যেসব মানুষদের Mosaic Variegated Aneuploid থাকে, তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সব কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা সমান হয় না। এই রেয়ার কন্ডিশন বিভিন্ন ধরনের জেনেটিক মিউটেশনের কারণে হতে পারে, যার মধ্যে একটা এই নারীর দেহে বিদ্যমান। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিরল জেনেটিক মিউটেশন-এর কারণেই মূলত তিনি পাঁচবার ক্যান্সার জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। যারা এই MVA নিয়ে জন্মায় তাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যেমন- ডেভেলপমেন্টের সময়ে, ডিজ্যাবলিটি নিয়ে জন্মায় ইত্যাদি। যদিও এই নারীর ক্ষেত্রে কোন ডিজ্যাবিলিটি বা অন্য ডেভেলপমেন্ট এ সমস্যা দেখা যায়নি।
কীসের মিউটেশন?
মানুষের দেহে দুই কপি জিন দেখা যায়, দুই কপি জিন আসে বাবা-মা থেকে। এই কেইসে দেখা যায়, নারীর দেহে দুই কপি জিনেরই (MAD1L1) মিউটেশন ঘটেছে। MAD1L1- Mitotic Arrest Deficient 1 Like 1– মাইটোটিক স্পিন্ডল-অ্যাসেম্বলি চেকপয়েন্টের একটি উপাদান যা মেটাফেজ প্লেটে সমস্ত ক্রোমোজোম সঠিকভাবে অ্যালাইন না হওয়া পর্যন্ত অ্যানাফেজে যেতে বাধা দেয়।
সেই নারীর দেহে এই মিউটেশন ঘটার ফলে দেখা যায় সবগুলো কোষে সমানসংখ্যক ক্রোমোসোম নেই। MAD1L1 জিন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে গবেষকরা আগে ধারণা করেছিলেন, এই ধরনের মিউটেশন নিয়ে বাঁচা অসম্ভব। কারণ ইঁদুরের উপর করা গবেষণায় দেখা গেছে যে, মিউটেশনের ফলে ইঁদূর ভ্রূনাবস্থায়ই মারা গেছে।
আরোও পড়ুনঃ হৃদপিন্ডের কি ক্যান্সার হওয়া সম্ভব?
অ্যানালাইসিসে দেখা গেছে, সেই নারীর রক্তে কোষগুলোতে ক্রোমোজমসংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন- কোনোটায় বেশি, কোনোটায় কম। তার প্রায় ৩০-৪০% কোষে এরকম অস্বাভাবিক ক্রোমোজোম সংখ্যা রয়েছে।
Malumbres বলছেন,
“হতে পারে যে অনেকগুলো অস্বাভাবিক সংখ্যক ক্রোমোজোমসহ কোষের মুখোমুখি হওয়ায় শরীরে ‘Defensive Response’ বাড়িয়েছে যা টিউমারগুলি দ্রুত নির্মূলে সহায়তা করেছে। তাদের ধারণামতে এই বাইঅ্যালেলিক জার্মলাইন মিউটেশনটি aneuploidy এর রিস্ক বাড়ালেও টিউমারের প্রতি সংবেদনশীল। তাই সেই নারী খুব তাড়াতাড়ি রিকোভার করতে পেরেছে।”
তার শেষবার টিউমার ধরা পড়েছিলো ২০১৪ সালে, এরপর থেকে আর টিউমার ধরা পড়েনি এবং সে সম্পূর্ণ সুস্থ। এই বিষয় নিয়ে আরও গবেষণা চলমান রয়েছে।
মিথিলা ফারজানা মেলোডি/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্রঃ সায়েন্স অর্গ, বিসনেস ইনসাইডার, লাইভসায়েন্স, জিনকার্ডস
+1
+1
+1
+1
+1
2
+1
+1