২ দিন আগেই ভারত সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তে চীনভিত্তিক ১১৮ অ্যাপসের সার্ভার/কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতে। ১১৮ টি অ্যাপের মধ্যে রয়েছে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল গেম “প্লেয়ার আননোউন ব্যাটেলগ্রাউন্ডস (PUBG)“। (পাবজি ব্যান)
ভারত হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মোবাইল গেমিং মার্কেটপ্লেস। শুধুমাত্র পাবজিতেই রয়েছে ৫০ মিলিয়ন এক্টিভ ইউজার এবং ১৭৫ মিলিয়নের কাছাকাছি ইনস্টলেশন সংখ্যা৷
যদিও পাবজি তৈরি করেছে একটি সাউথ কোরিয়ান গেমিং কোম্পানি, কিন্তু চায়নার বৃহত্তম গেমিং কোম্পানি টেনসেন্ট এর মোবাইল ভার্সনটি কিনে নেয়৷
জানা গেছে, লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত রেষারেষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এর আগে ২৯ জুন আরও ৫৯ টি চাইনিজ অ্যাপ বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার যেখানে ছিল টিকটক, ইউসি ব্রাউজারের মতো জনপ্রিয় এপ্লিকেশন।
গেমারদের মধ্যে পাবজি নেশার মতো, রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরের এক ফিটনেস ট্রেইনারকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে এই পাবজির নেশা থেকে মুক্ত করতে৷ অন্যদিকে পাঞ্জাবী এক যুবকের বাবার ব্যাংক থেকে ১৬ লাখ টাকা চুরি করে পাবজি ইকুইপমেন্ট কেনা সত্যিই চিন্তায় ফেলে দেয় অভিভাবকদের৷ তবে পাবজির নেশার আছে অনেক ভালো দিকও। অনেক যুবক পর্ণ ভিডিও এডিকশন থেকে বেঁচে এসেছে এই পাবজির জন্য।
এখন কী হবে?
পাবজির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার ফলে ইতোমধ্যে ভারতে হয়ে গেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মোবাইল গেমিং টুর্নামেন্ট, ভারতেই গড়ে উঠেছে প্রফেশনাল গেমিং ইন্ডাস্ট্রি। এমতাবস্থায় ভারত সরকারের এমন হুটহাট সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত গেমাররা। তাদের আচার-আচরণে বিরাট পরিবর্তন লক্ষণীয় সেই সাথে ডিপ্রেশন, ক্রোধ, যন্ত্রণা, হতাশাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক গেমারদের দিন শুরু হতো এই পিসি-স্মার্টফোনে ব্যাটেল রয়েল এবং গেম স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে।
পাবজিতে দেশজুড়ে অনেক গেমার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এবং একাধিক টিম ছিনিয়ে এনেছিল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বিজয়ীর খেতাব। এছাড়াও ফেসবুক, ইউটিউবে স্ট্রিমিং করে একদিকে তারা অডিয়েন্সের মনের খোরাক জোগাতো, অন্যদিকে ইনকাম ও করতে পারতো এই প্লাটফর্ম গুলো থেকে।
এই ডিসঅর্ডারকে অতিসম্প্রতি সংস্থাটি বৈশ্বিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং এই রোগ থেকে বের হয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোকে সচেতন হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পাবজি ব্যান করার পর সংশ্লিষ্ট মহলের গেমারদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।