“কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে ব্যবহার নতুন ব্যবসার প্রসারণ ঘটাতে পারে “
ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা মনে করেন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সংরক্ষণ করে এটিকে ফুয়েল, কনস্ট্রাকশন ম্যাটেরিয়ালসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা গেলে একটি বৈশ্বিক শিল্পের সূচনা হবে।
আর এটি হলে বায়ুমণ্ডল গ্রীন হাউজ গ্যাস কমার কারণে পরিবেশেরও উপকার হবে।
‘ন্যাচার’-এ প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, এতে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক কাজকর্মে কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহারের সম্ভাব্য পরিমাণ এবং ফুয়েল, কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল, সয়েল ম্যানেজমেন্ট সহ ১০ টি সেক্টরে কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহারের খরচ নিয়ে রিসার্চ করা হয়েছিল।
আর এসব কাজে যে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহৃত হবে সেগুলো সংগ্রহ করা হবে সরাসরি বায়ুমণ্ডল থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রসেস এর মাধ্যমে। এছাড়াও লেখকরা ফটোসিন্থেসিসের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরির প্রক্রিয়াগুলো কাজে লাগানোর কথাও ভেবেছেন।
গবেষণায় পাওয়া যায়, বাণিজ্যিক প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই অক্সাইড এর ব্যবহার শুরু হলে প্রতিবছর অন্তত গড়ে ০.৫ গিগাটন কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহৃত হবে। পরবর্তীতে শিল্প দাঁড়িয়ে গেলে প্রতি বছর ১০০ গিগাটন এরও বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহৃত হতে পারে, যেটি এখন পুরোটাই বায়ুমন্ডলে থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতায় ভূমিকা রাখছে।
আর এক্ষেত্রে প্রতি টন কার্বন ডাই অক্সাইড এর জন্য খরচ হবে প্রায় ১০০ ডলার। তবে বিভিন্ন সেক্টরভেদে কার্বন ডাই অক্সাইড এর ব্যবহার ও খরচ পরিবর্তিত হতে পারে।
ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অনুসারে একবিংশ শতাব্দী জুড়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখতে হলে বায়ুমণ্ডল থেকে প্রায় ১০০ থেকে ১০০০ গিগাটন কার্বন ডাই অক্সাইড সরাতে হবে। গবেষক কেমেরন হেপবার্ন বলেন, “কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন নেট জিরোতে আনার জন্য আর পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখার জন্য বায়ুমণ্ডল হতে গ্রিন হাউস গ্যাসের অপসারণ অত্যন্ত জরুরী।
আমরা আমাদের প্রয়োজনমতো দূষণ হার কমাইনি, তাই আমাদের এখন বায়ুমণ্ডল হতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সরাতে হবে। বিভিন্ন দেশের নেতারা এর উপর কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু এটার উপর আরো দ্রুত কাজ করা দরকার।”
জার্নাল রেফারেন্স: https://www.nature.com/articles/s41586-019-1681-6