সভ্যতার এই উর্ধমুখী গন্তব্যের সময়ে যেমন মানুষের সামাজিক,অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি চোখে পরার মতো ঠিক তেমনি তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দুষণের হার।
সভ্যতার উন্নায়ন তরান্বিত করতে গিয়ে আমরা আমদের পরিবেশ কে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলছি দিনের পর দিন।বর্তমান সময়ে পরিবেশ তথা প্রধানত বায়ু দুষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এই বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।তাই পৃথিবীর ফুসফুস ঠিক রাখতে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কোটি গাছ লাগানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে কানাডিয়ান দুই তরুণ।দুইজন তরুণের পক্ষ্যে এতো গাছ লাগানো আসলেই কি সম্ভব?
তারা তাদের উদ্ভাবনির মাধ্যমে বিশ্বকে এমনটাই জানান দিয়েছেন। তারা ড্রোন দিয়ে বনায়নের জন্য “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” নামের একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা এমন একটি ড্রোন তৈরি করেছেন যা একদিনে ২০ হাজার চারা ও ১ লাখ বীজ রোপণ করতে পারবে।
এর ফলে মানুষের চেয়ে গাছ লাগান যাবে ১০ গুণ দ্রুতগতিতে।কমে যাবে শ্রমিকের সংখ্যা,বেঁচে যাবে সময়।সার্বিক ভাবে এতে খরচ কমে আসবে প্রায় ২০ শতাংশ। “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, “প্রতি বছর ১৩ বিলিয়ন গাছ হারাচ্ছে পৃথিবী। এর বিপরীতে জন্মাচ্ছে অর্ধেক পরিমাণ গাছ আর এই অর্ধেক এর অধিকাংশই প্রাকৃতিক ভাবে জন্মাচ্ছে।
আমরা পৃথিবীর ফুসফুস ঠিক করার কাজে নেমেছি। অন্যসব কাজের আগে এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” গাছ লাগানোর জায়গা খুঁজতে “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” ব্যবহার করবে এরিয়াল ম্যাপিং সফটওয়্যার যা তাদের গাছ রোপনের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা খুঁজতে সহায়তা করবে।এছাড়াও এক্ষেত্রে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সহায়তা নেয়া হবে বলে তারা জানায়।
জায়গা পর্যবেক্ষণ ও বাছাই হয়ে গেলে সেখানে প্রয়োজনীয় বীজ, সার ও গাছের উপকারী “মাইকররাইজ ফাঙ্গাস” নিয়ে যাবে ড্রোনটি। পরিক্ষামুলক ভাবে গত আগস্টে পাইলট প্রকল্পের ড্রোন এর আওতায় ৩ মিনিটে ১৬৫টি করে মোট ৩ হাজার গাছ লাগানো হয়।