করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর হার। এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন ভ্যাক্সিন আবিষ্কার না হলেও সম্প্রতি আমেরিকার ক্যালফোর্নিয়ার ফস্টার সিটিতে অবস্থিত গিলিড সাইন্স ইন্ডাস্ট্রি (www.gilead.com) না
বিশ্বে সর্বপ্রথম গিলিড এর আবিষ্কৃত রেমডেসিভির এর জেনেরিক ভার্সন এর উৎপাদন শুরু করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক বাজারে ঔষধ রপ্তানিকারক বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এই ঔষধ বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী নাজমুল হাসান বলেন, তারা বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জরুরী অনুমতি এবং নির্দেশনা সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঔষধটি তৈরী এবং বিপণনের ব্যবস্থা করবে।
![]() |
অবশ্য বাংলাদেশের আরো একটি স্বনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ একই ঔষধ বিপণন শুরু করেছে বেক্সিমকোর আগেই। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী সিমিন রহমান বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং নিরলস পরিশ্রমের কারণে তারা দেশের চিকিৎসকদের ক্রান্তিকালে এই ঔষধ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে।
রেমডেসিভির এর জেনেরিক ভার্সন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু করলেও বিভিন্ন উন্নত দেশ পেটেন্টজনীত সমস্যার কারণে এর উৎপাদন শুরু করতে পারেনি। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া ট্রিপস চুক্তির আওতায় অনুন্নত এবং নিম্ন আয়ের রাস্ট্র গুলো চাইলেই পেটেন্ট অনুমতি ব্যতীত নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে যেকোন দেশের ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ঔষধ নিজ দেশে তৈরী ও বিপণন করতে পারবে, যা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। কিন্তু বেক্সিমকো তাদের প্রস্তুতকৃত রেমডেসিভির বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে।
আরোও পড়ুনঃ ১। পরজীবীনাশক প্রয়োগে মাত্র ৪ দিনেই সারবে করোনা, দাবি বাংলাদেশি গবেষকদের ২। করোনা প্রতিরোধী এন্টিভাইরাল ড্রাগ ‘রেমডেসিভির’ তৈরী করছে বেক্সিমকো |
উল্লেখ্য, জেনেরিক ভার্সন ঔষধ হলো, এমন এক ধরনের ফার্মাসিউটিক্যাল ঔষধ যা পেটেন্ট দ্বারা সুরক্ষিত এবং এর তৈরী ও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে পেটেন্টকৃত প্রতিষ্ঠান এর অনুমতি প্রয়োজন হয় এবং পেটেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্বাধীনভাবে বিপণন করা যায়। সাধারণত অনুন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানার প্রয়োজন হয়না ট্রিপস চুক্তির আওতায়।
এ এন এম নাঈম/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্রঃ
১.https://en.m.wikipedia.org/
৪.https://www.statnews.com/