গবেষণায় দেখা যায় যে, শিশু থেকে তরুণ এবং যুবকদের ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় ইলেকট্রনিক স্ক্রিন ব্যবহার এর ফলে মায়োপিয়া/ ক্ষীণদৃষ্টি (দূরের জিনিস স্পষ্ট না দেখা) তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন যারা বেশি ব্যবহার করে থাকে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩০% এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ৮০% বেড়ে যায়।
মানুষের চোখের ৪টি প্রধান রোগ হলোঃ
- মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি
- হাইপারোপিয়া বা দীর্ঘদৃষ্টি
- অ্যাস্টিগম্যাটিজম বা বিষমদৃষ্টি
- প্রেজবিয়োপিয়া বা চালশে
চোখের দৃষ্টিজনিত সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দূরের এবং কাছের জিনিস না দেখা, মূলতঃ
- মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি হলো দূরের জিনিস না দেখা
- হাইপারোপিয়া বা দীর্ঘদৃষ্টি হলো কাছের জিনিস না দেখা
তিন মাস বয়সের শিশু থেকে তেত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত ৩০০০ এর বেশি মানুষ এর ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায় যে তাদের প্রতিদিনের স্ক্রিন টাইম (স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার এর সময়কাল), মায়োপিয়া বা দূরের জিনিস না দেখা-র রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রবলভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে বেশির ভাগ স্কুল,বন্ধ থাকায় প্রায় কয়েক মিলিয়ন শিশু অনলাইন শিক্ষাপদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে দিনের বেশিরভাগ সময় মোবাইল/ কম্পিউটার এ ব্যয় করছে। ফলে কম বয়স থেকেই তাদের মধ্যে দূরের বস্তু ঝাপসা দেখা বা স্পষ্ট দেখতে না পাওয়া,দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
নোটিফিকেশন-ই কি আমাদের স্মার্টফোন আসক্তির কারণ? -না
নিত্যদিনের সঙ্গী স্মার্টফোনটিই কি হয়ে উঠছে আপনার মৃত্যুর কারণ?
চক্ষুবিশেষজ্ঞ প্রফেসর বোর্ন জানান “২০৫০ এর মধ্যেই পৃথিবীর প্রায় অর্ধসংখ্যক মানুষ মায়োপিয়া রোগে আক্রান্ত হবে। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী আমরা প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে স্মার্ট ডিভাইসের স্ক্রিনটাইম এবং মায়োপিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ দেখতে পাচ্ছি।“
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি আমাদের দৈনিক স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত স্মার্ট ডিভাইস এর ব্যবহার এর ফলে কম বয়সেই দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়াজনিত এই সমস্যা থেকে বাচার জন্য আমাদের স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে এবং এর ব্যবহার যেন প্রয়োজনের বাহিরে অতিরিক্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ রায়হান খন্দকার
তথ্যসুত্রঃ Science Daily
+1
+1
+1
+1
1
+1
8
+1
6
+1
5