ফেসবুক ঘোষণা করেছে তারা একটি বৃহৎ পরিবেশবাদী লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সংস্থাটি দাবি করেছে, ২০২০ সালে তারা গ্রীনহাউজ গ্যাসের নির্গমন ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। অবশ্য তারা আগেই অঙ্গীকার করেছিল উত্তাপ নির্গমন ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনবে। গাণিতিক বিশ্লেষণ বলছে, কোম্পানিটি তার লক্ষ্যের চেয়েও বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে আরও একটি লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা এসেছে তা হলো ২০৩০ সালের মাঝে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার। বৈশ্বিক সংস্থা হিসেবে ফেসবুককে এখন বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম চালাতে হয়। বৈশ্বিক এই পরিচালনার সবটুকু পূরণের জন্য ফেসবুক পর্যাপ্ত পরিমাণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্রয় করে থাকে। এগুলো তাদের অফিস ও ডেটা সেন্টারগুলোতে অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে এর অর্থ এই নয় সমস্ত পরিচালনা সৌর ও বায়ুচালিত নবায়নযোগ্য শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। সমস্তকিছু নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।
যেহেতু শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এখনও সম্ভব হয়নি তবে ফেসবুক কীভাবে তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে?
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে সিংহভাগ বৈদ্যুতিক গ্রীড এখনও জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভর করে। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন এখনও সহজলভ্য না হওয়ায় এর সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়। পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবে যখন কোন কোম্পানি এই শক্তি ক্রয় করতে পারেনা তখন তারা “নবায়নযোগ্য শক্তি সরবরাহ” সার্টিফিকেট ক্রয় করে। এই সার্টিফিকেট ক্রয় করার অর্থ হচ্ছে কোম্পানিটি নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগ করেছে।
ফেসবুকও এই সার্টিফিকেট এর উপর নির্ভর করে থাকে। তবে ফেসবুক যেখানে কাজ করে ঐ স্থানে নতুন সৌর ও বায়ুচালিত শক্তির দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির উপর জোর দেয়। ফেসবুক তাদের ডেটা সেন্টার গুলোর বৈদ্যুতিক গ্রীডে নতুন ৬৩টি নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন উৎসের জন্যে বিনিয়োগ করেছে। ফেসবুকের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যেই এর নিজস্ব উৎপাদন ও নির্গমন যেমন কর্মীদের ভ্রমণ, যোগাযোগ ইত্যাদি কাজে নির্গমন শূন্যে নিয়ে আসা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ফেসবুক তার উৎপাদনকারীদের জন্য পরিবেশগত মান বৃদ্ধি করেছে।
জলবায়ু সংকট নিয়ে অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তিঃ
সম্প্রতি ফেসবুক তার জায়গা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভুল তথ্যগুলো রোধ করার চেষ্টা করছে। গত বছর তারা বিভিন্ন দেশে ‘জলবায়ু সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র‘ চালু করেছে। এই বছর যুক্তরাজ্যে, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত পোস্টগুলোয় নতুন লেভেল যুক্ত করা হয়েছে যা মানুষজনকে ঐ তথ্যকেন্দ্রটির কথাই পুনঃনির্দেশ করে। এসব করার অর্থ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ফেসবুক যেন সংকট নিরসন করতে পারে।
পরিশেষে ফেসবুকের নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক পরিচালক উরভি পারেক একটি ব্লগে লিখেন, “আমরা জানি আগামী দশ বছর গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর নির্ধারিত সময়। এই প্রচেষ্টাতে আমাদের ভূমিকা নিতে হবে। ফেসবুক একই সাথে কাজ করবে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যা মানুষকে তথ্যের সাথে সংযুক্ত করবে এবং একটি কোম্পানি হিসেবে যা জলবায়ু কর্মসূচীকে সমর্থন করবে।”
মাসরুল আহসান/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্রঃ দ্যা ভার্জ
+1
+1
+1
+1
2
+1
+1
+1