অ্যান্টার্ক্টিকা, প্রকৃতির এক অনন্য সুন্দর নৈসর্গিক স্থান। হাজারের পর হাজার মাইলের পথে নেই কোন মানুষ কিংবা স্থলে বসবাসকারী কোন প্রাণের অস্তিত্ব। তবে পেংগুইন ও সামুদ্রিক সিলের আবাস ভূমি এই স্থানের সাউথ জর্জিয়া নামক পেঙ্গুইন কলোনি সম্মুখীন হতে চলেছে বড় ধরনের বিপদের।
তীব্র শীতলতার কারণে পৃথিবীর একেবারে উত্তর ও দক্ষিণে অবস্থিত মেরুটি বরফাচ্ছাদিত। প্রায় সাড়ে ৫ মিলিয়ন বর্গমাইল আয়তনের দক্ষিণ মেরুর এই মহাদেশের আকার এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার পরেই। জমাট বদ্ধ বরফের সুউচ্চ চূড়ার জন্যই অন্যান্য মহাদেশ থেকে অ্যান্টার্টিকার গড় উচ্চতা অনেক বেশী। তবে দিন দিন আবহাওয়া পরিবর্তন এর সাথে সাথে সুউচ্চ চূড়া গুলো গলে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ এন্টার্টিক সোসাইটির গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর সবচাইতে বড় আইসবার্গ A68 আঘাত হানতে যাচ্ছে কিং পেঙ্গুইন নামক বিশেষ পেঙ্গুইনদের কলোনি খ্যাত সাউথ জর্জিয়াতে।২০১৭ সালে এই বিশালাকৃতির বরফখণ্ডটি অ্যান্টার্টিকের মূল বরফখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।বরফখণ্ডটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা ধারণা করছেন এটি অদূর ভবিষ্যতে পেঙ্গুইন ও সিলদের আবাসস্থলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করাতে গবেষকরা জানান, প্রায় ৬০০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই আইসবার্গ আয়তনে নিউইয়র্ক শহরের তূলনায় প্রায় ৭ গুণ বড়। তবে স্যাটেলাইট গবেষণা পর্যবেক্ষণে এখন পর্যন্ত অনুমান করা হচ্ছে A68 আইসবার্গটি আটলান্টিকের একটি বিশেষ অংশে আঘাত হানার সম্ভবনা খুবই প্রবল। বর্তমানে আইসবার্গটি আটলান্টিকের উষ্ণ পানির অংশে ভাসমান রয়েছে। প্রায় আরো ১০ বছর ধরে আইসবার্গটি ভাসমান থাকবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
তবে ঠিক কোথায় বরফখণ্ড- টি আঘাত হানবে তা নির্ধারিত হবে সমুদ্রের স্রোত, বায়ুপ্রবাহ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটের মাধ্যমে। তবে এটি গলে যাওয়ার মাধ্যমে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি ও করোনার মতোন বহু প্রাচীন জীবাণুর পরিবেশে পুনরায় অবমুক্তির ঝুঁকি নিয়ে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত।
এ এন এম নাঈম/ নিজস্ব প্রতিবেদক
আরও পড়ুনঃ