গবেষকরা একাডেমিয়া বা শিল্পে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং আবিষ্কার করেন বৈজ্ঞানিক নানান সমস্যার সমাধান। এদিক দিয়ে বাংলাদেশি গবেষক-রাও আজ পিছিয়ে নেই। গবেষণার জায়গা অপ্রতুল থাকা সত্ত্বেও আমাদের গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আর এনে দিচ্ছেন সফল ফলাফল।
আজ কথা বলবো এমন তিন জন বাংলাদেশি গবেষক সম্পর্কে যাদের নাম এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০ তালিকার ষষ্ঠ সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন ডাঃ সালমা সুলতানা, ডাঃ ফিরদৌসী কাদরী এবং প্রফেসর সামিয়া সুবরিনা।
এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিনটি সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সাল থেকেই এই ম্যাগাজিনটি এশিয়ার মেধাবীদের অর্জনের স্বীকৃতি দিতে এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এ তালিকায় কেবল মাত্র সেসকল বিজ্ঞানী-গবেষকদের রাখা হয়, যারা তাদের গবেষণার জন্যে পূর্ববর্তী বছরে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।
অথবা, যদি গবেষক একাডেমিয়া বা শিল্পে নেতৃত্ব প্রদান করেন বা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করেন, তাহলেও এ মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় স্থান নিশ্চিত করা যাবে।
ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইট মতে, মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ সালমা সুলতানাকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রায়তন-কৃষকদের সাথে কাজ করার জন্য এবং ভেটেরিনারি আউটরিচ, চিকিৎসা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে তার বিশেষ প্রচেষ্ঠার জন্য ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘নরম্যান বোরলগ অ্যাওয়ার্ড ফর ফিল্ড রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন ২০২০’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ (আইসিডিডিআর) এর ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ডাঃ ফিরদৌসী কাদরি প্রাথমিক রোগ নির্ণয়, বিশ্বব্যাপী টিকা দেওয়ার পক্ষে সমর্থন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বাচ্চাদের প্রভাবিতকারী সংক্রামক রোগগুলি বোঝার এবং প্রতিরোধের জন্য কাজ করার কারণে ২০২০ সালের ‘লরিয়েল-ইউনেস্কো ফর উইম্যান ইন সায়েন্স‘ অ্যাওয়ার্ডে বিজয়ী হন।
লিস্টে থাকা অন্য একজন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ইইই বিভাগের অধ্যাপক সামিয়া সুবরিনা তার গবেষণার জন্য ২০২০ সালে ‘ওডব্লিউএসডি-এলসেভিয়ার ফাউন্ডেশন’ পুরস্কার প্রাপ্ত। তার গবেষণা ছিলো ন্যানোমোটেরিয়ালের বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার নিয়ে।
ডাঃ সালমা সুলতানা, ডাঃ ফিরদৌসী কাদরী এবং প্রফেসর সামিয়া সুবরিনার মতো গবেষকরা আমাদের দেশের গর্ব। আশা রাখি, ওনাদের মতো বাংলাদেশি গবেষক-রা আরও নিত্য-নতুন গবেষণা নিয়ে এভাবেই এগিয়ে যাবেন।
তানজিনা সুলতানা শাহীন/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন, এশিয়ান সায়েন্টিস্ট