এর আগেও অনেকবার এমন ফুসফুস প্রতিস্থাপিত হয়েছে। আমেরিকা, চীন জাপান সহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশেই রোগীর দেহে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে পূর্ববর্তী সকল অপারেশন হয়েছে মৃত ব্যক্তির দেহ হতে টিস্যু নিয়ে। এরপর বিশ্বের সর্বপ্রথম জোড়া ফুসফুস প্রতিস্থাপনের অপারেশন হয় চীনে। এসময় সম্পূর্ণ ফুসফুসই মৃতব্যক্তির দেহ থেকে রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। আর এবারই ১ম বারের মত জীবিত ব্যক্তির দেহ থেকে ফুসফুসের টিস্যু নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলো।
চলমান মহামারিতে জাপানে মৃত ব্যক্তির ফুসফুস টিস্যুর জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছিল। এই সঙ্কট মোকাবেলায় দেশটি এখন জীবিত মানুষের ফুসফুসের টিস্যু সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করতে পেরেছে।
কিয়োটা ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত এক নারীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়। এক্ষেত্রে দাতা ছিলেন তার স্বামী ও পুত্র। দুজনেই তাদের ফুসফুসের কিছু অংশ দান করেন। চিকিৎসকদের পুরো কাজ করতে প্রায় ১১ ঘন্টা সময় লাগে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে রোগী এবং উভয় দাতা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছেন। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় কয়েক মাসের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে উঠবেন।
ডাক্তাররা জানান, কোভিডে আক্রান্ত সেই নারীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো অচল হয়ে যেতে শুরু করেছিলো। তার নিজস্ব স্বাস্থ্য সক্ষমতাও শেষ হয়ে আসছিলো। ফুসফুস বিকল হবার পর তার স্বামী ও সন্তান ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য নিজেদের ফুসফুসের কিছু অংশ দিতে চান। ডাক্তাররা এ ক্ষেত্রে দাতাদেরকে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। কেননা এতে সুস্থ ও জীবিত দাতাদের ফুসফুসের সক্ষমতা হ্রাস পাবার শঙ্কা রয়েছে।
অপারেশনের দায়িত্বে থাকা থোরাটিক সার্জন, হিরোশি ডেট বলেন, “আমি মনে করি এই অপারেশনটি আমাদেরকে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে, যার মাধ্যমে আমরা রোগীদেরকে সুস্থ করার জন্য নতুন বিকল্প পাবো।”