ক্যালিফোর্নিয়ার পাহাড়ের উপরে দেখা মিলেছে একটি নতুন রহস্যময় ধাতব মনোলিথের। সাধারণত মনোলিথ মানে হলো একটি মাত্র পাথর দিয়ে তৈরি স্তম্ভ, তবে এই মনোলিথটি সম্পূর্ণ ধাতব। সেন্ট্রাল ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে অবস্থিত ছোট্ট শহর আতাসকাদিরোতে স্থানীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে যে, রৌপ্য কলামটি পাইন পর্বতের উপরে পাওয়া গেছে যেখানে কয়েক ডজন স্থানীয় দর্শনার্থীরা এটি দেখার জন্য ভ্রমণ করেছিলেন এবং ইন্টারনেটে তাদের ছবি পোস্ট করেছিলেন।
বুধবার সকালে কিছু দর্শনার্থীরা প্রথমে এই ৩ মিটার স্টেইনলেস স্টিলের স্তম্ভটি দেখেন। গত দুই সপ্তাহে ইউটা ও রোমানিয়ায় পাওয়া দুটি অন্য ধাতব মনোলিথের সাথে এটির প্রায় হুবহু মিল আছে।
রুক্ষ মরুর বুকে রূপালী মসৃণ স্তম্ভ। নির্জন প্রান্তরে কে বসালও এ অদ্ভুত স্তম্ভটি? বুঝে ওঠার আগেই গায়েব। কিছুদিন বাদেই পৃথিবীর অপর প্রান্তে আবারও রহস্য ছড়ায় আরেকটি মনোলিথ বা একাকী ধাতব স্তম্ভ।
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কৃত ধাতব কাঠামোটির সাথে এরকম রহস্য আরও গভীর হয়েছে, একই ধরণের চকচকে কলামটি প্রথমে উটাহ মরুভূমিতে এবং রোমানিয়াতে আরেকটি পাওয়া গিয়েছিল। উভয়ই রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
মনোলিথটি ১০ ফুট লম্বা এবং ১৮ ইঞ্চি প্রস্থের। ধারণা করা হয় এটি স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি। আতাসকাদিরো নিউজ জানিয়েছে, প্রতিটি কোণে এই জিনিসটি একত্রে ঝালাই করা হয়েছিল, পাশের প্যানেলগুলি অভ্যন্তরের সম্ভবত ইস্পাত ফ্রেমে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
উটাহ ভাইবালির বিপরীতে, যেখানে এটি পাওয়া গেছে সেই পাথরগুলিতে দৃঢ়ভাবে বসানো ছিলো। আতাসকাদিরো মনোলিথ দৃশ্যত কিছুটা বাঁকানো ছিল এবং সংবাদপত্রটি জানিয়েছে যে, এটি দেখে মনেহয় যেন এটির উপরে চাপ দিয়ে বসানো হয়েছে।
মনোলিথটির খবর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এটি দেখার জন্য সেখানে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে।
সর্বপ্রথম ১৮ নভেম্বর বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানীদের বুনো ভেড়া গণনায় সহায়তা করার সময় উটাহ মনোলিথটি রাষ্ট্রীয় হেলিকপ্টার ক্রুদের দ্বারা শনাক্ত হয়েছিল। প্রায় ১১ ফুট লম্বা এবং স্পষ্টতই স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি এই বস্তুটি শীঘ্রই বিশ্বের শত শত কৌতূহলী দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এটির নির্মাতা এটিকে একটি রহস্য হিসেবে রেখে গেছেন। যদিও অনেক জল্পনা-কল্পনা রয়েছে এই মনোলিথ নিয়ে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে এটি নিয়ে বেশ কিছু সংবাদ প্রচারিত হয়।
রহস্যটির দিকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ বাড়ানোর মধ্যেও রোমানিয়ার পাহাড়গুলিতে একই ধরণের কাঠামো পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
কেউ একে বলছে মহাজাগতিক কোনো বস্তু। কেউ বা আবার ভাবছেন ভিনগ্রহবাসীর বার্তা। অনেকেই এটির সঙ্গে ১৯৬৮ সালে মুক্তি পাওয়া সায়েন্স ফিকশন সিনেমা ‘টু থাউজেন্ড অ্যান্ড ওয়ান: এ স্পেস ওডিসি’র যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন।
দেখাই যাক, সামনের বছরগুলিতে আর কি কি হয়!
সালেহ আহমেদ/নিজস্ব প্রতিবেদক
আরো পড়ুন ফেসবুক ও অ্যাপল এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা: প্রযুক্তির দুনিয়া সরগরমনাম্বার সেভ না করেই যোগাযোগ করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ-এ |
তথ্যসূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান , নাইন গ্যাগ, সি-নেট