আমরা প্রায়শই ভেবে থাকি যে আমরা কত তাড়াতাড়ি কোনকিছু শিখতে পারছি সেটা আমাদের স্মার্টনেস পরিমাপক। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে আমরা কোন কৌশল অবলম্বন করে শিখছি সেটাও আমাদের শেখায় প্রভাব ফেলে।
এমনকি ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন -যেমন আমরা কোন ফরম্যাটে পড়ছি সেটাও প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। অডিওবুকের অনেক সুবিধা রয়েছে- যেখানে খুশি নিয়ে যাওয়া যায়,এমনকি গাড়িতে বসেও পড়া যায়।
কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, আপনার উদ্দেশ্য যদি শুধু ট্রাফিকে বসে সময় কাটানো নয়,কঠিন কোনোকিছু শেখা হয়ে থাকে,তাহলে আপনার অবশ্যই কাগজের বই বা ফিজিক্যাল বুক বেছে নেয়া উচিত। নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা এক প্রবন্ধে সাইকোলজি প্রফেসর ড্যানিয়েল টি. উইলিংহাম নিজের করা এক স্টাডির বিষয়ে তুলে ধরেছেন।
![]() |
৪৮ জন স্টুডেন্টকে চাইল্ড সাইকোলজি বিষয়ে একটি বই দেয়া হয়েছিল।তারা কেউ বইটি পড়ে, কেউ বইটি শুনে। তারা সমান সময় ব্যবহার করলেও পরবর্তীতে নেয়া ১০ নম্বরের একটি কুইজে দেখা যায়,পড়ুয়ারা ৮১ শতাংশ ও যারা বইটি শুনছিল তারা ৫৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
উইলিনংহাম এখানে দুটি ফ্যাক্টরের কথা উল্লেখ করেন। বই শোনার চেয়ে পড়ার সময় সময় বেশি নিয়ে ধীরে ধীরে পড়া হয়।আর কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে পড়াটা কাজে লাগে।পড়ার সময় চোখের নড়াচড়াও এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। কোনো কিছু পড়লে কল্পনায় তার একটা প্রতিবিম্ব গড়ে ওঠে।এই দিকটিও কঠিন বিষয় ভালোভাবে শিখতে সহায়তা করে।
অন্যদিকে নরওয়েতে করা এক গবেষণা অনুযায়ী যারা বইয়ে কোনো গল্প পড়ে তারা গল্পের কাহিনী ও ঘটনার ক্রম ভালোভাবে মনে রাখতে পারে,যেটা স্ক্রিনে গল্পের বই পড়া ব্যক্তিরা পারেনা।
অডিওবুক ব্যবহার করা খারাপ কিছু নয়।তবে পড়াশোনা করার ব্যাপারটি আসলে অডিওবুক বাদ দিয়ে পুরোনো ফ্যাশনের সেই কাগজের বইকেই নির্বাচন করাই শ্রেয়।