“দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা; বিভিন্ন দেশে সতর্কতা জারি”- এমনই একটি হেডলাইনে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলধারার একটি সংবাদপত্রে৷
শুধু একটি নয়, প্রতিদিনই এমন ভয় জাগানিয়া সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিটি সংবাদমাধ্যমে। আর সেই সব সংবাদ দেখার পর আতংকিত হচ্ছি আমরা। তারা কিন্তু আমাদের কোনো ভুল সংবাদ দিচ্ছে না।
কিন্তু আমরা কী একবার জানার চেষ্টা করেছি যে কতজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে? কোন বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে? মৃত্যুর হারই বা কত?
আমরা আতঙ্কিত হচ্ছি এটা শুনে যে নব্বই হাজারের অধিক আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এটা জানছি না যে পঞ্চাশ হাজারের অধিক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
কারণ মিডিয়া এটা আমাদের জানাচ্ছে না। তারা ঢালাওভাবে প্রচার করছে করোনা মরণঘাতী ভাইরাস। যেখানে করোনা তে মৃত্যু হার ১.৫ শতাংশ। পূর্ববর্তী যেসব ভাইরাস মরণঘাতী রূপ ধারণ করেছিল তাদের মধ্যে ইবোলা তে মৃত্যু হার ছিল ৫০%, মার্স-এ মৃত্যু হার ছিলো ৩০% এবং সার্স-এ মৃত্যু হার ছিলো ১০%।
সেই তুলনায় করোনা মরণঘাতী ভাইরাস হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ৮১% রোগী ৭-১০ দিনের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ১৪% রোগী ১৫ দিনের মাথায় সুস্থ হয়েছে। বাকি যে ৫% রয়েছে তাদের অবস্থা কিছুটা বিপদজনক কারণ তাদের সকলেরই পূর্বে কিছু না কিছু জটিল ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
তাহলে কেন এত মারাত্মকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে করোনা কে? আবার শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা একেবারেই নিষ্ক্রিয়। চীনে এখন পর্যন্ত ৪২৯ জন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং সবাই বর্তমানে সুস্থ। এখন পর্যন্ত কোনো তরুন বা যুবকের করোনায় মৃত্যু হয়নি।
হ্যাঁ, একটু বয়স্কদের জন্য করোনা হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সেটাও নিবারন করা সম্ভব। স্থানীয় গবেষকরা বলছেন করোনা ভাইরাস ৭০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে মরে না। কিন্তু তিনি এটা জানাচ্ছেন না যে ২৩° সেলসিয়াসের অধিক তাপমাত্রায় করোনা সংক্রমিত হতে পারে না।
একটু গুগল করলেই দেখতে পাবেন আক্রান্ত দেশগুলোর অধিকাংশ শীতপ্রধান নয়তো এখন সেখানে শীতকাল চলছে। দেখা যাবে এপ্রিল মাস থেকে করোনার কোনো সংক্রমণই নেই। আমি বলছি না মিডিয়া আমাদের ভুল তথ্য দিচ্ছে। তাদের দেয়া তথ্যও সত্যি। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ তথ্য দিচ্ছে না।
মানুষ আতঙ্কিত হয় এমন তথ্য তারা নানা ভাবে উপস্থাপন করছে; কোনো এক অজানা কারণে! এখন আমাদের দায়িত্ব সঠিক এবং পরিপূর্ণ তথ্য সবার কাছে পৌঁছে দেয়া।
নিজে সচেতন হোন, অপরকেও সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করুন।