একটা সময় ছিল যখন প্রিন্টিং ব্যাপারটা শুধু কাগজ আর কালির সীমাবদ্ধ ছিলো।কিন্তু কেই বা ভেবেছিল,ত্রিমাত্রিক কিছু প্রিন্ট করে ফেলা সম্ভব।আচ্ছা,মানলাম যে কোন প্রকারে সেটা সম্ভব হল কিন্তু বায়ো প্রিন্টিং?
হ্যা,যে বিষয়টা আগে শুধু সায়েন্স ফিকশনের পাতায় সীমাবদ্ধ ছিল,এখন তা বাস্তবে।সত্য কথা বলতে কি,প্রতিবছর মিলিয়ন লোকের জীবন বাচাতে পারে বায়ো প্রিন্টিং।আর এ সম্পর্কে জানার যে গুরুত্ব,তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলতে হবে না।
হ্যা,যে বিষয়টা আগে শুধু সায়েন্স ফিকশনের পাতায় সীমাবদ্ধ ছিল,এখন তা বাস্তবে।সত্য কথা বলতে কি,প্রতিবছর মিলিয়ন লোকের জীবন বাচাতে পারে বায়ো প্রিন্টিং।আর এ সম্পর্কে জানার যে গুরুত্ব,তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলতে হবে না।
আবিষ্কারের পর ধারণা করা হয়েছিল,প্রায় প্রতিটা শিল্পেই এই প্রযুক্তি নিজের জায়গা দখল করে নেবে,এবং আসলেও হয়েছে তাই।আরো ভাল করে যদি বলা যায়,তাহলে মেডিকেল সেক্টরে এটি বেশ প্রভাব বিস্তার করেছে।
বিশ্ব বিখ্যাত কোম্পানি যেমনঃ Carbon,Prusa Reseach এবং Formlabs এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুখের আবরণ,মাস্ক এবং মেডিকেল সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র তৈরি করছে।তবে সাপ্লাই চেইন ধরে রাখতে বেশ পরিশ্রম করতে হচ্ছে বৈকি।
বিশ্ব বিখ্যাত কোম্পানি যেমনঃ Carbon,Prusa Reseach এবং Formlabs এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুখের আবরণ,মাস্ক এবং মেডিকেল সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র তৈরি করছে।তবে সাপ্লাই চেইন ধরে রাখতে বেশ পরিশ্রম করতে হচ্ছে বৈকি।
স্মার্ট ড্রাগ বা কাস্টোমাইজড প্রস্থেটিক এর মত মেডিকেল সেক্টরে থ্রিডি প্রিন্টিং রোগীর জীবনমান উন্নয়নে সংকল্পবদ্ধ।তবে ১৯৯০ এ মুক্তি পাওয়া ‘ডার্ক ম্যান’ সিনেমার মত থ্রিডি প্রিন্টিং ডাক্তারদের কাছে একটা সাধারণ জায়গা হতে পারে যাবার মত,বিভিন্ন অঙ্গ প্রিন্ট করার জন্য।
এটা ইতোমধ্যে হচ্ছে,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ কাজে এগিয়ে আসছে।বিভিন্ন দূর্ঘটনায় অঙ্গহানি আর প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গের অভাব আমেরিকায় একটি সাধারন সমস্যা।
এটা ইতোমধ্যে হচ্ছে,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ কাজে এগিয়ে আসছে।বিভিন্ন দূর্ঘটনায় অঙ্গহানি আর প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গের অভাব আমেরিকায় একটি সাধারন সমস্যা।
প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে যে,প্রায় ৯০০০০ মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব শুধুমাত্র প্রিন্ট করা এসব অঙ্গ দিয়ে।এই মূহুর্তে আমেরিকায় গড়ে ২০ জন লোক মারা যায় শুধুমাত্র একটা ট্রান্সপ্লেন্টের অভাবে,আর প্রতি ১০ মিনিটে একজন ট্রান্সপ্লেন্টের উইশলিস্টে যুক্ত হয়।
থ্রিডি প্রিন্ট করা অঙ্গগুলো একটা সহজ সমাধান,কারণ শুধু মেডিকেল ব্যবহার ছাড়াও এগুলো অনেক খরচ সাশ্রয়ী।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,ন্যাশনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে একটা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে প্রায় ৩০০০০০ ডলার খরচ হয় যেখানে থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি করা একটা কিডনি এর জন্য সাকুল্যে ১০০০০ ডলার খরচ হয় এবং এটা আরো কমে যাবে কারণ প্রযুক্তি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে।
থ্রিডি প্রিন্ট করা অঙ্গগুলো একটা সহজ সমাধান,কারণ শুধু মেডিকেল ব্যবহার ছাড়াও এগুলো অনেক খরচ সাশ্রয়ী।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,ন্যাশনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে একটা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে প্রায় ৩০০০০০ ডলার খরচ হয় যেখানে থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি করা একটা কিডনি এর জন্য সাকুল্যে ১০০০০ ডলার খরচ হয় এবং এটা আরো কমে যাবে কারণ প্রযুক্তি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে।
বায়োপ্রিন্টিং ব্যাপারটা থ্রিডি প্রিন্টিং এর নিয়ম মেনে চলে ।কিন্তু প্রধান পার্থ্যক্য হল,বায়ো প্রিন্টিং এ কোষ এবং এবং গ্রোথ ফ্যাক্টর ব্যবহার করে।যখন থ্রিডি প্রিন্টিং এ কোন কিছু প্রিন্ট করা হয়,তখন একটা ডিজিটাল মডেল তৈরি করা কম্পিউটারে।
তারপর সেটা যখন ত্রিমাত্রিক বস্তুতে রূপ দেওয়া হয় থার্মো প্লাস্টিক ব্যবহার করে।বায়প্রিন্টিং এ প্রথমে বিজ্ঞানীরা ঠিক করেন কোন টিস্যুকে তারা প্রিন্ট করবেন।তারপর স্ট্রেরাইল কোষ ব্যবহার সেই কাজ করা হয়।
কিন্তু ব্যাপারটা যতটা সহজ মনে হয় আসলে তা নয় মোটেও,অনেক ধাপে ব্যাপারটা নিশ্চিত করা হয় যাতে অঙ্গটি একেবারে নিখুত ভাবে প্রিন্ট করা হয়।
সর্বপ্রথমে,সেই অঙ্গের একটা ডিজিটাল মডেল তৈরি করা হয় এবং এই কাজে ব্যবহার করা হয় Computed tomography scan এবং Magnetic resonance imaging প্রযুক্তি।অবশ্যই প্রিন্টারকে জীবাণুমুক্ত করা হয়,নাহলে উতপাদিত অঙ্গটি দূষিত হয়ে যাবে,এবং এর টেকসই হওয়াও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।তারপর,মডেলটা প্রিন্ট করার জন্য প্রিন্টারে পাঠানো হয়,যেখানে বায়ো ইংক ব্যবহার করে কাজটি করা হয়।
তারপর সেটা যখন ত্রিমাত্রিক বস্তুতে রূপ দেওয়া হয় থার্মো প্লাস্টিক ব্যবহার করে।বায়প্রিন্টিং এ প্রথমে বিজ্ঞানীরা ঠিক করেন কোন টিস্যুকে তারা প্রিন্ট করবেন।তারপর স্ট্রেরাইল কোষ ব্যবহার সেই কাজ করা হয়।
কিন্তু ব্যাপারটা যতটা সহজ মনে হয় আসলে তা নয় মোটেও,অনেক ধাপে ব্যাপারটা নিশ্চিত করা হয় যাতে অঙ্গটি একেবারে নিখুত ভাবে প্রিন্ট করা হয়।
সর্বপ্রথমে,সেই অঙ্গের একটা ডিজিটাল মডেল তৈরি করা হয় এবং এই কাজে ব্যবহার করা হয় Computed tomography scan এবং Magnetic resonance imaging প্রযুক্তি।অবশ্যই প্রিন্টারকে জীবাণুমুক্ত করা হয়,নাহলে উতপাদিত অঙ্গটি দূষিত হয়ে যাবে,এবং এর টেকসই হওয়াও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।তারপর,মডেলটা প্রিন্ট করার জন্য প্রিন্টারে পাঠানো হয়,যেখানে বায়ো ইংক ব্যবহার করে কাজটি করা হয়।
বায়ো ইংক সম্পর্কে দুই চারটা কথা না বললেই নয়।এটা ছাড়া বায়োপ্রিন্টিং চলবেই না এবং এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।এর বিভিন্ন গুণ একে করে তুলেছে বায়ো প্রিন্টিং এর জন্য অত্যন্ত উপযোগী।বায়ো ইংক তৈরি হয় কোষ এবং ক্যালিয়ার বস্তু দিয়ে,যেটা সাধারনত বায়োপলিমার জেল হতে পারে।
ইংকটা পুরোটাই হয়তো কোষের হতে পারে,তবে এখানে জেলের কাজটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই জেল কোষগুলাকে ধরে রাখে এবং বেড়ে উঠতে,ছড়াতে সাহায্য করে।FDM প্রিন্টারে প্লাস্টিক ফিলামেন্টটি উত্তপ্ত করা হয় এবং পার্টটা তৈরি করা হয়,বায়োপ্রিন্টারেও মোটামুটি একই কাজ করা হয় তবে খেয়াল রাখা হয় যাতে কোষটা গরমে রান্না না হয়ে যায়।
বায়োপলিমার জেল পুরো দ্রবণ টা যাতে বেশি গরম না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখে।যদি এই লেখা পড়ে থাকেন এবং আপনার মনে প্রশ্ন এসে থাকে যে ক্যালিয়ার কি বায়োপলিমার জেল দিয়ে তৈরি হয়,তবে আপনি আজকের দিনের জন্য লাকি।কারণ,এটা অনেক কিছুর সমন্বয়ে তৈরি হয়…হায়ারুলনিক এসিড,কোলাজেন বা সিল্ক।
ইংকটা পুরোটাই হয়তো কোষের হতে পারে,তবে এখানে জেলের কাজটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই জেল কোষগুলাকে ধরে রাখে এবং বেড়ে উঠতে,ছড়াতে সাহায্য করে।FDM প্রিন্টারে প্লাস্টিক ফিলামেন্টটি উত্তপ্ত করা হয় এবং পার্টটা তৈরি করা হয়,বায়োপ্রিন্টারেও মোটামুটি একই কাজ করা হয় তবে খেয়াল রাখা হয় যাতে কোষটা গরমে রান্না না হয়ে যায়।
বায়োপলিমার জেল পুরো দ্রবণ টা যাতে বেশি গরম না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখে।যদি এই লেখা পড়ে থাকেন এবং আপনার মনে প্রশ্ন এসে থাকে যে ক্যালিয়ার কি বায়োপলিমার জেল দিয়ে তৈরি হয়,তবে আপনি আজকের দিনের জন্য লাকি।কারণ,এটা অনেক কিছুর সমন্বয়ে তৈরি হয়…হায়ারুলনিক এসিড,কোলাজেন বা সিল্ক।
বায়োপ্রিন্ট এর অবজেক্টগুলো লেয়ার বাই লেয়ার করা হয়ে থাকে,মোটামুটি ০.৫ মিলিমিটার পুরুত্বের।অঙ্গটিকে পুনরুজ্জ্বিবিত করতে কিছু পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়।এর ভেতর আছে অতিবেগুণি রশ্মি,কিছু রাসায়নিক এবং কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে তাপ।
কিছু ব্লাড ভেসেল,লিভার টিস্যু এবং অন্যান্য কিছু অঙ্গ তৈরি করা সম্ভব হলেও সেগুলো খুব সামান্য মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে।তবে একে আরো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে যদি সফল হয়,আসছে সম্যে মানব্জাতির জন্য বড় চমক অপেক্ষা করছে।
কিছু ব্লাড ভেসেল,লিভার টিস্যু এবং অন্যান্য কিছু অঙ্গ তৈরি করা সম্ভব হলেও সেগুলো খুব সামান্য মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে।তবে একে আরো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে যদি সফল হয়,আসছে সম্যে মানব্জাতির জন্য বড় চমক অপেক্ষা করছে।
+1
+1
+1
+1
+1
+1
+1