আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন গবেষণার প্রকাশিত জার্নাল অনুসারে অনিদ্রায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হার্ট ফেলিওর এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।
পূর্ববর্তী পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণাগুলোতে গবেষকরা অনিদ্রা ও বাড়তে থাকা হৃদরোগের ঝুকির মাঝে একটি মিল খুঁজে পেয়েছেন, যা সাধারন জনগনের মাঝে ৩০% পর্যন্ত প্রভাব ফেলে।
সুসানা লারসন, পিএইচডি, প্রধান গবেষণা লেখক এবং ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, স্টকহোম, সুইডেনের কার্ডিওভাস্কুলার ও পুষ্টি মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক, বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন: “এই পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণাগুলো অনিদ্রাই কি এসব রোগের কারণ না এটি শুধু এই রোগগুলোর একটি সহযোগী তা নির্ধারণ করতে অক্ষম ছিল।”
এক মিলিয়নেরও বেশি লোকের তথ্য থেকে দেখা গেছে যে জিনগত অনিদ্রা করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হার্টের ব্যর্থতা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। ইস্কেমিক স্ট্রোকের ধরণের মধ্যে জিনগত অনিদ্রা বড় ধমনী স্ট্রোকের বাড়তে থাকা ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত ছিল।
অনিদ্রার বিষয়ে প্রথম গবেষণায় লারসন ও তার সহকর্মী মেন্ডেলিয়ান র্যান্ডমাইজেশন প্রয়োগ করেছিলেন। এটি এমন একটি কৌশল যা ফলাফলে পক্ষপাত হ্রাস করার জন্য অনিদ্রার(ইনসোমনিয়া) মতো সম্ভাব্য ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত জিনগত সূচকগুলো ব্যবহার করে। এতে চারটি প্রধান পাবলিক স্টাডির জন্য হৃদরোগ ও স্ট্রোক সহ বা ছাড়া ১.৩ মিলিয়ন মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।
গবেষকদের খুঁজে পাওয়া জিনগত সূচকগুলো দেখায়, ইনসমনিয়া তাৎপর্যপূর্ণ উচ্চমাত্রা নিয়ে করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হার্ট ফেইলিওর, ইস্কেমিক স্ট্রোক– বিশেষত বড় ধমনী স্ট্রোক(আর্টারি স্ট্রোক কিন্তু যা এট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন নয়) এর সাথে সম্পর্কিত।
লারসন বলেন,”অনিদ্রার অন্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত করে এটির চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ,”। “ঘুম এমন একটি আচরণ যা নতুন অভ্যাস এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে পরিবর্তিত হতে পারে।”
এই গবেষণার সীমাবদ্ধতা হলো ফলাফলগুলো অনিদ্রার পরিবর্তে অনিদ্রার সাথে সম্পর্কিত জিনগত সূচকগুলোকে উপস্থাপন করে। লারসনের মতে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইনসমনিয়া ছিল কিনা তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
Source-
1.https://newsroom.heart.org/news/insomnia-tied-to-higher-risk-of-heart-disease-and-stroke?preview=038
2.https://www.sciencedaily.com/releases/2019/08/190819082451.htm