,শুক্র,শনির চাঁদ টাইটান ও ধূমকেতু ৬৭ পির সঙ্গে,বালিয়ারির বৈশিষ্ট্যে প্লটোও এখন একই গ্রুপভুক্ত হল।
গবেষক ম্যাট টেল্ফারের নেতৃত্বে প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ দল, প্লটোর ভূতত্ত নিগে গবেষণাটি করেন।বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গবেষণা দলটির প্রধান বলেন,”কোন একক বরফ দানা শনাক্ত না করা গেলেও,কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্যের আলোকে বলা যায়,সেটি নিঃসন্দেহে একটি বালিয়াড়ি “।
বালিয়াড়ির মত দেখতে,স্পুটনিক প্লান্টিয়া নামে পরিচিত প্লূটো একটি অংশ নিয়ে তারা গবেষণাটি করেন।তারা বলেন,” বালিয়াড়িটি পাঁচ কিলোমিটার উচ্চতার বরফপানির পাহাড়ের পাশে অবস্থিত।২০০ থেকে ৩০০ মাইক্রোমিটারের মিথেন বরফ বা বালির দানায় তৈরি এই বালিয়ারি প্লূটো সম্পর্কে নতুন ধারনার সুত্রপাত ঘটাবে”
বিজ্ঞানীরা মতে,অন্যান্য সৌরজগতেও এমন বালিয়াড়ির অস্তিত্ব খুব শীঘ্রই আবিষ্কৃত হতে পারে,আর হলে সেটি সৃষ্টি করবে মহাকাশের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে নতুন একটি বৈজ্ঞানিক যুগের।
+1
+1
+1
+1
+1
+1
+1