করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কখন বাজারজাত করা হবে? সবার মনে এই প্রশ্নই বার বার !
সারা বিশ্ব যখন স্মরণকালের জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিখরে তখন একটি ভাইরাসের কাছে নাকানিচুবানি খাচ্ছে বিশ্বের বড় বড় দেশ। তার মধ্যে ইতালি, স্পেন, ইরান, জার্মানি, আমেরিকাসহ অনেক দেশেই ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। চীনের উহান থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে গিয়েছে ১৯৯ টি দেশে।
করোনা ভাইরাস (COVID-19) যে মহামারী আকার ধারন করেছে তা থেকে বেড়িয়ে আসাটা মানব সভ্যতার জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই ভাইরাসটি কারণে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ৩৪,০০০ জনে, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,২৪,০০০ জন।নিজেরদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমে সেরে উঠেছেন প্রায় ১,৫২,০০০ জন।
সারাবিশ্বের গবেষকরা এই ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছেন।ডাক্তার-নার্সসহ অনেকেই দিনরাত পরিশ্রম করছেন ভাইরাস মোকাবেলায়।যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো নেই, এবং এমন কোন চিকিৎসা নেই যা এ রোগ ঠেকাতে পারে।
কিন্তু ,কতদিন লাগবে কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে? কবে নাগাদ আমরা ফিরে পাবো আমাদের স্বাভাবিক পৃথিবী?
ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের সাধারণ প্রক্রিয়া হলো- সংশ্লিষ্ট ভাইরাসটির জিনগত তথ্য সংগ্রহ, গবেষণাগারে তা পুনরায় তৈরি এবং দ্রুততর সময়ে তা বিজ্ঞান জার্নালে আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করা।
বেশী লবণ খাওয়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় |
বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছে বলে দাবি জানিয়েছে, এমনকি শুরু হয়ে গেছে পরিক্ষামূলক প্রয়োগ।কিন্তু, বাজারজাতকরণের আগে যে কোন প্রতিষেধক বা টিকা লম্বা সময় ধরে হাজারখানেক বা তার বেশিসংখ্যক বিভিন্ন বয়স, পরিবেশ ও বৈশিষ্ট্যের মানুষের ওপর প্রয়োগ করতে হয়।
অর্থাৎ, ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলেও রেগুলেটরির অনুমোদন পেতে অনেক সময় কয়েক বছর লাগে কারণ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চান যে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।গবেষকগণ হয়তো প্রতিষেধক তিন-চার মাসেই আবিষ্কার করতে পারেন, কিন্তু বাজারজাতকরণ লম্বা প্রক্রিয়া।
করোনা আক্রমণ কি যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ? কি বলছে গবেষণা ! |
বৈশ্বিক ভ্যাকসিন বা টিকা শিল্পে বড় নাম গুলো হলো পিফিজার, মার্ক, গ্লাক্সোস্মিথ, স্যানোফি এবং জনসন অ্যান্ড জনসন।কিন্তু, তাদের কাছে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই।
ইউএস ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ডিরেক্টর ড: অ্যান্থনি ফৌচি বলছেন, কোনো বড় কোম্পানিই এগিয়ে এসে বলেনি যে তারা কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরি করবে।”এটা খুব হতাশাজনক”। তার মতে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আসতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে।
ওদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আশা করছে দেড় বছরের মধ্যে এ ভ্যাকসিন বাজারে আসবে।যদিও ২০০২ ও ২০০৩ সালে সার্সের সময় কোনো টিকাই আনা যায়নি এবং সার্সের জন্য এখনো কোনো টিকা নেই।
করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ-
১।রক্তের গ্রুপ ‘A’ হলে করোনা ঝুঁকি বেশি, ‘O’ হলে সবচেয়ে কম – বলছে চীনা গবেষণা
২।লবণ মেশানো গরম পানি কি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করে ?-না
৩।করোনা যেভাবে আপনার শরীরের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে !(ইন্টারেক্টিভ ডিজাইনসহ)
৪।ফ্যাক্ট চেক: (মিথ্যা) এক টুকরা লেবুতেই ধ্বংস হবে করোনাভাইরাস
৫।আমেরিকা বা চীনের ষড়যন্ত্র নয়।করোনাভাইরাস এসেছে প্রকৃতি থেকেই-গবেষণা
৬।করোনাভাইরাস স্মার্টফোনে প্রায় ৯ দিন জীবিত থাকতে পারে – গবেষণা