চাঁদ যখন পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে অবস্থান করে তখন একে আমরা সূর্যগ্রহণ বলি, যার ফলে পৃথিবীর কোনো পর্যবেক্ষকের জন্য সূর্যকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অস্পষ্ট মনে হয়।
একটি সূক্ষ্ম সূর্যগ্রহণ তখন হয় যখন চাঁদের আপাত ব্যাস সূর্যের চেয়ে ছোট হয় এবং সূর্যের বেশিরভাগ আলোকে বাধা দেয়। তখন সূর্যকে একটি এ্যানুলাস (রিং) এর মতো দেখায়।
হাজারে কিলোমিটার প্রশস্ত একটি অঞ্চল জুড়ে একটি কৌণিক গ্রহের মতো দেখা যায়। একে বলা হয় “রিং অব ফায়ার”। আগামী ২৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর অধিকাংশ অধিবাসী এমনই একটি মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে।
প্রতিবছরই মানুষ বেশকিছু মহাজাগতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে থাকে। তবে সূক্ষ্ম একটি সূর্য গ্রহনের সাক্ষী সবাই হতে পারে না। যেমনটা ঘটছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষেত্রে। ১৭২ বছর পর আমিরাত বাসী এমন একটি সূর্য গ্রহনের সাক্ষী হতে চলেছে।
এদিন প্রায় গোটা সূর্যটাকেই ঢেকে ফেলবে চাঁদ। সূর্যের অন্তত ৯১.৯৩ শতাংশই ঢেকে যাবে চাঁদের আড়ালে। সেই অবস্থা ২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড স্থায়ী হবে। সকাল ৮টা ৫ মিনিট থেকে ৮টা ৮ মিনিট পর্যন্ত সেই দৃশ্য দেখা যাবে।
“রিং অব ফায়ার” টি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, উত্তর মেরিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ এবং গুয়ামে। এছাড়া এশিয়া মহাদেশের অধিকাংশ দেশ থেকে দেখা গেলেও তা আংশিক বলেই মনে হবে সূর্যের অবস্থানের কারণে। এটি হবে ২০১৯ সালের সর্বশেষ সূর্যগ্রহণ।
সূর্যগ্রহণের কেন্দ্রীয় পথটি আরব উপদ্বীপ, দক্ষিণ ভারত, সুমাত্রা, বোর্নিও, ফিলিপাইন এবং গুয়ামের উপর দিয়ে চলে যাবে। একটি আংশিক গ্রহণ কেন্দ্রীয় পথ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূর হতেও দৃশ্যমান হবে।
এছাড়া গ্রহনটি পূর্ব ইউরোপের ছোট ছোট অংশ, এশিয়া, উত্তর / পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরের একটি বিশাল অংশ থেকেও দেখা যাবে। গ্রহণটি সর্বোচ্চ সময় দেখা যাবে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে। সেখানে এর স্থায়ীত্ব হবে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড।