চিকিৎসকরা সর্বদাই মায়েদের পরামর্শ দেন তাদের ছোট্ট ফুটফুটে বাচ্চাকে কৃত্রিম প্যাকেটজাত দুধের পরিবর্তে বুকের দুধ পান করানোর জন্য। ইতিমধ্যে অনেক গবেষণা প্রমাণ করে যে, বাচ্চাকে স্তন্যদান করানোর মাধ্যমে মায়ের স্তন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমে যায়। বর্তমানে আরেক নতুন গবেষণা আরও একটি সুখবর দিচ্ছে।
সম্প্রতি কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজির (KAIST) কিছু গবেষক স্তন্যদান এবং এর ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যাওয়ার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন।
গবেষকদল পরীক্ষাটি চালিয়েছেন স্তন্যদানে উপযুক্ত এবং অনুপযুক্ত মানুষ এবং ইঁদুর প্রজাতির কিছু মায়েদের মধ্যে।

গর্ভধারণ এবং সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে মায়েদের শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়ার কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া বমি ভাব, মাথা ঝিমুনি, দুর্বল লাগা কিংবা পাতলা পায়খানার মত সমস্যাতো রয়েছেই।যার ফলে সন্তান জন্মদানের পর মায়ের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্তন্যদানের ফলে মায়েরা এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে।
স্তন্যদানের সময় মায়ের শরীর সেরোটোনিন হরমোন১ ক্ষরণ করে। সেরোটোনিন আবার অগ্ন্যাশয় এর বিটা সেলের সুস্থতা নিশ্চিত করে এবং বিটা সেলের উৎপাদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। আমরা জানি মানবদেহে বিটা সেল২ ইনসুলিন উৎপাদন করে। এই প্রক্রিয়ার ফলে মায়ের দেহে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা বলয় তৈরি হয়। এই সুরক্ষা বলয় পরবর্তীতে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

প্রকৃতিতে মা সন্তানের বন্ধন সর্বদাই সুন্দর। গর্ভে থাকাকালীন মা যেমন তার সন্তানের দেখাশোনা করছে। আবার মায়ের দুধ পান করার মাধ্যমে সন্তানও মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছে।
নোটঃ
১. রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হওয়া এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম কে প্রভাবিত করে।
২. আলফা, বিটা, ডেল্টা ইত্যাদি অগ্ন্যাশয়ের কিছু সেলের ধরণ
গোলাম কিবরিয়া/ নিজস্ব প্রতিবেদক
+1
1
+1
+1
+1
+1
+1
+1