CPR কী?
হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে তাৎক্ষণিকভাবে জীবনরক্ষাকারী পদ্ধতিই হল Cardiopulmonary Resuscitation বা CPR. তাৎক্ষণিক CPR জীবনরক্ষার সম্ভাবনাকে দুই থেকে তিন গুণ বাড়িয়ে দেয়।
কেন CPR গুরুত্বপূর্ণ?
রক্তের পাম্পক্রিয়াকে চলমান রাখে, তা পুরোপুরি হোক কিংবা আংশিক। এবং এটি স্বাস্থ্যকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগপর্যন্ত রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

কিভাবে CPR দেয়া যায়?
CPR প্রদান করার দুটি নিয়ম রয়েছে :
১.স্বাস্থ্যকর্মী অথবা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তির জন্যঃ
30 বার দুই হাত একসাথে করে বুকে চাপ দেয়ার বিপরীতে 2 বার মুখে মুখ লাগিয়ে বায়ু প্রদান করতে হয়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে 100 থেকে 120 বার বুকে চাপ প্রদান করতে হয়। খেয়াল রাখা জরুরি, প্রতিটা কম্প্রেশন যেন বুকের 2 ইঞ্চি(5cm) গভীরে যায়। সর্বোচ্চ 2.4(6cm) দেয়া যেতে পারে। তবে তার থেকে বেশি হলে স্টার্নাম অথবা বুকের হাড় ভেঙে ফেলতে পারে।
২.সাধারণ ব্যক্তিদের জন্যঃ
এক্ষেত্রে যারা প্রত্যক্ষদর্শী থাকে অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সামনে যদি কোন মানুষের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তাহলে সে CPR করতে পারবে। এক্ষেত্রে মুখে মুখ দেয়া যাবে না। শুধুমাত্র হাত দিয়ে কম্প্রেশন করতে হবে। পাশে যদি অন্যান্য সুস্থ ব্যক্তি থাকে তাহলে তাদেরকে অনুরোধ করতে হবে যেন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে যোগাযোগ করে অথবা পাশে অন্য লোক না থাকলে নিজেই স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে যোগাযোগ করে তারপর সিপিআর চালু করতে হবে।

বাচ্চারাও CPR দিতে পারবে!
যদি আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশে কোন বয়স্ক ব্যক্তি না থাকে তবে নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাচ্চারা সিপিআর প্রদান করে অসুস্থ ব্যক্তিকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে ষষ্ঠ গ্রেড বা তার উপরের গ্রেডের বাচ্চা হলে বেশি ভালো হয়। আমাদের দেশেও স্কুল পর্যায়ে এটির প্রশিক্ষণে দেয়াটা জরুরী।
মহিলা ভিকটিমরা অবহেলিতঃ
অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মহিলারা পুরুষদের থেকে কম CPR পেয়ে থাকে। একই রোগী যদি পুরুষ হয় তাহলে তার সিপিআর পাবার সম্ভাবনা মহিলা হওয়া থেকে বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। কারণ একজন মহিলাও বাঁচার অধিকার রাখে। মহিলা ভিকটিমকে যদি অ্যানাটমিক্যালি অথবা রোগীর শরীর হিসেবে ভেবে সিপিআর করি তাহলে হয়তো তাকে বাঁচিয়ে দেয়া সম্ভব হতে পারে।

Cardiac Arrest বনাম Heart Attack
হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিলে অথবা পাম্প করা হঠাৎ বন্ধ করে দিলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এটি সিগন্যালজনিত (ELECTRICAL) সমস্যা।
অন্যদিকে যখন হৃদপিন্ডে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় (হৃদপিণ্ডের কাজ চালানোর জন্য নিজের খাবার প্রয়োজন। এজন্য তার দিকেও রক্ত প্রবাহিত হওয়া প্রয়োজন)। এজন্যে হার্ট অ্যাটাক ঘটে। এটা প্রবাহজনিত(CIRCULATORY) সমস্যা।
গোলাম কিবরিয়া/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্রঃ heart.org

+1
3
+1
1
+1
+1
6
+1
+1
+1