একটি স্কুলে ৫২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী। ক্লাস রুম ১০৫০টি।ভাবা যায়?
এটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের জনবহুল রাষ্ট্র লাখনৌ নগরীতে অবস্থিত। স্কুলের নাম ‘সিটি মন্টেসরি স্কুল’ বা সিএমএস’।
রেকর্ড করে নিয়েছে গিনেস বুকে। গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এর সর্বশেষ সংস্করণে বলা হয়েছে, ‘সিটি মন্টেসরি স্কুলে ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে নিবন্ধিত ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৪৩৭ জন।’
উত্তর প্রদেশে চরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংকটময় সময়ে, ১৯৫৯ সালে জগদীশ গান্ধী ও তার স্ত্রী ভারতী এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এই দম্পত্তির ইচ্ছে ছিল একটা স্কুল করার। কিন্তু তাদের সমর্থন ছিল না। কিন্তু তাদের স্বপ্ন তারা স্কুল করবেই।এক সময়ে ৩০০ রুপি ধার করে স্বপ্ন পূরনে কাজ শুরু করে দেন। শুরুতে ছিল মাত্র পাচঁজন শিক্ষার্থী। এখন সেখানে ৫২ হাজার ছাত্রছাত্রী।স্কুলটির লাখনৌ শহরেই ২০টি ক্যাম্পাস আছে।
৭৯ বছর বয়সী জগদীশ গান্ধী এখনো স্কুলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দ্বায়িত্বে রয়েছেন । স্কুলের ছাত্রদের বয়স ৩ থেকে ১৭ বছর।
প্রতি ক্লাসে ছাত্রসংখ্যা ৪৫ এবং সব ছাত্রকে স্কুল ইউনিফর্ম পরতে হয়। তবে সব ছাত্র কখনই একসঙ্গে অ্যাসেম্বলিতে যায় না। কারণ তাদের সবাইকে একত্রে ধারণ করার মতো কোনো জায়গা নেই।
স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে দুই হাজার ৫০০ জন শিক্ষক, ৩ হাজার ২৭ কম্পিউটার এবং ১ হাজার ৫০টি শ্রেণীকক্ষ ।এছাড়া স্কুলের রয়েছে ১১টি চৌকস ক্রিকেট টিম। স্কুলটি এ পর্যন্ত কোনো সরকারি অর্থ সাহায্য নেয়নি।নিচের ক্লাসের ছাত্র বেতন মাসে ১ হাজার রুপি এবং ওপরের ক্লাসে আড়াই হাজার রুপি।এর আগে ২০০৫ সালে প্রথম ছাত্রসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল হওয়ার গৌরব অর্জন করে “সিএমএস”।
সে সময় ছাত্রসংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ২১২ জন। তার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল হিসেব গণ্য হতো ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার রিজাল হাইস্কুল।এর ছাত্রসংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৭৩৮ জন।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন’-এর বিচারে এটি সেরা স্কুলের শিরোপা পায়।
২০০২ সালে এটি শান্তি শিক্ষার জন্যে জন্যে ইউনেস্কো পুরস্কার পায়।বর্তমার যুগ্ম কূটনৈতিক প্রকাশ গুপ্ত, গোল্ডম্যান স্যাচের নির্বাহী ব্যাংকার উশান গুন্ডেভিয়া সহ আরও অনেক নেতৃত্বস্থানীয় সার্জন এবং বিজ্ঞানীরা এই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
Join Us Science Bee Family
+1
6
+1
1
+1
1
+1
2
+1
1
+1
1
+1