বৈশ্বিক উষ্ণতা, খুবই সাধারণ মানের অসাধারণ একটা শব্দ। আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বৈশ্বিক উষ্ণতা ব্যাপারটা এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে, শব্দটা উদ্দীপনা সৃষ্টি করে না বললেই চলে।
তাও,বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে ঘটা এক ঘটনা ( দূর্ঘটনাও বলা চলে) বিজ্ঞানীদের মনোযোগ কেড়ে নিতে বাধ্য করেছে। এই ঘটনা যেমন বিপজ্জনক, তেমনি কৌতুহল উদ্দীপকও বটে।
মানব ইতিহাসের পুরোটা সময় আমাদের ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়ার সাহচর্যে থাকতে হয়েছে ( এখনো থাকতে হয়)। বুবনিক (Bubonic) প্লেগ থেকে গুটি বসন্ত, আমরা প্রতি মূহুর্তে কাজ করেছি এদের প্রতিরোধ করতে, আর তার বিপক্ষে রোগের জীবাণুরা আক্রান্ত করার আরো নানা পথ খুঁজে বের করেছে।
মোটামুটি এক শতাব্দী যাবত আমরা অ্যান্টিবায়োটিক এর সুফল ভোগ করছি যার শুরুটা হয়েছিলো স্যার আলেক্সজান্ডার ফ্লেমিং এর ‘পেনিসিলিন’ আবিষ্কার এর মাধ্যমে। অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়াও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে দিনের পর দিন। আসলে এই যুদ্ধের কোন শেষ নেই। আমরা প্যাথোজেনগুলোর সাথে এতটা সময় ব্যয় করি যে, একটা প্রাকৃতিক বোঝাপড়ার ভেতর আমরা চলে এসেছি।
আচ্ছা এমন হলে কি হবে,যদি আমরা এমন সব প্যাথজেনের সংস্পর্শে আসি যা প্রায় লক্ষাধিক বছর ধরে অনুপস্থিত, যার মোকাবেলা আমরা আগে করিনি? খুব শীঘ্রই ব্যাপারটা আমাদের সামনে আসবে।
মাটির উপরের জমাট বাধা বরফ যাকে পারমাফ্রস্ট (permafrost) বলা হয়।এই বরফের স্তর যা প্রায় লক্ষাধিক বছর ধরে তৈরি হচ্ছে এবং সেখানেই থেকে আসছে তা বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য গলে যাচ্ছে।সাথে মুক্ত করছে অনেক ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া কে,যা প্রায় হাজার বছর ধরে নির্জীব ছিলো এই স্তরে, পুনরায় প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।
২০১৬ সালের অগাস্ট মাস,সাইবেরিয়া এর তুন্দ্রা এলাকার এক প্রত্যন্ত এলাকা যা আর্কটিক এলাকায় য়ামাল পেনিনসুলা নামে পরিচিত,এক ১২ বছর বয়েসী ছেলে এবং ২০ জন লোক এনথ্রাক্স আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো,যেখানে ছেলেটি মারা যায়।থিওরিটা হল এই,৭৫ বছর আগের এক রেইনডিয়ার এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলো আর তার দেহাবশেষ মাটির জমাট বরফ স্তরে আটকে গিয়েছিলো।
২০১৬ সালের দিকে ওখানে একটা তাপপ্রবাহ দেখা যায়,ফলে পারমাফ্রস্ট গলে যায় এবং বের হয়ে আসে দেহাবশেষ, যা এ্যানথ্রাক্স এর জীবাণু মাটিতে এবং পানিতে ছড়িয়ে পড়ে।এই প্যাথজেনগুলো খাদ্যচক্রেও ঢুকে পড়ে, যার প্রমাণ হিসেবে বলা যায় ২000 রেইনডিয়ার এর পাল যা সেই সময় কাছাকাছি অবস্থান করছিল,তারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে,সাথে কিছু মানুষও।ভয়ের ব্যাপার হল,এটা কোন বিছিন্ন ঘটনা না।
পৃথিবী যতই উষ্ণ হচ্ছে,ততই এই পারমাফ্রস্ট অংশটা গলছে।সাধারণত গ্রীষ্মকালীন সময়ে এটা ৫0cm গলে থাকে।কিন্তু এখন এটা আরো বেশি গলছে,আর্কটিক অঞ্চলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব অন্য অঞ্চল থেকে অনেক বেশি।যত বেশি এই বরফ গলছে,তত বেশি প্যাথোজেন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে কারন পুরাতন পারমাফ্রস্ট স্তরটা আর বাতাস আর পানির সংস্পর্শে আসছে।
এই পারমাফ্রস্ট স্তর ব্যাকটেরিয়ার অনেকদিন বেচে থাকার জন্য খুবই উপযুক্ত,এটা লক্ষাধিক বছরও হতে পারে।তাই এই স্তর এর বরফ গলে যাওয়া মানে হল রোগে পুর্ণ একটা প্যানডোরার বাক্স চোখের সামনে খুলে যাওয়া।
“পারমাফ্রস্ট মাইক্রোব আর ভাইরাসের জন্য খুবই ভাল সংরক্ষাণাগার কারন সেটা ঠান্ডা, সেখানে কোন অক্সিজেন নেই আর সর্বপরি সেটা অনেক অন্ধকার।” বলেন জীববিজ্ঞানের অন্যতম দিকপাল জিন মাইকেল ক্ল্যাভিয়ার যিনি ফ্রান্সের Aix-Marseille University তে কর্মরত আছেন।
তিনি আর বলেন যে,”আগের সময়ে মহামারি ঘটানো প্যাথজেনিক ভাইরাসগুলো যা পুরাতন পারমাফ্রস্ট স্তরে সংরক্ষিত থাকার বিপুল সম্ভাবনা।” বিংশ শতাব্দীতে এক এ্যানথ্রাক্স এই মিলিয়ন রেইন্ডিয়ার মারা গেছে।অনেকসময় গভীর গর্ত খোড়া সম্ভব হয় না,ফলে এই দেহাবশেষগুলো মোটামুটি ৭০০০ কবরস্থানে ছড়িয়ে আছে যা মাটির উপরের স্তরের খুব কাছাকাছি যা উত্তর রাশিয়ায় অবস্থিত।
যদিও,এই জমাটবাধা মাটির নিচে কি আছে সেটাই ভয়ের ব্যাপার।বিজ্ঞানীরা আলাস্কা তুন্দ্রার এক গনকবর থেকে ১৯১৮ সালে ঘটে যাওয়া স্পেনিস ফ্লু ভাইরাসের RNA খন্ড আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।গুটিবস্নত আর প্লেগের গণকবর এর উদাহরণ সাইবেরিয়াতে রয়েছে।
২০১১ সালের এক স্টাডিতে বরিস রেভিচ আর মারিনা পডোলনায়া লিখেছেন,”পারমাফ্রস্ট গলে যাওয়ার কারনে মারণ ইনফেকশনের কারণ (vector)গুলো আবার ফিরে আসতে পারে,আঠারো আর উনিশ শতকে যেই সিমেট্রিগুলোতে এই ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদের দাফন করা হয়েছিলো বিশেষত সেখান থেকেই।”
নাসার বিজ্ঞানীরা ৩২০০০ হাজার বছর আগের আলাস্কার বরফ হয়ে যাওয়া এক পুকুর থেকে উদ্ধার করা এক ব্যাকটেরিয়াতে প্রাণ ফিরাতে সক্ষম হয়েছেন ।১৯৮০ সালের দিকে সাইবেরিয়াতে গুটিবসন্তের প্রকোপ দেখা দেয়।একটা শহরের প্রায় ৪০% লোক এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
সেই মৃতদেহগুলো কাছেই কলিমা নদীর তিরে পাএরমাফ্রস্ট স্তরে কবর দেওয়া হয়।১২০ বছর পর কলিমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বন্যার পানি এর তীরে ভাঙন ধরাতে শুরু করে আর পারমাফ্রস্ট এর গলন এই ভাঙ্গন প্রক্রিয়াটাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
করোনাভাইরাস: সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে ধূমপায়ীরা |
১৯৯০ সালের দিকে শুরু হওয়া এক প্রজেক্টে,নভোসিবিরস্ক এর State research center of virology and biotechnology এর বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল এর দিকে পাওয়া প্রস্তর যুগের মানুষের দেহাবশেষ পরিক্ষা করেছেন।
তারা ১৯ শতকে মহামারিতে মৃত রাশিয়ায় পারমাফ্রস্ট এ শায়িত দেহও পরীক্ষা করেছেন।তারা সেখানে গুটিবসন্তের লক্ষন পেয়েছেন কিন্তু ভাইরাসটাকে পাওয়া যায়নি।যদিও তারা DNA এর খন্ডটা পেয়েছেন।অবশ্যই তবে এভাবে রোগের ফিরে আসা কোন পুরানো ঘটনা নয়।
২০০৫ সালের নাসার বিজ্ঞানীরা যে ব্যাকটেরিয়াকে প্রাণ দিয়েছিলেন সেটা প্লাইস্টসিন যুগের যখন লোমস ম্যামোথ ঘুরে বেড়াত। মজার ব্যাপার হল,যখন এটাকে জীবিত করা হয়,দেখা যায় যে এটা খুব সুন্দর করে সাতরে বেড়াচ্ছে যেন কিছুই হয়নি।
ভাইরাসগুলো অবশ্য পুনরুজ্জীবিত করার পর খুব দ্রুত সংক্রামক হয়ে ওঠে।উক্ত ঘটনার দুই বছর পর বিজ্ঞানিরা আরেকটা ব্যাকটেরিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করেন যেটা এ্যান্টার্টিকা এর বেকন আর মুলিন্স ভ্যালির বরফের নিচে ছিল। ১০০০০০ বছর এর পুরানো ব্যাকটেরিয়াকেও পুনরুজ্জীবিত করা গেছে।
একটা ভাল খবর হল,সব ব্যাকটেরিয়া যে লাফ ঝাপ করে এমনও না।এ্যানথ্রাক্স এর মত কিছু ব্যাকটেরিয়া এমন করতে পারে কারণ তারা স্পোর তৈরি করতে পারে যা প্রায় এক শতাব্দী টিকে থাকার সক্ষমতা দেয়।টিটেনাস এর জীবাণু ,ক্লসট্রিডিয়াম বটুলিনাম,কিছু ফাঙ্গাস এভাবে পারমাফ্রস্টে টিকে থাকে।
কিছু ভাইরাসও টিকে থাকার সক্ষমতা দেখিয়ে ফেলে।২০১৪ সালে ক্ল্যাভিয়ার এবং তার সহকর্মীরা দুইটা ভাইরাসকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হন যেগুলো ৩০০০০ বছর পুরানো, নাম হল Pithovirus sibericum & Mollivirus sibericum,এরা দুজনই ‘Giant viraus’ কারন এগুলো দেখতে একটা সাধারন মাইক্রস্কোপই যথেষ্ট। এগুলো কোস্টাল তুন্দ্রাতে ১০০ ফুট মাটির গভীরে ছিল।
যখনই এদের পুনরুজ্জীবিত করা হয়,তখনই এরা ইনফেকশন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।তবে সুখের কথা,আগের দুটো ভাইরাস শুধু অ্যাামিবাকেই আক্রান্ত করে।তবে স্টাডি থেকে এটা প্রমানিত যে,এখানে মানুষকে আক্রান্ত করার মত ভাইরাস থাকতে পারে যা পুনোরুজ্জিবন যোগ্য আর বড় ভাইরাসগুলো খুবই কঠিন ধ্বংস করা।আমরা একটা ঘটনা তো বোনাস হিসেবে পাচ্ছি!
বৈশ্বিক উষ্ণতা সরাসরি পারমাফ্রস্ট না গলালেও আর্কটিক সাগরের বরফ ঠিকই গলিয়ে দিচ্ছে।ফলাফল,সমুদ্রের ওই অঞ্চল গুলোতে এখন সহজে সাইবেরিয়া যাওয়া যায় যা খনিজ অনুসন্ধনে ব্যাবহার হচ্ছে।‘এই মূহুর্তে জায়গাগুলো বিরান আর পারমাফ্রস্ট স্তরটা সুরক্ষিত আছে।
কিন্তু খনিজ অনুসন্ধান কাজের জন্য সেখানে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। বড় ভাইরাস গুলো এর পেছনে দায়ী।এই পুরানো স্তরগুলো শুধু ড্রিলিং করেই বের করা সম্ভব এবং সেখানে যদি ভিরিওন থেকে থাকে তাহলে দূর্যোগ ঘটিয়ে দেবে,’ ক্ল্যাভিয়ার বলেন।
বেশিরভাগ ভাইরাসই হোস্ট কোষের বাইরে টিকতে পারে না,বাইরের পরিবেশ এর একটা বড় কারণ।আবার ভাইরাল DNA যদি খুব বেশিই ক্ষতি হয়ে থাকে, তাহলে ভাইরাস আর ইনফেকশন ছড়াবে না।যদিও বড় ভাইরাসের ব্যাপারে কথা আলাদা।
ক্ল্যাভিয়ার আরো বলেন যে মানুষের পুর্বপুরুষে থাকা ভাইরাস বর্তমান সময়ে আসতে পারে।নিয়ান্ডারথাল এর দেহাবশেষ থেকে আমরা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাই যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় এদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবার একটা ভুল আশ্বাস। পর্যাপ্ত পরিমান ভ্যাক্সিন হাতে রাখা ছাড়া কোন উপায় নেই।
২০১৪ সালে তার একটা গবেষনা প্রমাণ করে যে,পারমাফ্রস্ট স্তরে এমন অনেক ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া আছে যা সহজেই মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। আবার কিছু ব্যাকটেরিয়াল DNA পেয়েছেন যা ভিরুলেন্ট ফ্যাকটর কোড করে যা তাদের আক্রমণের শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়।আবার গুটিবসন্তের সন্ধান না পেলেও হার্পিস এর আলামত পাওয়া গেছে। প্যাথজেন মানব সংস্পর্শ ছাড়িয়ে আরো অনেকদূর চলে গেছে।
গুহায় খনিজ সেলেনাইটের অনেক দুধেল সাদা স্ফটিক রয়েছে যা কয়েক হাজার বছর ধরে গঠিত হয়েছিল।
এমনকি পুরানো ব্যাকটিরেয়াগুলি নিউ মেক্সিকোতে “লেচুগুইল” নামক গুহায় পাওয়া গেছে, যা ভূগর্ভস্থ এক হাজার ফুট নিচে। এই জীবাণুগুলি ৪ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে উপরের পৃষ্ঠটি দেখেনি।
অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্সগুলো লক্ষ লক্ষ বা এমনকি বিলিয়ন বছর ধরে রয়েছে ।তা সত্ত্বেও, এই ব্যাকটিরিয়াটি ১৮ প্রকারের অ্যান্টিবায়োটিকগুলির সাথে একরকম প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে,যে ড্রাগগুলি সংক্রমণের লড়াইয়ের “শেষ অবলম্বন” হিসাবে বিবেচিত।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণায় গবেষকরা দেখতে পেয়েছিলেন যে এই ব্যাকটেরিয়া, “পেনিবাচিলাস এসপি” নামে পরিচিত। এলসি ২৩১, প্রায় ৭০ ভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলি সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছিল।
চার মিলিয়ন বছর ধরে এই ব্যাকটিরেয়া গুহায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা মানুষের সাথে বা মানুষের সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের সংস্পর্শে আসেনি।
তার অর্থ এর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ক্ষমতা অবশ্যই অন্য কোনও উপায়ে উত্থিত হয়েছিল।
এর কারণ হল বহু ধরণের ছত্রাক এবং এমনকি অন্যান্য ব্যাকটিরিয়া স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য জীবাণুগুলির থেকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক উত্পাদন করে।
এইভাবে ফ্লেমিং প্রথম পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন: একটি অ্যান্টিবায়োটিক-যা মলত্যাগের ছাঁচ দ্বারা দূষিত হওয়ার পরে পেট্রিডিসে থাকা ব্যাকটেরিয়া মারা যায়।
পৃথিবী উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলি ম্যালেরিয়ার মতো “দক্ষিণ গোলার্ধের” রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে উঠবে।
গুহাগুলিতে, যেখানে খুব কম খাবার রয়েছে, জীবিতদের বেঁচে থাকতে হলে প্রাণীদের অবশ্যই নির্মম হতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাণীর দ্বারা প্রাণনাশ এড়াতে “পাণিবাচিলাস”র মতো ব্যাকটিরিয়াকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিকাশ করতে হয়েছিল।
এটি ব্যাখ্যা করবে কেন ব্যাকটেরেয়াগুলি কেবল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী, যা ব্যাকটিরেয়া এবং ছত্রাক থেকে আসে এবং আমরা যে সমস্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করি তার প্রায় ৯৯.৯% তৈরি করে। ব্যাকটিরেয়াগুলি কখনই মানব-তৈরি অ্যান্টিবায়োটিকগুলি জুড়ে আসে না, তাই তাদের প্রতিরোধের প্রয়োজন নেই।
|
এই সমস্ত তথ্যাবলি সম্পর্কে আমাদের কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত?
একটি যুক্তি হ’ল পারমাফ্রস্ট রোগজীবাণুগুলির ঝুঁকি সংবলিত তথ্যাবলী এখনও অজ্ঞাত, তাই আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। পরিবর্তে, আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন থেকে সৃষ্ট আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত হুমকির প্রতি মনোনিবেশ করা উচিত।
আপাতত এরকম ব্যাকটেরিয়ার থেকে সংক্রমণ এর সম্ভাবনা একেবারেই ফেলনা নয় এবং এরকম ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা যা কিছুই হোক না কেন পুনরুজ্জীবিত হয়ে যদি ইনফেকশন ঘটায় তবে তা আমাদের সামাল দিতে অনেক সময় লাগবে কারণ শারিরীক প্রতিরক্ষা এর জন্য প্রস্তুত নয়।