আকাশে অজানা উড়ন্ত বস্তু বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টের (ইউএফও) তিনটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। সিএনএন বলছে, এর আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওই ভিডিওগুলো প্রকাশ করেছিল।
ভিডিওগুলোতে গোল চাকতির ন্যায় অতিদ্রুত ঘূর্ণায়মান কালো বস্তু দেখা যাচ্ছে। যেগুলো ধরা পড়েছে ইনফ্রারেড ক্যামেরায়।এর মধ্যে দুটিতে ইউএফও’র অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গেছে ভিডিও ধারণকারীদের।
|
এই ভিডিওগুলি অবশ্য এর আগেই একটি বেসরকারি সংস্থা প্রকাশ করেছিল। তবে সরকারিভাবে ভিডিওগুলি স্বীকৃতি পায়নি বলে, ভিডিওগুলি আসল না নকল, তাই নিয়ে প্রশ্ন ছিল জনমানসে। এদিন সব দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবসান ঘটল। ইনফ্রারেড ক্যামেরায় রেকর্ড করা ভিডিওগুলিতে যে অজ্ঞাতপরিচয় উড়ন্ত বস্তুগুলি-কে দেখা গিয়েছে, তার প্রত্যেকটিই অত্য়ন্ত দ্রুতগামী। ভিডিওগুলির দুটিতে মার্কিন নৌসেনার বিমানচালকদের এই গতিতে বিস্মিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। তবে একজন সেই ভিডিওতে সন্দেহ করেছেন বস্তুটি কোনও ড্রোন হতে পারে।
নৌবাহিনী এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভিডিওগুলি সত্যি বলে মেনে নিয়েছিল। পেন্টাগনের মুখপাত্র সু গফ এদিন জানান, ফুটেজগুলি প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পর থেকে জনমানসে অসীম কৌতূহল তৈরি হয়েছে। অনেকের সন্দেহ ভিডিওগুলিতে হয়তো আরও কিছু রয়েছে। সেইসবের অবসান ঘটানোর জন্য এবং এই সম্পর্কে যাতে কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়, তার জন্য এই ভিডিওগুলির আনুষ্ঠানিক মুক্তি দেওয়া হল।
তার আগে অবশ্য মার্কিন নৌসেনার পক্ষ থেকে ভিডিও ফুটেজগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করা হয়েছে। ভিডিওগুলির প্রকাশ করলে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কোনও সংবেদনশীল ক্ষমতা বা তথ্য প্রকাশ পাবে না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই এই ভিডিওগুলির আনুষ্ঠানিক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা একে ইউএফও বলছেন না, তাঁদের মতে এগুলি ‘ইউএফপি’ অর্থাৎ ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং ফেনোমেনা’, বাংলায় ‘অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুর ঘটনা’।
এগুলো পড়েছেন ? |
একটি ভিডিও ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে এবং বাকিদুটি ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে নৌসেনাবাহিনীর বিমানচালকরা তুলেছিলেন। গফ আরও জানিয়েছেন, এখন থেকে এই ধরণের ‘অজ্ঞাতপরিচয় উড়ন্ত’ ব্যাপার-স্যাপার অর্থাৎ সম্ভাব্য ইউএফও দেখলে নৌবাহিনীর বিমানচালকদের রিপোর্ট করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
তার আগে অবশ্য মার্কিন নৌসেনার পক্ষ থেকে ভিডিও ফুটেজগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করা হয়েছে। ভিডিওগুলির প্রকাশ করলে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কোনও সংবেদনশীল ক্ষমতা বা তথ্য প্রকাশ পাবে না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই এই ভিডিওগুলির আনুষ্ঠানিক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা একে ইউএফও বলছেন না, তাঁদের মতে এগুলি ‘ইউএফপি’ অর্থাৎ ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং ফেনোমেনা’, বাংলায় ‘অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুর ঘটনা’।
একটি ভিডিও ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে এবং বাকিদুটি ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে নৌসেনাবাহিনীর বিমানচালকরা তুলেছিলেন। গফ আরও জানিয়েছেন, এখন থেকে এই ধরণের ‘অজ্ঞাতপরিচয় উড়ন্ত’ ব্যাপার-স্যাপার অর্থাৎ সম্ভাব্য ইউএফও দেখলে নৌবাহিনীর বিমানচালকদের রিপোর্ট করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এগুলো পড়েছেন ? |
২০০৭ সালেই পেন্টাগনে এই অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলির তথ্য অধ্যয়নের জন্য একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালে অর্থের অভাবে সেই প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই প্রকল্পের প্রাক্তন প্রধান লুইস এলিজন্ডো সাফ জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে যে জোরালো প্রমাণ ছিল, তা থেকে পরিষ্কার বলা যায় মানুষ একা নয়।
এই অজ্ঞাত বিমানগুলিতে এমন সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য়ান্য কোনও দেশের হাতে সেই ধরণের প্রযুক্তি নেই। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিওগুলি প্রকাশের পর তিনি টুইট করে বলেছেন এতে তিনি ‘সন্তুষ্ট’, কিন্তু এখনও পেন্টাগন ‘শুধু গবেষণা এবং উপলব্ধ তথ্যের পৃষ্ঠদেশে আঁচড় কাটছে। তল অনেক গভীরে’।