২০২১ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয় বেঞ্জামিন লিস্ট এবং ডেভিড ম্যাকমিলান কে। ‘অ্যাসিমেট্রিক অর্গানোক্যাটালাইসিস বা জৈব-অনুঘটন বিক্রিয়া‘ এর বিকাশ ঘটাতে আরায় যৌথভাবে তাদের এ সম্মাননা দেয়া হয়।
তাদের গবেষণার সহজ ভাষায় প্রকাশ হলো, ‘অণু তৈরির একটি সহজ হাতিয়ার।’
অণু তৈরি বা অণুর বিকাশ ঘটানো একটি কঠিন শিল্প। বেঞ্জামিন লিস্ট এবং ডেভিড ম্যাকমিলান আণবিক নির্মাণের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নতুন হাতিয়ার ‘অর্গানোক্যাটালাইসিস‘ এর বিকাশ ঘটান। এটি ওষুধ গবেষণায় একটি বড় প্রভাব ফেলেছে এবং রসায়নকে আরও সজীব করে তুলছে।
অনেক গবেষণার ক্ষেত্র এবং শিল্পক্ষেত্র নির্ভর করে রসায়নবিদদের অণু নির্মাণ ক্ষমতার উপর। এর দ্বারা স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই উপকরণ তৈরি করা যায়, ব্যাটারীতে শক্তি সঞ্চয় করা যায়, এমনকি রোগের অগ্রগতিও রোধ করা যায়। তবে এ কাজের জন্য অনুঘটক প্রয়োজন।
Recent Nobel Chemistry Prize winners:
2020 | Emmanuelle Charpentier (France) and Jennifer Doudna (US), for developing the gene-editing technique known as the CRISPR-Cas9 DNA snipping |
2019 | John Goodenough (US), Stanley Whittingham (Britain) and Akira Yoshino (Japan) for the development of lithium-ion batteries, paving the way for smartphones and a fossil fuel-free society. |
2018 | Frances H. Arnold (US), George P. Smith (US) and Sir Gregory P. Winter (Britain) for developing enzymes used for greener and safer chemistry and antibody drugs with fewer side effects. |
2017 | Jacques Dubochet (Switzerland), Joachim Frank (US) and Richard Henderson (Britain), for cryo-electron microscopy, a method for imaging tiny, frozen molecules. |
2016 | Jean-Pierre Sauvage (France), Fraser Stoddart (Britain) and Bernard Feringa (The Netherlands) for developing molecular machines, the world’s smallest machines. |
2015 | Tomas Lindahl (Sweden), Paul Modrich (US) and Aziz Sancar (Turkey-US) for work on how cells repair damaged DNA. |
2014 | Eric Betzig (US), William Moerner (US) and Stefan Hell (Germany) for the development of super-high-resolution fluorescence microscopy. |
2013 | Martin Karplus (US-Austria), Michael Levitt (US-Britain) and Arieh Warshel (US-Israel) for devising computer models to simulate chemical processes. |
2012 | Robert Lefkowitz (US) and Brian Kobilka (US) for studies of G-protein-coupled cell receptors. |
2011 | Daniel Shechtman (Israel) for the discovery of quasicrystals. |
দেখা যাচ্ছে অনুঘটক হল রসায়নবিদদের জন্য মৌলিক উপকরণ। কিন্তু গবেষকদের দীর্ঘদিনের গবেষণা ও বিশ্বাস বলছে মাত্র দুই ধরনের অনুঘটক রয়েছে : মেটাল ও এনজাইম। বেঞ্জামিন লিস্ট ও ডেভিড ম্যাকমিলান ২০০০ সালে স্বতন্ত্রভাবে তৃতীয় একটি অণুঘটকের উদ্ভাবন ঘটান। যাকে বলা হয় ‘অ্যাসেমেট্রিক অর্গানোক্যাটালাইসিস‘। যার ফলে দুজনকেই দেয়া হয় এ বছরের নোবেল পুরস্কার।
নোবেল রসায়ন কমিটির প্রধান জোহান অকভিস্ট বলেন, “অনুঘটকের এই ধারণাটি যেমনি সাধারণ তেমনি দারুন এবং ঘটনা হচ্ছে অনেকেই এই ভেবে থাকবেন কেন আমরা এই জিনিসটি নিয়ে আগে ভাবি নি।”
জৈব অনুঘটকগুলোতে কার্বন অণুর একটি নির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে। যাতে অন্যান্য রাসায়নিক গ্রুপগুলো যুক্ত হতে পারে। এগুলোতে প্রায়শই কিছু কমন উপাদান থাকে যেমন অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, সালফার, ফসফরাস। এর অর্থ এই অঅণুঘটকগুলো পরিবেশবান্ধব ও উৎপাদনে সুলভ।
২০০০ সাল থেকে অর্গানোক্যাটালাইসিস বিস্ময়কর গতিতে এগিয়ে গিয়েছে। বেঞ্জামিন ও ডেভিড এই ক্ষেত্রটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেখিয়েছেন এই জৈব অনুঘটক অনেক রাসায়নিক বিক্রিয়ার অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। এই ‘বিক্রিয়াগুলো’ ব্যবহার করে গবেষকেরা এখন আরও দক্ষতার সাথে নতুন ফার্মাসিউটিক্যাল থেকে শুরু করে এমন কিছু অণু তৈরি কতে পারে যা সৌর কোষ বহন করতে পারে। এইভাবে অর্গানোক্যাটালাইসিস মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা নিয়ে আসছে।
নোবেলজয়ীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
কর্মস্থল: ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর কোহলেনফোর্সচং
ডেভিড ম্যাকমিলান
কর্মস্থল: প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
মাসরুল আহসান/ নিজস্ব প্রতিবেদক