ঠাকুরগাঁওয়ে কোরবানি দেয়া ষাঁড়ের পেটে বাচ্চা পাওয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। শনিবার (০১ আগস্ট) জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের আকাশীল গ্রামের মোজাম্মেল নামে এক ব্যক্তির বাসায় ষাঁড়টি কোরবানি দেয়ার পর পেটের ভেতর থেকে গরুর বাছুরটি পাওয়া যায়। এ নিয়ে এলাকায় হৈ চৈ শুরু হয়। আশপাশের লোকজন ভিড় জমায় ওই বাড়িতে।
মোজাম্মেল হক জানায়, ওই উপজেলার দলপতিপুর আইয়ুব আলীর কাছ থেকে তেষট্টি (৬৩০০০) হাজার টাকা মূল্যে কোরবানির জন্য ষাঁড়টি ক্রয় করেন তিনি। পরে আজ সকালে ষাঁড়টি জবাই করে। পরে ভুঁড়ি পরিষ্কার করতে গেলে ভেতর থেকে একটি বাছুর বের হয়ে আসে। আসলে এ ধরনের ঘটনা কখনো শোনা যায়নি বলে জানান তিনি। ষাঁড়ের পেটে বাছুরের খবর মুহূর্তে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে বাছুরটি এক নজর দেখতে।
স্থানীয়রা জানায়, গাভী হলে বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য মনে হতো কিন্তু ষাঁড়ের পেটে বাছুর সত্যিই মানুষকে অবাক করেছে। আমরা ভাবতে পারছি না এটা কি করে সম্ভব। আর এ বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে উৎসুক জনতা ভিড় জমায় মোজাম্মেল হকের বাসায়। – SomoyTV News
এখন সায়েন্স বী থেকে বিজ্ঞান কী বলে?
এই সমস্যাকে চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় বলা হয়, ফিটাস ইন ফিটু। এর অর্থ হলও, মায়ের পেটে যমজ বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। কিন্তু পরে একটি বাচ্চার পরিপূর্ণ গঠন ও বিকাশ হলেও আরেকটি বাচ্চা পুরোপুরি বেড়ে ওঠেনি। যে বাচ্চাটির গঠন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই বাচ্চাটি আম্বিলিকাল কর্ডের মাধ্যমে পুরোপুরি বেড়ে ওঠা বাচ্চাটির শরীরের ভেতর চলে যায়। কিন্তু এর বিকাশ বা গঠন সেখানেই থেমে থাকে।
আরও একটি সম্ভাব্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা —
এ ঘটনা কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রেও হয় যেমন ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঘুড়ে বেড়ায় –
আসলে লীনার পেটে আসলে ছিলো লীনার ভাই। এটা একটা রেয়ার কেস। একে ফিটাস ইনটু ফিটো বলে। তারা জমজ ছিলো। এভাবে ভ্রুণ পরিস্ফুটিত ঘটতে অনেক সময় নেয়। লীনার ক্ষেত্রে প্রায় ৬ বছরের মতো সময় নিয়েছে। লীনা মা হননি, সেটা তার টুইন এর ফিটাস তার ভিতরে পরিস্ফুটিত হয়েছে।
এ ঘটনাটিও দেখতে পারেন –https://www.nytimes.com/2019/03/20/health/twins-fetus-colombia.html