“A paint which is more powerful than central air conditioners” শুনতে অবাক লাগলেও আগামী দিনে এটিই হয়তো হয়ে উঠবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। চলুন মূল কথায় আসা যাক, কিভাবে কাজ করবে বিশ্বের সবচেয়ে সাদা রং?
যুক্তরাষ্ট্রের Purdue ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক আবিষ্কার করেছেন বিশ্বের “সবচেয়ে সাদা রং”। হ্যাঁ, আর তার থেকেও বড় কথা হলো এই রং ৯৮.১% সূর্যের বিকিরণ প্রতিফলিত করতে পারে। ইতোমধ্যে সবচেয়ে সাদা রং হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ স্থান করে নিয়েছে এটি।
এপ্রিলের দিকে, তাঁরা এই রং এর ফর্মুলা তৈরি করেন। ফর্মুলায় তাঁরা ব্যবহার করেন একটি নির্দিষ্ট ঘনত্বের বেরিয়াম সালফেট। এবং তারা এই যৌগের বিভিন্ন আকারের পার্টিকেল ব্যবহার করেন রংটিতে। এর কারণ হলো বিভিন্ন সাইজের পার্টিকেল বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সূর্য রশ্মিকে প্রতিফলিত করবে। গবেষক টিম তাদের এই রং টা এমনভাবে তৈরি করেছেন যাতে এটি বিল্ডিং-বাসাবাড়ি থেকে সূর্যরশ্মি রিফ্লেক্ট করতে সাহায্য করবে।
কেন এই উদ্যোগ?!
বিশ্বে প্রতিনিয়ত দূষণ বেড়ে চলেছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তির এই যুগে সবচেয়ে বড় একটা ফ্যাক্টর হলো এসি বা এয়ার কন্ডিশনার। আজকাল প্রায়শই বাসা বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার এর ব্যবহার হচ্ছে, যার ফলে দূষণও বেড়ে চলছে। সেই জায়গা থেকে এয়ার কন্ডিশনারের বিকল্প ব্যবস্থা করতে এই রং আবিষ্কারের ধারণা। গবেষক টিমের অন্যতম একজন Xiulin Ruan বলেন, “সাত বছর আগে যখন আমরা এই প্রজেক্ট হাতে নেই, তখন আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো পরিবেশবান্ধব এমন কোনো আবিষ্কার যা আমাদের জ্বালানি, এনার্জির ব্যবহার কমিয়ে আনবে।”
এর আগে বিজ্ঞানীরা ঠিক সবচেয়ে সাদা রঙের বিপরীত রঙ আবিষ্কার করদছিলেন, যেটি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে কালো রঙ বা ভান্টাব্ল্যাক। এটি তৈরি করেছে ব্রিটিশ ন্যানো টেক কোম্পানি সুরি ন্যানোসিস্টেম। তাদের দাবি, এটি আলো ও তাপের ৯৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ শুষে নেয়। যেখানে সাধারণ কৃষ্ণবস্তু আলোর ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ শোষণে সক্ষম।
বিশ্বের সবচেয়ে সাদা এই রঙ ৯৮.১% সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে, সাধারণ রঙ এর তুলনায় কম তাপ শোষণ করে, আর যেই সার্ফেসে এটি পেইন্ট করা হবে, এটি সেই সার্ফেস ঠান্ডা করতেও সহায়তা করবে। যার ফলে এয়ার কন্ডিশনার এর প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। গবেষক টিমের মতে ১০০০ ফিট (৯২ বর্গমিটার) এ এই রং লাগানো হলে এটি এয়ার কন্ডিশনার এর ১০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বাঁচাতে পারবে। রিসার্চাররা এই রঙ কে আরও সাদা তৈরির চেষ্টা করছেন, আর অন্যদিকে এই রং বাজারজাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। আর মূল্যের দিক থেকেও এটি তুলনামূলক সস্তা ও টেকসই হবে সকলের কাছে, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
তো আপনার কি মনে হয়, আসলেই কি এয়ার কন্ডিশনার এর ব্যবহার কমবে?
মিথিলা ফারজানা মেলোডি/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি
+1
1
+1
1
+1
+1
1
+1
4
+1
+1