করোনা ভাইরাস এখন এক আতংক। দিন দিন বাড়ছে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা। করোনাকে মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। সম্মিলিতভাবে সকলের সচেতনতার মাধ্যমেই এই মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই সচেতনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল হোম কোয়ারেন্টাইন। যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে অন্যের সংস্পর্শ থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে সুস্থ ব্যক্তির সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এখন সবাইকে নিরাপদে রাখার জন্য হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে।
কোয়ারেন্টাইন কি??
কোয়ারেন্টাইন শব্দটি ‘কোয়ারান্টাগাইরণ’ শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ ৪০ দিন। কিন্তু ভাইরাসের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে কোয়ারান্টিনে কতদিন থাকতে হবে তার নির্দেশ দেওয়া হয়।
হোম কোয়ারেন্টাইন মানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি নিজ বাড়িতে স্বেচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারান্টিনে থাকবেন এবং এ সময় নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন একই বিষয় নয়!
- সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যক্তির চলাফেরা কে সীমাবদ্ধ করা হয় কোয়ারেন্টাইন এ মাধ্যমে।
- ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা ব্যবস্থা রেখে চিকিৎসা করা হলে তাকে আইসোলেশন বলে।
কোয়ারেন্টাইনে থেকে যা যা আমাদের অনুসরণ করতে হবে:
- বাড়ির অন্য সদস্য থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে হবে
- যে রুমে থাকবো সেখানে আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে
- এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির ন্যূনতম তিন ফুট বা ১ মিটার দূরত্বে থাকতে হবে
- গোসলখানা ও টয়লেট আলাদা ব্যবহার করতে হবে
- মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে হবে এবং নিয়মিত মাস্ক,,হ্যান্ড গ্লাভস পরিবর্তন করতে হবে
- সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালভাবে হাত ধুতে হবে। দিনে অন্তত পাঁচবার ভালোভাবে হাত ধুতে হবে
- অপরিষ্কার হাতে চোখ ,নাক ,মুখ, স্পর্শ করা যাবে না
- কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে
- দৈনিন্দন ব্যবহৃত জিনিসপত্র থালা, গ্লাস ,কাপ ,তোয়ালে, বিছানা চাদর ইত্যাদি আলাদা ব্যবহার করতে হবে
- নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহৃত জিনিস গুলো ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে
কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের জন্য নির্দেশাবলী:
- কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যু ইত্যাদি ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে রাখতে হবে
- খালি হাতে কোয়ারেন্টাইন থাকা ব্যক্তির ঘরে কোন কিছুই স্পর্শ করা যাবে না
- ঘরের মেঝে আসবাবপত্র টয়লেট ও বাথরুম প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার করতে হবে
- কোয়ারেন্টাইন থাকা ব্যক্তির রুমে ঢুকলে বা বের হলে সব সময় হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে
- খাবার তৈরীর আগে পরে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে
- কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির কাপড়, বিছানার চাদর ইত্যাদি ব্যবহৃত জিনিসপত্র ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং রোদে শুকিয়ে ফেলতে হবে
- যদি কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা যায় যেমন জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট – তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে
আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করতে হবে নিজেদের সচেতনতার মাধ্যমে এবং সবাইকে সচেতন করার মাধ্যমে।
করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ-
- রক্তের গ্রুপ ‘A’ হলে করোনা ঝুঁকি বেশি, ‘O’ হলে সবচেয়ে কম – বলছে চীনা গবেষণা
- লবণ মেশানো গরম পানি কি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করে ?-না
- করোনা যেভাবে আপনার শরীরের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে !(ইন্টারেক্টিভ ডিজাইনসহ)
- ফ্যাক্ট চেক: (মিথ্যা) এক টুকরা লেবুতেই ধ্বংস হবে করোনাভাইরাস
- আমেরিকা বা চীনের ষড়যন্ত্র নয়।করোনাভাইরাস এসেছে প্রকৃতি থেকেই-গবেষণা
- করোনাভাইরাস স্মার্টফোনে প্রায় ৯ দিন জীবিত থাকতে পারে – গবেষণা
- করোনা ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে বছর সময় লেগে যেতে পারে
- করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা
+1
+1
+1
+1
+1
+1
+1