বায়ু দূষণের ফলে বিশ্বজুড়ে গড়ে প্রায় তিন বছর কমে যাচ্ছে জীবন সীমা এবং প্রতি বছরে প্রায় ৮.৮ মিলিয়ন অকাল মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে বায়ুদূষণ মহামারীতে রূপ নিয়েছে। কার্ডিও ভাসকুলার রিসার্চ জার্নালে বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেন যে, পৃথিবীব্যাপী যেসব বায়ু দূষক পদার্থ রয়েছে তা যদি পুড়িয়ে ফেলা হয় তবে হয়তো বা জীবনের একটি বছর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
জনস্বাস্থ্যের জন্য তামাক, ধূমপানের চেয়ে বায়ুদূষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক বড় ঝুঁকি।
যদি জীবাশ্ম জ্বালানি গুলো পুনরায় শক্তিতে রূপান্তরিত করে ব্যবহার করা যায় তবে এই মহামারি’র কিছুটা অংশ কমবে বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা।
রিসার্চে দেখা যায় যে, অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী যেসব কারণ তার মধ্যে ম্যালেরিয়ার থেকে বায়ু দূষণের ফলে ১৯ গুণ বেশি মৃত্যু সংঘটিত হয়। আবার এইডসের তুলনায় ৯ গুণ বেশি এবং অ্যালকোহলের আসক্তি থাকা মানুষের তুলনায় ৩ গুণ বেশি মৃত্যু হয় বায়ু দূষণের ফলে। তাই বায়ু দূষণ বর্তমান বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
করোনারি হৃদরোগ এবং স্ট্রোক এর কারণে যত মানুষ অকালে মারা যায় তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ফুসফুসের সমস্যার কারণে মারা যায়। আর বায়ু দূষণের ফলে ফুসফুসই বেশি আক্রান্ত হয়। দূষিত বায়ুর পরিবেশের জন্মগ্রহণকারীর ৬ শতাংশই ফুসফুস ক্যান্সারের কারণে মারা যায়।
|
বিজ্ঞানীদের মতে বায়ু দূষণ এবং ধূমপান প্রতিরোধযোগ্য তবে পূর্ববর্তী সময় আমরা শুধুমাত্রই ধূমপানের ব্যাপারে সতর্ক হয়েছি যেখানে আমাদের বায়ু দূষণ নিয়ে তেমন কোন মনোযোগ দেওয়া হয়নি। গবেষণা থেকে জানা যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে এশিয়াই সবার উপরে। বায়ু দূষণের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।
তবে এ ব্যাপারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। বায়ু দূষণ পৃথিবীর সর্বত্রই একরকম মহামারী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তেমন ভাবে উপলব্ধি করতে না পারলেও ভবিষ্যতে বায়ু দূষণ আমাদের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী হবে।