যদিও কিছুটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মত শুনাচ্ছে।তবে এটা সত্য যে ড্রোন নামক যানবাহন সমূহকে জরুরী অবস্থা ভিত্তিক ওষুধপত্র সরবরাহের জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাও আবার রুয়ান্ডার উঁচু-নিচু পাহাড়ের উপর আকাশে। ব্রিটিশ স্থপতি Norman Foster বলেন, “মালবাহী ড্রোনের সাহায্যে রুয়ান্ডার দূরবর্তী এলাকা সমূহে জরুরী ও মূল্যবান ওষুধপত্র সরবরাহের ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
” বিশেষ বিশেষ ড্রোন দিয়ে রক্ত ও জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা পরিবহন করা সম্ভব হবে যথাযথভাবে ১০০কিলোমিটার(৬০ মাইল) পর্যন্ত দূরত্বের এলাকায়।
১৯৯৪ সালের ব্যপক গণহত্যার পর দেশটির রাষ্ট্রপতি পল কাগামে এখন রাজধানী কিগালি কে বিনিয়োগকারী ও বহুজাগতিক কোম্পানিগুলোর জন্যে আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত করার চেষ্টায় রত আছেন। স্বল্প সময় এ ড্রোন বন্দর তৈরীও এই পরিকল্পনারই একটি অংশ।
উঁচু-নিচু পাহাড় ও স্থলবেষ্টিত এই দেশে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সরবরাহ যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হলেও বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে এবং এ ধারা অব্যাহত আছে। Architect Farm Foster Partner এবং Swiss Federal Institute Of Technology এর পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩মিটার(১০ফুট) পক্ষপ্রসার সম্পন্ন এক একটি ড্রোন ১০কেজি (২২ পাউন্ড) ওজন এর মালপত্র পরিবহনে সক্ষম হবে।
আর,৬ মিটার (১৯.৫ ফুট) পক্ষপ্রসার সম্পন্ন এক একটি ড্রোন ১০০ কেজি (২২০ পাউন্ড) ওজনের মালপত্র পরিবহন করতে পারবে। এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনা সফলভাবে কার্যকর করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
Pilot Project আগামী বছর হতে ৩টি ড্রোন বন্দর তৈরির কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যা ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাহলে ২০২৫ সাল থেকেই রুয়ান্ডার আকাশে প্রায়শই চলমান ড্রোন দেখা যাবে।ফলে আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপন হবে সমগ্র রুয়ান্ডাজুড়ে। তাই বলাই যায়, ড্রোনবন্দর একটি প্রচেষ্টা,সম্পুর্ণ আফ্রিকায় সুস্থ ও অর্থনৈতিক ফলাফলের যথাযথ উন্নতি সাধনের ক্ষেত্রে।
+1
+1
+1
+1
+1
+1
+1