স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে সবচেয়ে বড় ও জটিল সমস্যার একটি হচ্ছে রোগীর রোগ নির্ণয়ে ব্যার্থতা অথবা ভুল রোগ নির্ণয়৷ তবে বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন ক্লিনিকাল খাতে (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এ জটিল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব৷
স্বাস্থ্যসেবা খাতে রোগ নির্ণয়ে ভুল করা ব্যাপারটি শুধুমাত্র খরচসাপেক্ষ নয় বরং এই ভুলের জন্য পুরো মেডিকেল প্রতিষ্ঠানটির দুর্নাম ছড়ায়। বর্তমান সময়ের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে অধিক মৃত্যুহার ও হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি (বিশেষত ইমার্জেন্সি রোগীদের) থাকার পিছনে ভুল রোগ নির্ণয় ব্যাপারটি সরাসরিভাবে জড়িত।
ক্লিনিক্যাল ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম সংক্ষেপে সি.ডি.এস.এস (CDSS) হলো এমন এক মাধ্যম যার সাহায্যে মানুষ কতৃক ভুলগুলো কমানো সম্ভব যাতে করে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব। তার মানে এই নয় যে স্বাস্থ্যসেবা পরামর্শকারীরা সবসময় ভুল পরামর্শ দেন।
কিন্তু মানুষ মাত্রই ভুল এবং সি.ডি.এস.এস এর সাহায্যে এসব ভুলগুলো এড়ানো সম্ভব। যদিও সি.ডি.এস.এস বেশ গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন কিন্তু এটা প্রকৃ্ত অর্থে তেমন বিশেষ কোনো যুগান্তকারী প্রযুক্তি নয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে মেডিকেল বিশেষজ্ঞ জন হালামকা এবং পল সিরেটো Reinventing Clinical Decision নামে এক বই লিখেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে সি.ডি.এস.এস কে যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সমন্বিত করা যায় তাহলে এটা আমাদের “বেশিরভাগ রোগের একটি কারণ রয়েছে” নামক সেকেলে থিউরি থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্যে করবে।
ঔষধ খাতে নিয়মিত পরিবর্তন আসছেঃ
ঔষধ এবং ঔষধ খাত সময়ের সাথে সাথে আরও জটিল হচ্ছে যা মানুষের মনকে অভিভূত করছে। এর সাথে মানুষ আশা করছে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাবার।
কিন্তু মানুষের মন শুধুমাত্র কিছু বাঁধাধরা পদ্ধতি চিন্তা করতে সক্ষম অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI কে ক্লিনিকাল কাজে লাগিয়ে স্বয়ংক্রিয় লক্ষণ বিশ্লেষণ, প্রেডিক্টিভ বিশ্লেষণ এবং সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কারিদের রোগ নির্ণয়ে নির্ভুল ভাবে বিচক্ষণ সমাধান দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এমন অ্যালগরিদম এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নিউরাল ম্যাপিং এর সাহায্যে মানব জ্ঞান এর অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর সাহায্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সন্দেহ থাকতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর নিবন্ধনের ফলে রোগীর পরবর্তী ফলাফল কি হবে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
সৌভাগ্যবসত এই সমস্যাগুলো তত্ত্ব সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামাধান করা যায়। আধুনিক উদ্ভাবন কখনই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারিদের অবদান কে লঘু করবে না। সত্য বলতে যারাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিবে সময়ের সাথে সাধারণ চিকিৎসক এর থেকে তারাই এগিয়ে যাবে।